বিশেষ প্রতিবেদক : সিলেটের সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দীপংকর কান্তি দে ও সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান রিপনসহ ছাত্রলীগের ২৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা শহরের হাছননগর আবাসিক এলাকার বাসিন্দা আছবর আলীর ছেলে ও গণ-অধিকার পরিষদ কর্মী মোজাহিদ আলী খোকন সুনামগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট( দ্বিতীয়) আদালতে ওই মামলাটি দায়ের করেছেন।
মামলায় বাদী মামলায় উল্লেখ করেছেন, ২০২৩ সালের ৩১ আগস্ট শহরের উকিলপাড়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে যুব অধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত শান্তিপূর্ণ আলোচনা সভায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দীপংকর কান্তি দে ও সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান রিপনের নেতৃত্বে হামলা করা হয়েছে।
হামলায় হাতুরি, লোহার রড ও হকিস্টিকসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাদের যুব অধিকার পরিষদের নেতা কর্মীদের বেধরকভাবে মারধর করেন অভিযুক্ত আসামীরা। ওই দিনের হামলায় আহতদের হাসপাতালে নিয়েও চিকিৎসা সেবা গ্রহনের সুযোগ দেওয়া হয়নি। কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ ও আলোচনা করতে বিলম্ব হওয়ায় মামলা দায়েরের বিলম্ব^ করা হয়েছে বলে বিজ্ঞ আদালতকে জানান বাদী।
মামলায় বাদী আরো উল্লেখ করেন, ঘটনার সময় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দীপঙ্কর কান্তি দে, সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান রিপন ও ছাত্রলীগের নেতা রিমন আহমদ, আসাদ মাসুদ ও রফিকুজ্জামান রুহেল তাকে (মোজাহিদ আলী খোকন) কে ও যুব অধিকার পরিষদের কর্মী এই মামলার স্বাক্ষী শাল্লা উপজেলার শাল্লা গ্রামের বরকত মিয়ার ছেলে সুহেল বরকত এবং ছাতকের জালালির চর এলাকার সামছুল আলমের ছেলে সুজন মিয়াকে জেলা পরিষদ রেস্ট হাউসে নিয়ে আটকে রাখে।
এরপর তাদের নিকট পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে ছাত্রলীগের অভিযুক্ত আসামিরা। চাঁদা না দেওয়ায় তাদেরকে বেধরকভাবে মারপিঠ করা হয়। এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতারা তাদের কাছ থাকা ১৪ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং শাসিয়ে দেয় সুনামগঞ্জে গণঅধিকার পরিষদের রাজনীতি করলে খারাপ ফল হবে।
গতকাল সোমবার সন্ধায় বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহফুজুল হক হিমেল জানিয়েছেন, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট( দ্বিতীয়) আদালতের বিজ্ঞ বিচারক সাইফুর রহমান বিকেল ৫টার দিকে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসিকে মামলাটি এফআইর হিসাবে থানায় রেকর্ড করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আদেশ প্রদান করেছেন।