গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেনের আধিপত্য বিস্তারের গল্প যেন আলাদীনের চেরাগের কাহিনিকেও  হার মানিয়েছে

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত জাতীয় ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী

 

নিজস্ব প্রতিবেদক  : গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেনের আধিপত্য বিস্তারের  গল্প যেন আলাদীনের চেরাগের কাহিনিকেও  হার মানিয়েছে।  ক্ষমতার অপ- ব্যবহার কিভাবে করতে হয় তা তিনি অক্ষরে অক্ষরে দেখিয়ে দিয়েছেন গণপূর্তের প্রকৌশলীদের। জাতীয় সংসদের একাধিক পাওয়ার ফুল নেতা ও নেতার পিএসকে কাজে লাগিয়ে তিনি একই ডিভিশনে কর্মরত প্রায় পাঁচ বছর। এ সময়ে তিনি নিজের ইচ্ছেমতো ঠিকাদারদের কাজ দেওয়া থেকে শুরু করে নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। এসব করেন তিনি সে সময়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. রোকন উদ্দিনের প্রশ্রয়ে। নিজের ভাই ও শ্যালককে ঠিকাদারীর কাজে লাগিয়ে প্রায় শত’ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। দুর্নীতির অভিযোগে সেই রোকন উদ্দিনের চাকরি চলে গেলেও বহাল তবিয়তে থেকে যান নির্বাহী প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেন। অদৃশ্য ওইসব পাওয়ার বেকআপে রেখে দুর্নীতির বরপুত্র সেজে একটার পর একটা অনিয়ম করে যাচ্ছেন এই প্রকৌশলী ।


বিজ্ঞাপন

প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেনের টেন্ডার সেচ্চাচারিতার অভিযোগ বিভিন্ন  গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয় একাধিকবার,  পত্রিকার প্রকাশিত সংবাদ ও অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিয়ে গত ২ মে এক প্রজ্ঞাপনে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার স্বাক্ষরিত পত্রে অডিট বিভাগে বদলী করা হয় এই প্রকৌশলীকে। একদিকে বদলী আদেশ হওয়ায় ঠিকাদারদের মধ্যে স্বস্থির আমেজ তৈরি হয় আর অন্য দিকে মোয়াজ্জেম হোসেন উল্টা তদবীরে নামেন এ আদেশ ঠেকাতে। সাধারনত জুন মাস সামনে রেখে নির্বাহী প্রকৌশলীদের অন্যত্র বদলী খুবই বিরল। মোয়াজ্জেম হোসেনের এই বদলী থেকে সহজে অনুমান করা যায় যে, গণপূর্ত প্রশাসন জুনের আগের মাসে কেন এমন একটি সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে।


বিজ্ঞাপন
গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেন।

 

 

গণপূর্তের একাধিক প্রকৌশলী জানান, প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেন এর ক্ষমতার বিষয়ে। তারা বলেন, “প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেন কথায় কথায় মন্ত্রী মহোদয়ের নাম ভাঙান”। গণপূর্তমন্ত্রী মোকতাদির চৌধুরীর পিএস হুমায়ুনের বাড়ীর পাশে মোয়াজ্জেমের বাড়ী হওয়ায় এ নামটিও তিনি ব্যবহার করেন সব কাজেই। আর এসব কারণেই ভবনে বলে বেড়াচ্ছেন-খুব শিগগির তিনি ফিরে যাচ্ছেন ভালো কোনো ওয়ার্কিং ডিভিশনে। শেরেবাংলানগর-১ এ যখন মোয়াজ্জেম হোসেন কর্মরত ছিলেন তখনও তিনি  যথানিয়মে অফিস করেন নি। বর্তমানে অডিট বিভাগে যোগদানের পর এখন পর্যন্ত তাকে অফিসে বসতে দেখেননি ভবনের কেউ। প্রতিদিন তিনি সংসদ ও সচিবালয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন নিজেরসহ আরও একাধিক তদবির নিয়ে, এমনটাই জানান স্বয়ং অডিট বিভাগেরই একাধিকজন।

২৪তম বিসিএস এর কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেন শেরেবাংলানগর-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে যোগ দেন ২০১৯ সালে। সে সময়ে তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফজলুল হকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় তাকে বদলি করা হয়।

তার স্থলাভিষিক্ত হয়েই নিজের আপন ভাই মনোয়ার হোসেনকে নিয়ে আসেন ঠিকাদারীতে। আর এখানে তার অধীনেই ঠিকাদারী কাজ করেন তার আপন ভাই। যে কাজগুলো সবচে’ লোভনীয় অথবা যা না করেই বিল তোলা যায় তেমন কাজগুলোই করাচ্ছেন তার ভাইকে দিয়ে। সরকারি চাকুরিবিধি অনুযায়ী যেখানে তিন বছরের বেশি থাকার নিয়ম নেই সেখানে টানা পাঁচ বছর কাটিয়েছেন তিনি।

এ প্রকৌশলীকে ঘিরে গণপূর্তে আরও একটি কথা সবার মুখে মুখে, সেটি হলো যখন যে মন্ত্রী আসেন মোয়াজ্জেম হোসেন তার খুব কাছের লোক হয়ে যান। মন্ত্রী রিলেটেড কোনো একজনকে ম্যানেজ করে ক্ষমতার পূর্ণ স্বাধ ভোগ করেন তিনি।

তাছাড়া জাতীয় সংসদের স্পিকার ও চিফ হুইপের নাম ভাঙিয়েও তিনি নিজের আধিপত্য দখলের কথাও গণপূর্তে ওপেন সিক্রেট।  বেপরোয়া হয়ে ওঠা মোয়াজ্জেম তার উপরস্থ ও অধীনস্থ কোনো কর্মকর্তাকেই পাত্তা দেন না। ইচ্ছেমতো কাজ করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। সাবেক গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদের কাছের লোক হিসেবেও তিনি বেশ পরিচিতি পেয়েছেন ভবনে।

আলোচিত ক্যাসিনো কেলেংকারীর হোতা ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেন সহ অন্যান্য দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলীদের ভাগ্য বিধাতা।

 

 

অনুসন্ধানে জানা গেছে, জিকে শামীম গণপূর্ত অধিদপ্তরের একজন নির্বাহী প্রকৌশলীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ও পরস্পর যোগসাজশে নিটোর প্রকল্প, নিউরোসায়েন্স হাসপাতাল ও সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের বর্ধিতাংশ নির্মাণসহ কয়েকশ’ কোটি টাকার কাজ বাগিয়ে নেয়। শামীম গ্রেফতার হওয়ার পর ওই কর্মকর্তা আলোচনায় আসেন। ফেঁসেও যান তিনি, বেরিয়ে আসে জিকে শামীমের সঙ্গে তার সখ্যতার নানা তথ্য।

একারণে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার বিষয়ে তদন্তও করে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো তাকে পদোন্নতি দিয়ে পুরস্কৃত করেছে। আর এতে চরম ক্ষুব্ধ অধিদপ্তরের সৎ কর্মকর্তরা। আলোচিত এই প্রকৌশলীর নাম মো. ফজলুল হক (মধু)। তৎকালীন সময়ে গণপূর্তের শেরেবাংলা নগর-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্বে থাকলেও বর্তমানে পদোন্নতি পেয়ে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত আছেন রাজশাহী গণপূর্তে। তাকে পদোন্নতির সঙ্গে সঙ্গে এই গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়নও করা হয়। যদিও তার এ মুহূর্তে দুর্নীতির দায়ে শাস্তি হওয়ার কথা। তিনিই জিকে শামীমের প্রতিষ্ঠানকে অবৈধভাবে এই সাড়ে ১০ কোটি টাকা অতিরিক্ত বিল দিয়েছেন।

জানা গেছে, শেরে বাংলা নগর পূর্ত বিভাগ-১ এর দায়িত্ব নেওয়ার পর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন গত ২১ মার্চ, ২০২১ ঢাকা গণপূর্ত মেট্রোপলিটন জোন এর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীকে এ বিষয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। তারপর থেকে প্রধান প্রকৌশলী পর্যন্ত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিজেদের মধ্যে শুধু অযৌক্তিক চিঠি চালাচালিই করছেন। এমনকি এ বিষয়ে একাধিক অযৌক্তিক কমিটিও গঠন করা হয়েছে, যেসব কমিটিকে নতুন করে তথ্য সংগ্রহের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

বস্তুত, সময়ক্ষেপণ এবং দুর্নীতি ধামাচাপা দেয়ার অপকৌশল ছাড়া কিছুই নয়। দায়ী কর্মকর্তাকে সাসপেন্ড করা বা তার বিরুদ্ধে অন্য কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেয়া হয়নি। তাকে শোকজ পর্যন্ত করা হয়নি। দায়ী কর্মকর্তার দায়-দায়িত্ব নিরূপণ করার জন্য বা তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কোনো তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়নি। বিভাগীয় মামলাও দায়ের করা হয়নি। উল্টো তাকে পুরষ্কৃত করা হয়েছে। ফলে এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

গণপূর্তের মাফিয়া ঠিকাদার জিকে শামীম গ্রেপ্তার হওয়ার পর আগারগাঁও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্পের কাজটি তার প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। এ অবস্থায় পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস (পিপিআর) অনুযায়ী জিকে শামীমের প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা কাজটি বাতিল করে কর্তৃপক্ষ। ওই সময় এ প্রকল্পে ঠিক কতোটুকু কাজ সম্পন্ন হয়েছে তা নিশ্চিত হতে গিয়ে কর্তৃপক্ষ দেখতে পায়, কাজের মূল্যের চাইতে প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকা বেশি পরিশোধ করা হয় শামীমের প্রতিষ্ঠান জিকে বিল্ডার্সকে।

মূলত, ২০১৮ সালের ৮ অক্টোবরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের কাজ শুরু করে জি কে শামীমের মালিকানাধীন জি কে বিল্ডার্স। এ প্রকল্পে ১৬৭ কোটি ৭৩ লাখ ৬৯ হাজার ৬৩৩ টাকা ব্যয়ে ১৫ তলা ভবন নির্মাণের জন্য সময় ছিল ২৪ মাস। কিন্তু কাজের কিছু অংশ শেষ হওয়ার পরই তাকে গ্রেফতার করা হয়।

তখন গণপূর্তের পক্ষ থেকে সরেজমিনে পরিদর্শন করে কর্তৃপক্ষ জেনেছে ‘ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান শোর পাইলিংয়ের কাজ শেষ করে হাসপাতালের মূল ভবনের মাটি কাটার কাজ আংশিক শেষ করেছে। বেজমেন্টের ম্যাটের প্রায় ৩০ ভাগ ঢালাই শেষ করে সেখানে ২ ও ৩ নম্বর বেজমেন্টের ছাদ ঢালাই শেষ হয়েছে।’

জাতীয় নিউরোসায়েন্স হাসপাতাল নির্মাণকাজ দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকায় ২০২০ সালের বছর ১৩ জানুয়ারি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে গণপূর্ত অধিদপ্তর।এরপর বিধিমতে নির্মাণকাজের যৌথ পরিমাপের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল হোসাইনকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

একই বছরের ২২ মার্চ প্রকল্প পরিচালক, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ঠিকাদারের প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলীর উপস্থিতিতে কাজের যৌথ পরিমাপ করা হয়। সেই যৌথ পরিমাপে সম্পাদিত কাজের মূল্যমান দাঁড়িয়েছে ১৯ কোটি ৫০ লাখ ৯ হাজার ৯৪৫ টাকা। এর মধ্যে ২০১৯ সালের ১৮ মার্চ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে ৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা বিল দেওয়া হয়েছে। আবার তিন মাসের মাথায় আরও ৩০ জুন আরও ২০ কোটিসহ মোট ২৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে ঠিকাদারকে। সেই হিসাবে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটিকে ১০ কোটি ৪৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা বেশি দেওয়া হয়েছে।

এরপরই পাল্টে যেতে থাকে বাস্তব পেক্ষাপট। ধীরে ধীরে সবকিছুই আবৃত্ত হতে থাকে রহস্যের বৃত্তে। বিষয় অবিহিতকরণ ও পরবর্তী নির্দেশনা প্রাপ্তির জন্য গণপূর্তের ঢাকা গণপূর্ত সার্কেল-৩ (শেরেবাংলা নগর) এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. রোকন উদ্দিন গত ৪ এপ্রিল, ২০২১ গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীকে চিঠি দেন। তিনি দায়ী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ বা অপরাধের দায়-দায়িত্ব নিরূপণের বিষয়ে চিঠিতে কিছুই লেখেননি। রহস্যজনক ভাবেই নীরব থাকেন নির্বাহী প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেন। আর সুযোগে সপ্তাহের ছুটির দিনেই অতিরিক্ত টাকা সমন্বয় করে ফজলুল হক মধুকে শাস্তির বদলে দেওয়া হয় বিশেষ পুরস্কার।

বরং অযৌক্তিক কমিটি গঠন ও চিঠি চালাচালির মাধ্যমে সময় ক্ষেপণ এবং গুরুতর অপরাধকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন বলে মনে করছেন সিনিয়র প্রকৌশলীরা। এমনকি এ ঘটনা ধরা পড়ার পর দায়ী কর্মকর্তাকে শাস্তির পরিবর্তে পদোন্নতি এবং একই সঙ্গে গণপূর্ত অধিদফতরের আকর্ষণীয় ও গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়নও করা হয়েছে। অর্থাৎ দুর্নীতির দায়ে একই সঙ্গে ডবল পুরষ্কার! বছরের পর বছর গণপূর্তের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণকারী জিকে শামীম দরপত্র নিয়ন্ত্রণের অভিযোগে বর্তমানে জেলে থাকলেও তার অদৃশ্য ক্ষমতা এখনো বিদ্যমান। জিকে শামীমের অপরাধ কর্মের সহযোগীরা গণপূর্ত অধিদপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ পদে এখনো বহাল। কেউ কেউ অপরাধ আড়াল করে পদোন্নতিও নিয়েছেন। কারণ, এই সিন্ডিকেটটি অত্যন্ত শক্তিশালী।

“গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আক্তারের সাফ কথা”  সরকারি চাকরিতে বদলী একটি সাধারণ বিষয়। মাঠ পর্যায়ের কিছু প্রকৌশলী তা মানতেই চান না। অনেক প্রকৌশলী একই স্টেশনে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি সময় ধরে কর্মরত থাকার পরও তাদের বদলী করা হলে তারা নানান জায়গা থেকে তদবীর করান!

অভিযোগের বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেন এর মন্তব্য জানতে তার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইল রিসিভ না করায় তার কোন বক্তব্য প্রকাশিত হলো না।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *