ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক এমপি নিক্সন চৌধুরী।
ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুর-৪ সংসদীয় আসনের এমপি নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে নির্বাচনের নামে সিলেকশন প্রক্রিয়া চালানোর গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এই আসনের আওতাধীন চরভদ্রাসন, সদরপুর, ও অন্যান্য উপজেলায় সুষ্ঠু নির্বাচন না হয়ে সিলেকশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রার্থীদের বিজয়ী করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকার জনগণ।
চরভদ্রাসন উপজেলা : চরভদ্রাসন উপজেলায় হাফেজ মো: কাউসার ও ফারুক মৃধাকে জোরপূর্বক চেয়ারম্যান পদের নমিনেসন তুলে নিতে বাধ্য করা হয়। অন্যদিকে, আনোয়ার আলী মোল্ল্যাকে ২ কোটি টাকার বিনিময়ে সিলেকশনের মাধ্যমে বিজয়ী করা হয়। স্থানীয় জনগণের অভিযোগ, ভোটের কারচুপির মাধ্যমে আনোয়ার আলীকে জয়ী করানো হয়েছে।
ভাইস চেয়ারম্যান পদ : ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে কাউসার হোসেনকে ৫০ লাখ টাকার বিনিময়ে এমপি নিক্সন চৌধুরী সিলেক্টেড করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
সদরপুর উপজেলা : সদরপুর উপজেলায় সফি কাজীর কাছ থেকে ৫ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে, জনগণের সচেতনতার কারণে এখানে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। জনগণ বাবুল মিয়াকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করে। কিন্তু এমপি নিক্সন চৌধুরী সফি কাজীর কাছ থেকে নেওয়া ৫ কোটি টাকা ফেরত দেননি বলে অভিযোগ উঠেছে।
এই ধরনের কর্মকাণ্ডে স্থানীয় জনগণ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং এ বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। নির্বাচনের নামে সিলেকশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার ক্ষুন্ন হওয়ায় স্থানীয় জনগণ হতাশা ব্যক্ত করেছেন।