নইন আবু নাঈম, (বাগেরহাট) : উপকুলীয় অঞ্চল বাগেরহাটের শরনখোলায় টানা ৩ দিনের বর্ষনে ২ হাজার ৫০ হেক্টর আমন ধানের বীজতলা, সবজি, পানের বরজ পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এছাড়া ৪৯ হেক্টর আয়তনের ১২৫ টি মাছের ঘেরও পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় মৎস্য চাষিরা বিপাকে পড়েছে।
শরণখোলা উপজেলা কৃষি ও মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে বাগেরহাটের শরণখোলায় টানা ৩ দিনের বর্ষণে ২ হাজার হেক্টর আমনের বীজতলা, ৫০ হেক্টর সবজি ও ২ হেক্টর পানের বরজ পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। নিমজ্জিত বীজতলার পানি ৩/৪ দিনের মধ্যে অপসারিত না হলে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হবেন কৃষকরা। এদিকে কৃষকরা জানিয়েছে, বেড়ীবাঁধ নির্মানের পর যে সকল ¯সুইচ গেট নির্মাণ করা হয়েছে তা অত্যান্ত সরু ও গভীরতা কম। যার জন্য যে পরিমান পানি প্রতিদিন নামানো দরকার তা তিন ভাগের এক ভাগ নামানো সম্ভব হচ্ছে। আর এতেই বিড়ম্বনা তাই অনেক কৃষক এই সুইজগেট গুলোকে গলার কাটা মনে করছে। অন্যদিকে টানা বর্ষণে ৪৯ হেক্টর আয়তনের ১২৫ টি মাছের ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। আর এতে মৎস্য চাষিদের প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মৎস অফিস কার্যালয় থেকে জানা গেছে। এছাড়া ব্যাক্তি মালিকানাধিন কয়েক’শ ছোট ছোট ঘের ও সহশ্রাধিক পুকুর পানিতে তলিয়ে গেছে।
উপজেলার উত্তর সাউথখালী মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি অহিদুল হাওলাদার জানায়, তাদের সমিতির মাধ্যমে পরিচালিত ১ একর জায়গার জুড়ে মস্য ঘেরটি তলিয়ে যাওয়ায় তারা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে জানিয়েছে। এছাড়া একই ইউনিয়নের শরণখোলার জালাল মোল্লা বলেন, তার দুইটি ঘের তলিয়ে যাওয়ায় তিনিও বড় আর্থিক সংকটে পড়বেন বলে মন্তব্য করেছেন। ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা সুদীপ্ত কুমার সিংহ, কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার ও সিনিয়র মৎস্য কর্মকতা জাহিদুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, আগামী ৩ দিনের মধ্যে পানি নামানো সম্ভব না হলে কৃষকরা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হবেন বলে তিনি মনে করেন। এছাড়া ৩/৪ দিনের মধ্যে ক্ষয়-ক্ষতি নিরূপন করা সম্ভব হবে। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকতা জাহিদুল ইসলাম বলেন, ভারী বর্ষণে মৎস্যজীবিদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়-ক্ষতি নিরুপন করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা সুদীপ্ত কুমার সিংহ বলেন, ভারী বর্ষণে কৃষিজীবি ও মৎস্যজীবিদের কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে তা নিরুপনের জন্য কৃষি কর্মকর্তা ও মৎস্য কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।