মোঃ সাইফুর রশিদ চৌধুরী : গোপালগঞ্জ কোটালীপাড়ার কথিত ফেসবুক সাংবাদিক এফ এম মাহাবুব সুলতানের এর বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ করেছেন কোটালীপাড়ার পোল্ট্রি ও ফিস ফিড ব্যবসায়ী আব্দুল হান্নান মোল্লা। তিনি এর আগে গত (২৬আগস্ট) কোটালীপাড়ায় সংবাদ সম্মেলনে করে মাহাবুব সুলতানের চাঁদা দাবির বিষয় ও বিভিন্ন কুকীর্তি তুলে ধরেছিলেন।
হান্নান মোল্লা কোটালীপাড়া উপজেলার একজন প্রতিষ্ঠিত স্বনামধন্য ব্যবসায়ী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা ব্যাপী সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। উক্ত ব্যবসায়ী সোমবার (২সেপ্টেবর) গোপালগঞ্জ প্রেস ক্লাবে (জিপিসি) উপস্থিত হয়ে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, কোটালীপাড়া উপজেলার কথিত ফেসবুক সাংবাদিক এফ এম মাহাবুব সুলতান সাংবাদিকদের সম্মান হানি করছে।
তিনি সাংবাদিকতার পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষদের হয়রানি করছে। গত শনিবার (২৪ আগস্ট) ২০২৪ তারিখে আমাকে ডেকে নিয়ে আমার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব চান পরে সংবাদ প্রকাশের কথা বলে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। এক আমার নিকট পর্যায়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
এ কথোপকথনের রেকর্ড করে আমার নিকট সংরক্ষিত আছে। আমি তার চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিতে অস্বীকার করলে গত রবিবার (২৫ আগস্ট) তারিখে কোটালীপাড়া উপজেলার সামনে আমার ৬ তলা বিশিষ্ট বিল্ডিং এর ছবি ব্যবহার করে তার ব্যবহৃত Mahabub Sultan ফেসবুক আইডি থেকে আপত্তিকর মন্তব্য করে প্রচার করেন। এতে আমার সামাজিক সম্মান-মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়েছে।
আমি জানতে পেরেছি কথিত এই ফেসবুক সাংবাদিক মাহাবুব সুলতান শুধু আমাকেই না কোটালীপাড়া উপজেলার বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যবসায়ী, চেয়ারম্যান, মেম্বর সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষদের ভুলত্রুটি খুঁজে বের করে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায় করে আসছেন।
এছাড়াও গত ২৬ আগস্ট মাহাবুব সুলতান তার ফেসবুক আইডি থেকে কোটালীপাড়া থানা পুলিশের কার্যক্রম নিয়েও আপত্তিকর মন্তব্য লিখে প্রচার করেছিলেন। আমার জানা মতে মাহাবুব সুলতান সরকার অনুমোদিত কোন প্রিন্ট অথবা ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধি নন। বিষয়টি আমি কোটালীপাড়া উপজেলার সামাজিক নেতৃবৃন্দদের কাছে অভিযোগ আকারে জানিয়েছি। আশাকরছি তারা এর একটা বিচার ব্যবস্থা করবেন। আমি সামাজিক ভাবে ন্যায় বিচার না পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবো।