সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের ১২২ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক দেলোয়ার লিটনের দুর্নীতির তথ্য ফাঁস

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত খুলনা জাতীয় বিশেষ প্রতিবেদন শিক্ষাঙ্গন সারাদেশ

জামাল উদ্দিন (সাডক্ষীরা)  : সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের ১২২ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক দেলোয়ার হোসাইন লিটন সহকারী শিক্ষক হওয়া সত্ত্বেও প্রায় এক যুগ ধরে প্রধান শিক্ষক পরিচয় দিয়ে খাতা পত্র পূরণ রেখেছেন।


বিজ্ঞাপন

গতকাল তাকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর অনুসন্ধানে আরও জানা যায়,এই প্রতারক দেলোয়ার হোসেন বিগত স্বৈরাচার হাসিনার পোষা কিছু নেতাকর্মীদের টাকার মাধ্যমে ম্যানেজ করে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকার বাণিজ্য করেছেন।অপকর্ম নাম্বার (এক) নিজেকে প্রধান শিক্ষক পরিচয় দেয়া। (দুই) নিয়মিত স্কুলে না আসা, মাসে দু একদিন বেড়াতে এসে সরকারি বেতন ভাতা নিয়ে এসেছেন।


বিজ্ঞাপন

অপকর্ম নম্বর (তিন) তিনি জেলে কার্ড করে দেয়ার বাহানায় কৌশলে এলাকার অনেক জেলেদের নিকট থেকে হাজার হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

দুর্নীতি নম্বর চার তিনি বাচ্চাদের উপবৃত্তির টাকা নিজস্ব নাম্বার ব্যবহার করে আত্মসাৎ করেছেন এখনো অভিযোগ পাওয়া গেছে একজন অভিভাবক তদন্ত সভা স্থলে দুঃখ করে বলেন আমার ছেলেটা প্রথম শ্রেণীতে উপবৃত্তি পেয়েছিল এখন সে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ে এই চার বছর সে একটি বারের জন্য উপবৃত্তির টাকা পায়নি আমাদেরকে সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত করেছে প্রধান শিক্ষক পরিচয়দানকারী দেলোয়ার হোসেন লিটন নম্বর (5) স্কুলে শিক্ষক কম থাকায় তিনি ম্যানেজিং কমিটির তোয়াক্কা করে নিয়ম-নীতি না মেনে এককভাবে টাকার বিনিময়ে পরীক্ষা ছাড়াই তিনজন অস্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ দেন।

ওশুধু এখানেই শেষ নয়, তিনি এলাকার খুলনা বিএল কলেজে মাস্টার্স পড়ুয়া একটি নিরীহ ছেলের নিকট থেকে দপ্তরি নিয়োগ দেবেন বলে কয়েক লক্ষ টাকা বাণিজ্য করেছেন। তার বিরুদ্ধে বারোটি লিখিত অভিযোগ সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ করে।তিনি অপরাধী।

তদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট পেলে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে।অভিভাবক ও এলাকাবাসী দুঃখ করে এই প্রতিবেদককে বলেন,আমরা চাই একজন ভালো শিক্ষক। যার হাত ধরে আমাদের সন্তানেরা ভালোভাবে পড়ালেখা শিখতে পারবে।মানুষের মত মানুষ হতে পারবে।

উপরোক্ত দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে এলাকার সকল শ্রেণীর পেশার ব্যক্তিবর্গ প্রতারক অপকর্মকারী কলঙ্কিত শিক্ষক দেলোয়ার হোসাইন লিটনের অপসারণ দাবি করেছেন।

পাশাপাশি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট সুবিচার প্রার্থনা সহ একজন নিবেদিত শিক্ষক নিয়োগ দানের বিনীত আবেদন জানিয়েছেন । সহকারী শিক্ষক প্রতারক প্রধান শিক্ষক পরিচয়দানকারী দেলোয়ার হোসেন লিটনের সকল অপকর্ম সিরিজ আকারে প্রকাশ করা হবে। চোখ রাখুন অনলাইন বাংলাদেশ খবর প্রতিদিন পত্রিকায়।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *