সংশ্লিষ্ট তথ্য-উপাত্ত বলছে, বেইলি রোডের ওই বিতর্কিত দুটি ভবনের মধ্যে ১/২ নম্বর প্লটের ভবনের অনুমোদনই নেই আর অন্য প্লটটিতে সর্বোচ্চ ছয়তলা ভবন নির্মাণের সুযোগ থাকলেও গড়ে তোলা হয়েছে ১৬-তলা আবাসিক অট্টালিকা। আর বিতর্কিত এ দুটি ভবনে ফ্ল্যাট রয়েছে সাবেক মন্ত্রী, সচিব, সাবেক পুলিশ কমিশনারসহ সরকারের একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদদের। যাদের রাজউক কর্মকর্তারা ভিআইপি (অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) হিসেবে চেনেন। সেই ভিআইপিদের কারণে ভবন দুটির বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ তারা। অনুসন্ধানে দেখা যায়, ৬০ ফুট প্রশস্ত বেইলি রোড থেকে সিদ্ধেশ্বরী বালিকা স্কুল অ্যান্ড কলেজের পশ্চিম পাশে ১৬ ফুট প্রশস্ত একটি রাস্তা রয়েছে। বেইলি রোড থেকে ২০০ ফুট অভ্যন্তরে ২৯ নম্বর সিদ্ধেশ্বরী প্লটের অবস্থান, যেখানে ১৬-তলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। রাজউকের বিধিমালা অনুযায়ী ১৬ ফুট রাস্তার পাশে সর্বোচ্চ ছয়তলা ভবন নির্মাণ করে।
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী বালিকা স্কুল অ্যান্ড কলেজের পশ্চিমপাশে ১৬-তলা আবাসিক ভবন। রাজউকের বিধি অনুযায়ী সেখানে সর্বোচ্চ ছয়তলা ভবন নির্মাণের সুযোগ রয়েছে। ছয়তলার বদলে ১৬-তলা ভবন নির্মাণের মাধ্যমে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান প্রায় ৯০ কোটি টাকা অতিরিক্ত মুনাফা করেছে বলে সরকারের এক অডিট রিপোর্টে উঠে এসেছে। আর বিতর্কিত এ ভবনের পাঁচতলায় নিজের ফ্ল্যাটে থাকতেন খোদ সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম। ওই ভবনটিরই সামনে করা হয়েছে অনুমোদনবিহীন আরেকটি নয়তলা ভবন। যদিও রাজউক নয়তলা ভবনটির নকশা অনুমোদনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিল। কিন্তু আইনের ফাঁক গলে ভবনটি গড়ে তোলে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। পরে ভবনটি উচ্ছেদেরও নোটিস দিয়েছিল রাজউক। তবে মামলা করে সেই পদক্ষেপ আটকে দেয় মালিকপক্ষ।
সংশ্লিষ্ট তথ্য-উপাত্ত বলছে, বেইলি রোডের ওই বিতর্কিত দুটি ভবনের মধ্যে ১/২ নম্বর প্লটের ভবনের অনুমোদনই নেই আর অন্য প্লটটিতে সর্বোচ্চ ছয়তলা ভবন নির্মাণের সুযোগ থাকলেও গড়ে তোলা হয়েছে ১৬-তলা আবাসিক অট্টালিকা। আর বিতর্কিত এ দুটি ভবনে ফ্ল্যাট রয়েছে সাবেক মন্ত্রী, সচিব, সাবেক পুলিশ কমিশনারসহ সরকারের একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদদের। যাদের রাজউক কর্মকর্তারা ভিআইপি (অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) হিসেবে চেনেন। সেই ভিআইপিদের কারণে ভবন দুটির বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ তারা। অনুসন্ধানে দেখা যায়, ৬০ ফুট প্রশস্ত বেইলি রোড থেকে সিদ্ধেশ্বরী বালিকা স্কুল অ্যান্ড কলেজের পশ্চিম পাশে ১৬ ফুট প্রশস্ত একটি রাস্তা রয়েছে। বেইলি রোড থেকে ২০০ ফুট অভ্যন্তরে ২৯ নম্বর সিদ্ধেশ্বরী প্লটের অবস্থান, যেখানে ১৬-তলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। রাজউকের বিধিমালা অনুযায়ী ১৬ ফুট রাস্তার পাশে সর্বোচ্চ ছয়তলা ভবন নির্মাণ করা যাবে।
কিন্তু জমির মালিক, নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ও রাজউক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে জালিয়াতির মাধ্যমে সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে ১৬-তলা ভবন। আর ওই ভবনের সামনের ১/২ নম্বর প্লটে নির্মাণ করা হয়েছে নয়তলা একটি আবাসিক কাম বাণিজ্যিক ভবন। ভবনটির প্রথম থেকে চারতলা পর্যন্ত বিপণিবিতান এবং পাঁচ থেকে নয়তলা পর্যন্ত আবাসিক। এ ভবনের নিচতলা ফাঁকা আর সেই ফাঁকা অংশ দিয়ে পেছনের ১৬-তলা অ্যাপার্টমেন্টের (২৯ নম্বর সিদ্ধেশ্বরী প্লট) বসবাসকারীরা যাতায়াত করেন।
২৯ নম্বর সিদ্ধেশ্বরী হোল্ডিংয়েরহ প্লটটিকে ১ নম্বর বেইলি রোড দেখিয়ে প্রথমে ভূমি ব্যবহারের ছাড়পত্র নেওয়া হয়। এরপর নকশার অনুমোদন নিয়ে সেখানে ১৬-তলা ভবন নির্মাণ করা হয়। এভাবে সরকারি বিধি উপেক্ষা করে ছয়তলার স্থলে ১৬-তলা ভবন নির্মাণ করতে দেওয়ায় নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে অতিরিক্ত ৮৯ কোটি ৯২ লাখ ৫০ হাজার টাকার আর্থিক সুবিধা দেওয়া হয়েছে বলে উঠে এসেছে সরকারের পূর্ত অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষায়। ওই নিরীক্ষা প্রতিবেদন নিয়ে সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির (পিএ কমিটি) একাধিক বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে ১৬-তলা ভবনের সামনে থাকা নয়তলা অবৈধ ভবনটি উচ্ছেদ করতে অনুশাসন দেওয়া হয়। কিন্তু অনুশাসন দেওয়ার আট বছরের বেশি সময় পার হলেও ভবনটি উচ্ছেদ করা হয়নি।
রাজউকের সংশ্লিষ্ট এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজউক থেকে ১৬ ফুট রাস্তার পাশে ১৬-তলা ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়নি। বেইলি রোড-সংলগ্ন ৩ হাজার ১৫০ বর্গফুট আয়তনের ১/২ নম্বর প্লটটিকে খালি রাখার শর্তে পেছনের ১ নম্বর বেইলি রোড (২৯ নম্বর সিদ্ধেশ্বরী) প্লটে ১৬-তলা ভবন নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে রাজউক। ১/২ নম্বর প্লটটি ২৯ নম্বর সিদ্ধেশ^রী প্লটে নির্মিত ভবনে যাতায়াতের জন্য খালি রাখার কথা। কিন্তু পরবর্তীকালে ১/২ নম্বর বেইলি রোড প্লটে নয়তলা আবাসিক কাম বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ করা হয়।
জানা গেছে, নয়তলা ভবনটির প্রথম থেকে চারতলা পর্যন্ত মার্কেট এবং পঞ্চম থেকে নবমতলা পর্যন্ত আবাসিক ফ্ল্যাট রয়েছে। ভবনটিতে প্রায় অর্ধশত দোকান রয়েছে। প্রতিটি ফ্ল্যাটের আয়তন ২ হাজার ৩৫০ বর্গফুট। একেকটি ফ্ল্যাটের বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা। এ ভবনটি অবৈধ হওয়ার পরও সেখানে ব্যবসা করার জন্য সিটি করপোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, অবৈধ ভবনে বিদ্যুৎ বিভাগ বিদ্যুৎ এবং ঢাকা ওয়াসা থেকে পানির সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এ কারণে অবৈধ ভবনটিতে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বসবাস চলছে নির্বিঘ্নে।
ভবন দুটির ব্যবস্থাপনা-সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যম কে বলেন , নয়তলা ভবনটির অনুমোদন না থাকার বিষয়টি তারা জানেন। এর উত্তর পাশে বিশাল আকারের ১৬-তলা ভবন। ভবনটির সাতটি ব্লকে ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ২০০ বর্গফুট আয়তনের মোট ২৩২টি ফ্ল্যাট রয়েছে। যেসব ফ্ল্যাটে সাবেক মন্ত্রী, সচিব ও ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাসহ অনেক ভিআইপি বসবাস করেন।
জানা গেছে, প্রায় ৪০ কাঠা জায়গায় ১৬-তলা ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে। ভবনের পাঁচতলায় ফ্ল্যাট রয়েছে সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ. ম. রেজাউল করিমের। তার ফ্ল্যাট নম্বর এন-৫। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের গণপূর্ত মন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার কিছুদিন পর তিনি এ বাসা থেকে পরিবার নিয়ে মন্ত্রিপাড়ার বাসায় গিয়ে ওঠেন। সেখান থেকে আগামী ডিসেম্বরে তার ফের বেইলি রোডের এই ফ্ল্যাটে ওঠার কথা ছিল। যার অংশ হিসেবে মন্ত্রিপাড়ার বাসা থেকে বেইলি রোডের ফ্ল্যাটে আসবাবপত্র আনতেও শুরু করেছিলেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক ভবনটির আটতলার একটি ফ্ল্যাটে, গণপূর্তের সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মাহফুজ আহমেদ এ-৮ নম্বর ফ্ল্যাটে, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সদস্য ফারুক আহমেদ এম-১৫ ফ্ল্যাটে, ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএমএবি) ট্রেজারার আবদুল মতিন পাটোয়ারী জে-১০ ফ্ল্যাটে এবং বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল প্র্যাকটিশনার অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডা. নুরুল ইসলাম এম-৮ ফ্ল্যাটে থাকেন। এর বাইরে ভবনটিতে কয়েকজন সচিব, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদসহ আরও অনেক প্রভাবশালীর ফ্ল্যাট রয়েছে।
ভবন দুটি গড়ে তুলতে অনিয়মের বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে রাজউকের জোন-৬-এর অথরাইজড অফিসার মো. হাসানুজ্জমান গণমাধ্যম কে বলেন, ওই ভবন দুটির বিষয়ে তার জানা নেই। কিছুদিন আগে তিনি এ অঞ্চলের অথরাইজড অফিসার হিসেবে যোগদান করেছেন।
আর রাজউকের সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের সাবেক অথরাইজড অফিসার জোটন দেবনাথ গণমাধ্যম কে বলেন, ‘নয়তলা ভবনটি নকশা অনুমোদন ছাড়াই নির্মাণ করা হয়েছে। আমরা এ ভবনটি উচ্ছেদের নোটিস দিয়েছিলাম। তখন ভবন মালিক হাইকোর্টে মামলা করেন। মামলা চলমান থাকায় ভবনটি উচ্ছেদ করা যায়নি। আদালত আমাদের কাছে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন চেয়েছিল, আমরা ভবনের বিস্তারিত তুলে ধরে প্রতিবেদন দাখিল করেছি। বিষয়টি উচ্চ আদালতে বিচারাধীন। আমাদের আইন শাখা বিষয়টি দেখভাল করছে।’
পরে রাজউকের আইন শাখার পরিচালক শীলাব্রত কর্মকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি গণমাধ্যম কে বলেন, ‘আপনি যে ভবনের কথা বলছেন সেটির অনুমোদন নেই এটা ঠিক। বেইলি রোডের অগ্নিকা-ের ঘটনার পর সেখানকার ভবনের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে রাজউকের উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ শাখা থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
জানা গেছে, এ অনিয়মের বিষয়টি ধরা পড়ে ২০০৬-০৮ সালের গণপূর্ত অডিট অধিদপ্তরের নিরীক্ষায়। এ সংক্রান্ত যে প্রতিবেদন রাষ্ট্রপতির কার্যালয় ও জাতীয় সংসদে পাঠানো হয় তাতে বলা হয়েছে, ‘সিদ্ধেশ্বরী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের পশ্চিম পাশে ১৬ ফুট রাস্তা বিদ্যমান। বেইলি রোড থেকে রাস্তাটি ২০০ ফুট অভ্যন্তরে ২৯ নম্বর সিদ্ধেশ্বরী প্লট। যেখানে ১৬-তলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। যার অনুমোদন-সংক্রান্ত নথি নং-৩সি-৮৩৪/২০০৫। ভবনের সামনের রাস্তার প্রশস্ত অনুযায়ী সর্বোচ্চ ছয়তলা ভবন নির্মাণ করা যাবে। কিন্তু রাজউকের ইমারত পরিদর্শক, অথরাইজড অফিসার ও পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অবৈধভাবে নির্মাণস্থলকে বেইলি রোডসংলগ্ন একটি প্লট দেখিয়ে নকশার অনুমোদন দিয়েছে। অর্থাৎ নির্মাণস্থলকে অবৈধভাবে বেইলি রোডসংলগ্ন প্লট দেখিয়ে ১৬-তলা ভবন নির্মাণের সুযোগ দিয়ে অতিরিক্ত ৮৯ কোটি ৯২ লাখ ৫০ হাজার টাকার আর্থিক সুবিধা দেওয়া হয়েছে।’
জাতীয় সংসদের পিএ কমিটির একাধিক বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৫ সালের ৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত পিএ কমিটির বৈঠকে ১৬-তলা ভবনের সামনের রাস্তার অংশে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে অনুশাসন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এরপরও অবৈধ ভবন ভাঙা হয়নি।
নিরীক্ষা প্রতিবেদনের বিষয়ে রাজউক থেকে যে জবাব পাঠানো হয় তাতে বলা হয়েছে, ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র ও ইমারত বিধিমালা অনুযায়ী ৬০ ফুট প্রশস্ত রাস্তা বিবেচনা রেখে ১৬-তলা ভবন নির্মাণের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। ১৬ ফুট রাস্তার ভিত্তিতে ১৬-তলা ভবনের নকশার অনুমোদন দেওয়া হয়নি। ভবনের নকশার অনুমোদন দেওয়ার শর্ত ছিল এ ভবনের সামনের অর্থাৎ দক্ষিণ পাশের ৪২ গুণ ৭৫ ফুট বা ৩ হাজার ১৫০ বর্গফুট আয়তনের জায়গা খালি থাকবে। সেই খালি অংশে কোনো স্থাপনা করা যাবে না। কিন্তু পরে মো. শরীয়ত উল্লাহ গং ১৬-তলা ভবনের সামনের ওই খালি জায়গায় ভবন নির্মাণের জন্য নকশার অনুমোদন দিতে রাজউকে আবেদন করে।
রাজউক আবেদনটি প্রত্যাখ্যান করে ২০০৮ সালের ১০ জুন চিঠি (যার নম্বর-৩৪৬২/০৩/৭৩৫ স্থাঃ) দিয়ে জানিয়ে দেয়। তখন রাজউকের চিঠির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করে নয়তলা ভবনের নকশার অনুমোদন চাওয়া হয়। রাজউকের চিঠির ওপর স্থগিতাদেশ দেয় হাইকোর্ট। এরপরই নকশার অনুমোদন ছাড়াই নয়তলা আবাসিক কাম বাণিজ্যিক ভবনটি নির্মাণ করে।