নরসিংদী আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট উপ-নিবন্ধক আশরাফুল ইসলাম।
মোস্তাফিজুর রহমান : নরসিংদী আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট উপ-নিবন্ধক আশরাফুল ইসলামের ঘুষ দুর্নীতি চাঁদাবাজি সহ ক্ষমতার অপব্যবহার করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকে অভিযোগ দাখিল করেছেন ভুক্তভোগীরা।
এছাড়াও বিগত সরকারের আমলে ক্ষমতার দাপটে অভিযোগ দিতে না পারায় বেপরোয়া হয়ে উঠেন।ভুক্তভোগীদের অভিযোগে জানা যায় সোনার বাংলা সমবায় কটন মিলস লিঃ-এর মালিকানাধীন মাধবদী সোনার বাংলা সমবায় মার্কেট একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। অভিযোগকারী ওমর ফারুক, রমিজ উদ্দিন, কালাম জানান
মার্কেটের দোকান বরাদ্ধ নিয়ে ভাড়াটিয়া হিসেবে দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যবসা পরিচালনা করিয়া আসিতেছে। সোনার বাংলা সমবায় কটন মিলস লিঃ-এর বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য মোঃ আশরাফুল
ইসরাম , অধ্যক্ষ – আঞ্চলিক সমবায় প্রশিক্ষণ ইনষ্টিটিউট নরসিংদী বিভিন্ন ভাবে ক্ষমতার চরম অপব্যবহার করে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি করে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
ভূক্তভোগীরা জানান, সে আমাদের নিকট হতে প্রত্যেক দোকান বাবদ ৩,০০,০০০/- টাকা চাঁদা দাবী করে এবং উক্ত টাকা না দেওয়ায় আমাদের দোকান তালাবদ্ধ করে রাখেন।
আমরা বিষয়টি কমিটির সাথে বিভিন্নভাবে দেনদরবার করেও ব্যর্থ হয়ে ব্যবসা পরিচালনার স্বার্থে আমরা নগদে প্রত্যেক ব্যবসায়ী ৩,০০,০০০ টাকা করে মোট ২,৫০,০০,০০০ টাকা উক্ত আশরাফুল ইসলামকে প্রদান করলে তালা খুলে দেন।
সে স্থানীয় আওয়ামী লীগের এমপি’র দোসর হিসেবে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বিভিন্ন দুর্নীতি ও হুমকি ধামকি প্রদান করায় তৎকালীন সময়ে তার বিরুদ্ধে সমবায় বিভাগে অভিযোগ করতে পারিনি। এছাড়াও মার্কেটের গলি মেরামতসহ বিভিন্ন ভূয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে সমিতির তহবিল হইতে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন , যাহা প্রকৃত তদন্তের মাধ্যমে বেড়িয়ে আসবে।
তাছাড়া ২০১৬-২০১৭ সালে আশরাফুল ইসলাম জেলা সমবায় অফিসার নরসিংদী থাকাকালীন সময়ে নরসিংদী সদর আসনের এমপি’র সহায়তায় সোনার বাংলা সমিতির পক্ষে মামলা পরিচালনার কথা বলে মার্কেটের প্রায় ৮১৫টি দোকান মালিকদের নিকট থেকে গড়ে ১৫,০০০/৩০,০০০ টাকা করে ১,২০,০০,০০০ টাকা চাঁদা আদায় করে উক্ত অর্থ আত্মসাৎ করে।
এ বিষয়ে স্থানীয় এমপি’র দাপট ও ক্ষমতার চরম অপব্যবহার করে, এবং মুখ খুললে ব্যবসায়ীদের দোকান ছাড়া করা হবে বলে হুমকি দেন আশরাফুল। তিনি একজন সরকারী কর্মকর্তা হয়েও রাজনৈতিক নেতার মত আচরণ করেন যার কারণে নরসিংদী সমবায়ীরা অতিষ্ট।
উপরোক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে উক্ত আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে সরেজমিনে তদন্ত করে এ কর্মকর্তার চরম শাস্তির ব্যবস্থা করে বৈষম্যহীন সমবায় অঙ্গন প্রতিষ্ঠা করার কথা থাকলেও তা চাঁদাবাজির প্রতিষ্ঠান হিসেবে রূপ নিয়েছে । ভুক্তভোগীরা বিচার দাবী করেন।
উল্লেখ্য যে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো জীবীকার তাকিদে জীবন যাপনে মাণউন্নয়নের লক্ষ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক ) বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এবিষয়ে বক্তব্য জানতে চেয়ে অভিযুক্ত আশরাফুল ইসলাম এর মুঠো ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। হোয়াটসঅ্যাপে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও কোনো উত্তর দেননি।