মোঃ সাইদুর রহমান আপন (শেরপুর) : শেরপুর সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের মধ্যবয়ড়া নামাপাড়া গ্রামের চাঞ্চল্যকর সাজ্জাদ হোসেন হত্যা মামলার প্রধান দুই আসামি রায়হান ও আঃ সালামকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪। ৩১ আগষ্ট শনিবার দুপুরে শেরপুর জেলা সদরের চরখচ্চর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত মোঃ রায়হান (৩০) শেরপুর সদর উপজেলার মধ্যবয়ড়ার আঃসালামের ছেলে ও আঃ সালাম (৫০) একই এলাকার সোহরাব আলীর ছেলে। গ্রেপ্তারকৃতরা সম্পর্কে বাবা–ছেলে।

র্যাব জানায়, গত ২১ আগস্ট শেরপুর সদর উপজেলার ভাতশালা নামা পাড়ার জনৈক আবু রায়হানের কন্যা নিখোঁজের দুইদিন পর ঢাকা থেকে বাড়ি নিয়ে আসে পরিবারের লোকজন। এ ঘটনায় প্রতিবেশী দুই সন্তানের জনক সাজ্জাদ হোসেনকে দায়ি করে তারা। পরে ২১ আগস্ট রাতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আবু রায়হান ও তার লোকজন সাজ্জাদের বাড়িতে হামলা করে কুপিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে।
এসময় বাধা দিতে আসলে সাজ্জাদকে কুপিয়ে ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন করে। এসময় তার মামা মুক্তার আলীসহ তিনজন আহত হয়। আহতদের ঢাকা ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে নিহত সাজ্জাদের স্ত্রী মোছাঃ নাছিমা আক্তার বাদী হয়ে শেরপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এরপর থেকেই আসামিরা পলাতক ছিল।
হত্যাকাণ্ডের ৯ দিনের মধ্যে র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মোঃ আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে একটি বিশেষ আভিযানিক দল মামলার প্রধান দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুরের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মোঃ আব্দুর রাজ্জাক ৩১ আগষ্ট রাতে বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের শেরপুর সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।