করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২২৩৬

আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য

ডেস্ক রিপোর্ট : চীনে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বৃহস্পতিবার রাতারাতি আরও ১১৮ জন প্রাণ হারিয়েছে। এর ফলে এই ভাইরাসে দেশটিতে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ২২৩৬ জনে গিয়ে দাঁড়ালো।


বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে সিঙ্গাপুরের সংবাদ মাধ্যম দ্য স্ট্রেইটস টাইমস।

শুক্রবার সকালে চীনা স্বাস্থ্য কমিশন এক বিবৃতিতে জানায়, বৃহস্পতিবার দেশটিতে নতুন করে আরও ৮৮৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এর মাত্র একদিন আগে এতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৯৪ জন। হঠাৎ করে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় দেশটিতে করোনায় সংক্রামণের সংখ্যা কমে যাওয়ার দাবি নিয়ে সন্দেহ আরও জোরদার হয়েছে।

বর্তমানে চীনে মোট করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৫,৪৬৫তে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। করোনার কেন্দ্রস্থল হুবাই প্রদেশেও মৃতের সংখ্যা বেড়েছে। চীনা কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে যে ১১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের ১১৫ জনই ওই প্রদেশের বাসিন্দা। আরও স্পষ্ট করে বলতে গেলে হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানের বাসিন্দা।

গত বছরের শেষ নাগাদ এই শহর থেকেই গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়েছিলো ভয়াবহ করোনাভাইরাস। তবে গত ২৬ জানুয়ারির পর থেকে প্রদেশে করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা এখনও অপেক্ষাকৃত কমের দিকে।

চীনের বাইরে করোনাভাইরাসে হংকং ও ইরানে দুইজন করে চারজন এবং তাইওয়ান, জাপান, ফিলিপাইন, ফ্রান্সে একজন করে মোট চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আর বিশ্বের ২৫টি দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে মোট ১০৭৬ জন।

বুধবার ইরানে করোনায় আক্রান্ত দুইজন মারা যাওয়ায় মধ্যপ্রচ্যে এই ভাইরাসে এটিই প্রথম মৃত্যুর ঘটনা। এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিশরে করোনা রোগী সনাক্ত করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বরে চীনের মধ্যাঞ্চলীয় হুবেই প্রদেশে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। মহামারির আশঙ্কায় বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ ইতোমধ্যেই চীন থেকে নিজ দেশের নাগরিকদের সরিয়ে নিয়েছে। মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হওয়া এ ভাইরাস ঠেকাতে চীন-ভ্রমণে কড়াকড়ি আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জাপানসহ বেশ কয়েকটি দেশ।

পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম দশা চীনা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের। শুধু চীন নয়, বিশ্ব জুড়ে বড় বড় গবেষকরা নেমে পড়েছেন নোভেল করোনা রুখে দেওয়ার ওষুধ তৈরিতে। কিন্তু এখনও এই ভাইরাসের কোনও প্রতিষেধক বা ওষুধ আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও।

ইতিমধ্যে করোনাভাইরাসকে বিশ্ববাসীর জন্য ‘মারাত্মক হুমকি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থার মহাপরিচালক ইথিওপিয়ার টেডরস আধানম গেব্রিয়াসেস বলেছেন, এ ভাইরাসটি ‘যেকোনো সন্ত্রাসবাদী পদক্ষেপের চেয়েও শক্তিশালী’হতে পারে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *