বিশেষ প্রতিবেদক : ভোলা বোরহানউদ্দিন উপজেলার ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার ফিরোজ আলমের বিরুদ্ধে তার দাবিকৃত ঘুষের টাকা না পেলে ভূমি মালিকদের নানাভাবে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগীরা তার বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার না পেয়ে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরছেন।
উপজেলার কুতুবা ৮নং ওয়ার্ডের ভুক্তভোগী আ. খালেক অভিযোগ করে বলেন, কুতুবা মৌজায় ৫১ শতাংশ জমিতে ঘর, পুকুর, বাগান করে স্ব-পরিবারে দীর্ঘ ২৫-৩০ বছর যাবত ভোগ দখলে আছি। আমার পিতৃ ওয়ারিশ কিংবা আমার খরিদা কোন সম্পত্তি নেই। বিবাদীগণ আমার অজান্তে ১১২ বি.এন/২০০৫-২০০৬ তাদের নামে বন্দোবস্ত করে নেয়। আমি ওই বন্দোবস্ত কেইসটি বাতিল করে দখলদারকে বন্দোবস্ত দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক স্যারের বরাবর আবেদন করি।
তিনি এসিল্যান্ডে স্যারকে তদন্তের জন্য দিলে এ বিষয়ে তদন্তের জন্য আসেন সার্ভেয়ার ফিরোজ আলম। তদন্তের কয়েক মাস পরে সার্ভেয়ার ফিরোজ আলম আমার কাছে ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন। আমি গরিব মানুষ অনেক কষ্ট করে তাকে ১০ হাজার টাকা দেই। ওই প্রতিবেদন দিতে তিনি ১৯ মাস গড়িমসি করেন। পরে আমি কোন উপায় না পেয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যকে বিষয়টি অবহিত করলে তিনি বলে দেয়ার পরও ১৯ মাস পরে আমার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন সার্ভেয়ার ফিরোজ আলম।
আমি আমার দেয়া ১০ হাজার টাকা ফেরতসহ আমার ক্ষতিপূরণ চাই। দেউলা ৭নং ওয়ার্ডের শামীম আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, আমার এমপি ৩২৮/২১ মামলার তদন্ত সার্ভেয়ার ফিরোজ আলম ইচ্ছেমত করে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
আমার বাবা নিজে ওই বিরোধীয় ভূমিতে দোকান ঘরটি নির্মাণ করে ৪৭ বছর যাবত আমরা ভোগ দখলে আছি। দোকানের পিছনের ২৪৮নং দলিল মূলে আমি নিজে মালিক। প্রমাণ হিসেবে কাগজ পত্র দেই। তাও সে প্রতিবেদনে উল্লেখ করে নাই। তার মিথ্যা প্রতিবেদনের কারণে আমরা নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছি।
এর প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যারের বরাবর গত ৩১-০৮-২০২৩ ইং লিখিত অভিযোগ দিলে তিনি সহকারী কমিশনার (ভূমি)-কে বিষয়টি দেখতে বলেন। আমি এখনও এর সমাধান পাইনি। এ ধরনের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে সার্ভেয়ার ফিরোজ আলমের বিরুদ্ধে।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা ভূমি সার্ভেয়ার ফিরোজ আলম তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কাজ করি অনেক, তাই আমার শত্রুও অনেক।