ঠাকুরগাঁওয়ের তৈরী পাপোশ জাপান রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে

Uncategorized অর্থনীতি ইতিহাস ঐতিহ্য গ্রাম বাংলার খবর জাতীয় বানিজ্য বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

জসীমউদ্দী ইতি (ঠাকুরগাঁও) : ঠাকুরগাঁওয়ের প্রত্যন্ত এলাকার আত্মপ্রত্যয়ী এক নারীর নাম রুফিনা হেমব্রম।ছোটবেলা থেকে বড় হয়েছে অভাব-অনটনের মধ্য দিয়ে।একসময় খেয়ে না খেয়ে দিন কাটত তাঁদের।তবে সুতা ও ঝুট কাপড় দিয়ে পাপোশ তৈরির কাজ শেখার পর তাঁর সংসারে সচ্ছলতা ফিরেছে।


বিজ্ঞাপন

রুফিনা বাড়িতে গড়ে তুলেছে পাপোশ তৈরির কারখানা।শুধু রুফিনা হেমব্রম নন,তাঁর মতো ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চাপাতি গ্রামের অধিকাংশ দরিদ্র নারী এখন পাপোশ বানিয়ে সংসারের হাল ধরছেন।সদর উপজেলার চাপাতি গ্রামে রুফিনা হেমব্রম বাড়িতে দেখা যায়, প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন নারী-পুরুষ পাপোশ তৈরির কারখানায় কাজ করছে।ভেতরে ঢুকতেই তাঁতের খটখটশব্দ।

কোনো কোনো নারী তাঁতে পাপোশ বুনছেন।কেউ পাপোশ ডিজাইন করছেন কেউ আবার মেশিনে সুতা থেকে পাপোশের জন্য রশি বুনছেন।রুফিনা হেমব্রম বলেন,অভাব ঘোচাতে একটি সংস্থার মাধ্যমে পাপোশ তৈরির কাজ শেখেন।কয়েক মাস ধরে তিনি পাপোশ তৈরি করে মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করছেন। স্বামী-স্ত্রী দুজনের উপার্জনে বর্তমানে সংসারের অভাব অনেকটা কেটেছে।


বিজ্ঞাপন

এদিকে একইভাবে পাপোশ তৈরির কাজে স¤পৃক্ত জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের পশ্চিম কাদিহাট জোতপাড়া গ্রামের ফাতেমা বেগম।শুধু নিজে নন,তাঁর হাত ধরে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন ওই গ্রামের কয়েক শ পরিবারের বেকার নারীরাএছাড়া পুরুষও কাজ করেন তাঁর কারখানায় উদ্যোক্তা হিসেবে অনন্য ভূমিকা রাখায় জাতীয়ভাবে পুরস্কৃতও হয়েছেন ফাতেমা।


বিজ্ঞাপন
👁️ 1 News Views

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *