নিজস্ব প্রতিবেদক : দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলা সাবরেজিস্ট্রি অফিসের সহকারী মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী দিলুয়ারা ইউসুফের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। রোববার চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এর উপসহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান চৌধুরী মামলাটি করেন।
মামলায় তাদের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৭ লাখ ২ হাজার ৭৪৬ টাকা অজ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদ অর্জন এবং ৩ লাখ ৭৯ হাজার ২১ টাকার তথ্য গোপনের অভিযোগ এনেছে দুদক। মাহফুজুর রহমান পটিয়া উপজেলার মোহাম্মদ নগর উত্তর দেয়াং এলাকার এখলাসুর রহমানের ছেলে।
মামলার বাদী মিজানুর জানান, ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আয় করেছেন আসামি মাহফুজ। সেই অবৈধ অর্থ দিয়ে তিনি তার স্ত্রী দিলুয়ারা বেগমের নামে কোটি টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ গড়ে তুলেছেন। দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদ অর্জনের দায়ে স্বামী-স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০২৩ সালের ১৬ এপ্রিল ওই দম্পতি সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। তাতে তারা ৫১ লাখ ১৮ হাজার ৬২৫ টাকা স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের ঘোষণা দেন। সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে মাহফুজুর রহমানের নামে ৫৪ লাখ ৯৭ হাজার ৬৪৬ টাকার স্থাবর ও অস্থার সম্পদর তথ্য পায় দুদক। এখানে তিনি ৩ লাখ ৭৯ হাজার ২১ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন।
অপরদিকে দিলুয়ারা বেগমের নামে ৫৪ লাখ ৯৭ হাজার ৬৪৬ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ পাওয়া যায়। একই সময়ে তিনি ৬৫ লাখ ১০ হাজার ২০০ টাকা পারিবারিক ব্যয়সহ মোট ১ কোটি ২০ লাখ ৭ হাজার ৮৪৬ টাকার সম্পদ অর্জন করেন। দুদক তার সম্পদ অর্জনের বিপরীতে বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয়ের উৎস পায় ১৩ লাখ ৫ হাজার ১০০ টাকা। এক্ষেত্রে জ্ঞাত আয়বর্হিভুত সম্পদ অর্জন করেন ১ কোটি ৭ লাখ ২ হাজার ৭৪৬ টাকা। তিনি সরকারি চাকুরে স্বামীর অবৈধ উপার্জিত অর্থ দিয়ে অবৈধ সম্পদ গড়ে তোলেন।