নিজস্ব প্রতিনিধি (খুলনা) : খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার লাখোহাটি গ্রামে ভূমিদস্যুদের কবল থেকে ৫০ শতাংশ জমির দলিল ও রায় থাকার পরও ভূমিদস্যুদের কবল থেকে জমি উদ্ধার হচ্ছে না।উদ্ধারের চেষ্টা, বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও তার কোন সঠিক সমাধান মেলে নি।
বাদী হাবিবুর রহমান শেখ , পিতা মৃত হাসেম শেখ, গ্রাম – লাখোহাটি, বারাকপুর , দিঘলিয়া,খুলনা। উপজেলার লাখোহাটি মৌজায় আর এস খতিয়ান- ৩৯৪৬. ১৫৭৫.১৫৭৫.২৫৪৫.৫৯৩, কয়েকটি দাগের দাগ নং- ১০৩৫৮. ১০৩৬৬.১৩৩৪৪,১০৩৬৮ বিভিন্ন সময়ে,সর্ব মোট ২০২ শতাংশ জমি খরিদ করেন, এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ভোগদখল করিতে ছিলেন,
উক্ত হাবিবুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, ২০১৫ সাল থেকে ভূমিদস্যুরা আমার মালিকানা জমির উপর নজর দেয়। আমি আমার জমি রক্ষার্থে উপজেলা প্রশাসন সহ- তৎকালীন সরকারের রাজনৈতিক নেতাদের দ্বারস্থ হই, ভুমি দস্যুরা প্রভাবশালী হওয়ায় ও তৎকালীন সরকারের মদদ পুষ্ট হওয়ায় আমি ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হই। আমি মহামান্য আদালতে মামলা দায়ের করি। আদালতের রায় আমার পক্ষে আসে, ভুমি দস্যুরা আপিল বিভাগের শরনাপন্ন হলে সেই রায় ও আমার পক্ষে আসে।
বিবাদী একই এলাকার মৃত্যু আলতাব ফারাজির ৫ ছেলে- তায়েব ফারাজি, আজিবর ফারাজি, কুদ্দুস ফারাজি, মুজিবুর ফারাজি। তারা বাদীর প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে, উপজেলা প্রশাসন ও নেতাদের ম্যানেজ করে ২০২২ সালে হাবিবুর রহমান শেখ এর
ঘেরের মধ্যে দিয়ে বেড়িবাঁধ দিয়ে ৫০ শতাংশ জায়গা জমি দখল করে নেয় ।
হাবিবুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, তৎকালীন সরকারের রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আমার ক্রয়কৃত জমি ভূমিদস্যু রা আমার জমি দখল করে ক্ষান্ত হননি- আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। আমি আমার ক্রয়কৃত জমি উদ্ধার সহ- ন্যায় বিচার ও ভোগদখল করিতে পারি সে জন্য বর্তমান সরকার ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি আমার দাবি।