ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করা উচিত

এইমাত্র ক্রিকেট খেলাধুলা

স্পোর্টস ডেস্ক : আসন্ন ওয়ানডে সিরিজে সফরকারী জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করতে চান ফাস্ট বোলার আল-আমিন। আগামী ১মার্চ সিলিটে শুরু হতে যাওয়া তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করতে না পারলে সেটা বাংলাদেশ দলের ব্যর্থতা হবে মনে করছেন আল-আমিন। তিন ম্যাচের সব ক’টিই অনুষ্ঠিত হবে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।


বিজ্ঞাপন

একমাত্র টেস্টে জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ও ১০৬ রানে পরাজিত করায় অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। আল-আমিন বলেন, ‘যেভাবে দল খেলছে, তাতে আমাদের উচিৎ জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করা। না পারলে সেটা আমাদের ব্যর্থতা হিসেবে চিহ্নিত হবে।’

গত বিশ্বকাপের পর থেকে টাইগার দলের পারফরমেন্সের গ্রাফটা বেশ নিম্নমুখী। তবে খুব সহজেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট জয়টা দেশের ক্রিকেটের জন্য একটা স্বস্তি এনে দিয়েছে।

বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ মঞ্চে বাংলাদেশ দল দেশবাসীর প্রত্যাশা পুরণে ব্যর্থ হওযার পর শ্রীলংকা সফরে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে। লংগার ভার্সনেও ফর্মটা ভাল যাচ্ছিলো না টাইগারদের। তবে ভারতের মাটিতে টি-২০ ক্রিকেটে ভারতকে হারিয়ে নতুন রেকর্ড সৃস্টি করেছে তারা।

আল-আমিন বলেন, জিম্বাবুয়ে হোয়াইটওয়াশ করলেই সাম্প্রতিক সময়ের বাজে পারফরম্যান্স ঢেকে যাবে না। তবে এটা ভবিষ্যতের জন্য দলের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে।

তিনি বলেন, ‘বিষয়টা এমন নয় যে, জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করতে পারলেই অতীতের খারাপ পারফরম্যান্স মুছে যাবে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আমাদের জিততে হবে এবং সফরকারীরাও নিশ্চই পরাজিত হতে এখানে আসেনি। যেহেতু আমাদের সময়টা ভাল যাচ্ছেনা, তাই বড় একটা জয় আমাদের জন্য ভাল কিছু হবে।’

জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করাটা কোন সন্তোষজনক কারণ হবে কিনা জানতে চাইলে আল-আমিন বলেন, ‘র‌্যাংকিং অনুযায়ী জিম্বাবুয়ের চেয়ে আমরা খুব বেশি এগিয়ে নেই। হতে পারে তারা ১০ অথবা ১১ নম্বরে, আমরা ৮ অথবা ৯ নম্বরের দল।’

ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্স সব সময়ই বোলারদের পারফরম্যান্স গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে জানান আল-আমিন। তিনি জানান, ‘আমরা ভারত ও পাকিস্তানের টেস্ট ও টি-২০ সিরিজ খেলে এসেছি। সব মিলিয়ে আমাদের ব্যাটিং ছিল খুবই খারাপ। যে কারণে বোলার হিসেবে আমরা লড়াই করতে পারিনি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আমাদের ব্যাটসম্যানরা ভাল করেছে এবং একইভাবে বোলিংও ভাল ছিল। আশা করছি ব্যাটসম্যানরা এ ফর্মটা ওয়ানডে সিরিজেও অব্যাহত রাখবে।’

বিশ্বকাপের পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা এবং তিনিই দলকে নেতৃত্ব দেবেন। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছেন,অধিনায়ক হিসেবে এটাই হবে মাশরাফির শেষ ওয়ানডে সিরিজ। তিনি খেলা চালিয়ে যেতে চাইলে ফিটনেস পরীক্ষায় উত্তীর্ন হয়েই তাকে দল জায়গা পেতে হবে।

অনেকেরই ধারনা এটাই হতে যাচ্ছে মাশরাফির শেষ সিরিজ। তবে আল-আমিনের মতে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করে মাশরাফিকে সম্মান জানানোর কিছু নেই।

আল-আমিন বলেন, ‘আমাদের ক্রিকেটে মাশরাফির অবদান অনেক। তিনি এমন একজন অধিনায়ক যিনি খেলোয়াড়দের উদ্বুদ্ধ করতে পারেন।’


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *