কুমিল্লা প্রতিনিধি : কোটা আন্দোলন চলাকালীন বাংলাদেশে শত শত শিক্ষার্থীকে যখন গুলি করে হত্যা করা হচ্ছিল, প্রতিবাদে ফেটে পড়েছিল সৌদি আরবে বাসরত একদল রেমিটেন্স যোদ্ধা বাংলাদেশী যুবক। তাদের অগ্রভাগে ছিল রিয়াদে কর্মরত কুমিল্লা মেঘনা উপজেলার জয়পুর গ্রামের নজরুল ইসলামের একমাত্র ছেলে মেহেদী হাসান।
রাস্তায় নেমে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে কোটা আন্দোলনকারীদের পক্ষে সমর্থন দেওয়ায় কিছু অতি উৎসাহী হাসিনা সমর্থকের ষরযন্ত্রে আরব দেশের রিয়াদে পুলিশ মেহেদীকে গ্রেফতার করে। সৌদিতে এমন প্রতিবাদ নিষিদ্ধ থাকায় এবং অবস্থা বিবেচনায় মেহেদীকে ২১ দিনের আটকাদেশ দেয় আদালত।
কিন্তু কিছু স্বার্থন্বেশী আওয়ামী পন্থী লোকজনের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে দেড় মাস পেরিয়ে কোটা আন্দোলনকারীগণ বিজয়ের মাধ্যমে স্বাধীনতার লাল পতাকা উড়ালেও মেহেদী হাসান এখনো আটকে পড়ে আছে রিয়াদের অবস্থিত আজিজিয়া থানাধীন একটি জেলখানায়। মুক্তির পরও নির্বিচারে আটকে থাকায় তার জীবন অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছে। তার আকামা মেয়াদেত্তীর্ন হওয়ায় এই মুহূর্তে রিয়াদে বাংলাদেশ দুতাবাসের সহযোগিতার বিকল্প নেই।
এ বিষয়ে কানাডিয়ান প্রবাসী কামাল উদ্দিন সরকার আমাদের এই প্রতিনিধিকে জানান, একমাত্র ছেলে রিয়াদের জেলখানায় নির্বিচারে আটকে থাকায় তার ‘মা ‘ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছে। মেহেদী হাসানের আশু মুক্তির জন্য বাংলাদেশ সরকার তথা রিয়াদে বাংলাদেশ দুতাবাসের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।