# সিনেমা স্টাইলে পিটিয়েছেন ওসিকেও # শাসনামলে রাজনৈতিক খুন=৬৪ # চলামান নেই একটি মামলাও #
যশোর প্রতিনিধি : যশোরের ১ আসনের সাবেক বহুল আলোচিত এমপি আফিল উদ্দিন টানা চতুর্থ মেয়াদে সংসদ সদস্য হিসাবে ছিলেন যশোরের শার্শায়,তিনি ছিলেন এক মাফিয়া।২০০১ সালে আ.লীগের মনোনয়ন নিয়ে শার্শায় রাজনীতেতে সরব হন,আফিল উদ্দিন।পরবর্তীতে পুনরায় ২০০৮ সালে আ.লীগের মনোনীত নৌকা প্রতিক নিয়ে সংসদ সদস্য হিসেবে জয়ী হন,এরপর নির্বাচনে গুলোতে খোদ আ.লীগ নেতাকর্মীদের অভিযোগ ছিল নির্বাচনের অনিয়ম নিয়ে! অপরাধ সম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণে স্থানীয়ভাবে তৈরি করেন,গ্রুপ -উপগ্রুপ।
![](https://ajkerdesh.com/wp-content/uploads/2024/05/WhatsApp-Image-2024-05-31-at-21.07.07_c7f123fd.jpg)
২০০৮ পরবর্তী থেকে সে মরিয়া উঠে প্রভাব আর ত্রাসের রাজত্ব তৈরি করতে, স্থানীয় মানুষদের উপর অত্যচার নির্যাতনে বিএনপি”র ২০অধিক নেতাকর্মী খুন,ও তার বিরুদ্ধে খোদ আ.লীগের দ্বিগ্রুপ তৈরি হলে দলীয় কোন্দলে জড়িয়ে ৪১ জন আ.লীগের নেতাকর্মীকে খুনের সরাসরি মদদ দিয়েছেন আফিল উদ্দিন।
তার বিরুদ্ধে রয়েছে সোনা চোরাচালান,মাদক ব্যবসা,অস্ত্র ব্যবসা,জমি দখল,সরকারি নদী-নালা দখল,স্কুল-কলেজের নিয়োগ বাণিজ্য,সংখ্যা লষুদের নির্যাতন,তাদের সম্পদ লুন্ঠন,দেশ ত্যাগে বাধ্য করাসহ,নারী কেল্ককারী মত সব ভয়ংকর অভিযোগ।
সব শেষ ঝিনাইদহের সাবেক সংসদ সদস্য আনার হত্যার সাথে জড়িত থাকার ও গুঞ্জন ছিল! আফিল উদ্দিনের বিরুদ্ধে মুখ ছিল দু:সাহস বটে।২০১০ সালের লক্ষণপুর ইউনিয়নের পারুইখুপি গ্রামে খুন হন, বিএনপি কর্মী হামিদ সেই খুনের মামলায় তার সমর্থিত আ.লীগের কর্মীদের নামে এজাহার ভুক্ত করলে তৎকালীন শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)এনামুল হক,উপ-পরিদর্শক আসাদসহ ৬ পুলিশ সদস্যকে বেধড়ক মারপিট করেন।সব মিলিয়ে তামিল সিনেমার স্টাইলে ত্রাসের রাজত্ব করেছিলেন আফিল উদ্দিন।
তার প্রভাবে খুনের একটি মামলাও চলমান নেই।বাদীদের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে মামলা পরিচালনা করা থেকে দূরে সরিয়ে রাখা,জোর পূর্বক আপোষ করানো হয়।মাফিয়া আফিল উদ্দিন যখন শার্শায় এসেছিলেন তখন তার শার্শার মাটিতে ১ কাটা জমি ছিল না,পরবর্তীতে শার্শায় তৈরি করেছেন বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানসহ হাজার বিঘা সম্পত্তি।ইতিমধ্যে দুদক তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালাচ্ছে।