নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি পরিচয়ে কোথাও কেউ চাঁদাবাজি-দখলবাজি-অপকর্ম করলে জড়িতদের পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা-১৮ আসনের বিএনপির মনোনীত সাবেক সংসদ সদস্য প্রার্থী ও যুবদল নেতা এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন। আজ (বুধবার) রাজধানীর উত্তরায় এক সংবাদ সম্মেলনে চাঁদাবাজি-দখলবাজির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা দিয়ে একথা বলেন।
দুপুরে উত্তরা ৯ নম্বর সেক্টরের নিজ বাসভবনে আয়োজিত সম্মেলনে এস.এম জাহাঙ্গীর বলেন, আমি দ্ব্যার্থহীন ভাষায় বলতে চাই- সাংগঠনিকভাবে আমার দল ও ব্যক্তিগত আমি সকল প্রকার অন্যায় অপকর্ম, চাঁদাবাজি, দখলবাজির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করি।
দল বা আমার নাম ব্যবহার করে কেউ কোন অপকর্ম করতে চাইলে সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানান।
এর আগে তার বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি পত্রিকার অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে এস এম জাহাঙ্গীর বলেন, লক্ষ্য করছি দু-তিনটি খবরের কাগজে উত্তরার চাঁদাবাজি, দখলবাজির কাল্পনিক ঘটনা উল্লেখ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেখানে আমার নাম জড়ানো হয়েছে। যা খুবই দুঃখজনক, অসত্য ও ভিত্তিহীন।
তিনি বলেন, ৬ আগষ্টের পর থেকে ঢাকা-১৮ (বৃহত্তর উত্তরায়) আসনের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে আমি তাদেরকে সহযোগিতা করেছি এবং উত্তরার সাতটি থানার এলাকায় এলাকায় চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে আমরা মাইকিং ও প্রচারণা চালিয়েছি।
অপরদিকে, স্থানীয় এক পত্রিকা অফিস দখল ও লুটতরাজের অভিযোগ প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, পানি উন্নয়নের বোর্ডের জায়গায় ওই অফিসটি দীর্ঘদিন বিএনপির অফিস ছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সেটি তারা দখল করে। কিন্তু, ৫ আগষ্টের পর অফিসটি প্রাণের বাংলাদেশ নামের একটি পত্রিকা অফিস ব্যবহার শুরু করে। আসলে জায়গাটি বৈধ নয়। যাদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে তারা দুই পক্ষই বিষয়টি নিজেদের মধ্যে মীমাংসা করেছেন।
এদিকে, দু-তিনটি পত্রিকায় তার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও মানহানিকর সংবাদ উপস্থাপন করা হয়েছে জানিয়ে এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এখানে আমি বৈষম্যের শিকার হয়েছি। এসব অভিযোগ প্রকাশ হওয়ার আগে অবশ্যই তথ্য যাচাই-বাছাই হওয়া উচিত ছিল। বিষয়টি এখন আমি আপনাদের (সাংবাদিকদের) বিবেকের কাছেই বিচার দিচ্ছি।