নিজস্ব প্রতিবেদক : শুল্ক ফাঁকি দিয়ে সীমান্তের ওপার থেকে নিয়ে আসা ভারতীয় চোরাচালানের মজুদকৃত কয়লা ইঞ্জিন চালিত ট্রলারে বোঝাইকালে ট্রলারসহ অবৈধ কয়লার চালান জব্দ করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের সীমান্তঘেষা হাওরতীরবর্তী কামালপুর গ্রামের আব্দুল মন্নারের ছেলে আলীনুরের বসতবাড়িতে মজুদকৃত চোরাচালানের কয়লা ট্রলার(ছাচতলী) বোঝাইকালে পুলিশ ওই ট্রলারসহ কয়লার অবৈধ চালানটি জব্দ করে।
সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের মিডিয়া সেল জানায়, জব্দকৃত কয়লা ও ৩২ হর্সপাওয়ার ইঞ্জিনযুক্ত ষ্টিল বডি ট্রলারের মূল্য প্রায় ১২ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
মিডিয়া সেল আরো জানায়, একই সময় কয়লা চোরাচলানে জড়িত থাকায় উপজেলার সংসার হাওর তীরবর্তী সীমান্তঘেষা কামালপুর গ্রামের আব্দুল মন্নান ওরফে মন্নারের ছেলে বসতবাড়ির মালিক আলীনুর, তার সহযোগি পাশর্^বর্তী তরং মাইজহাটি গ্রামের মৃত ফরমুজ আলী ওরফে হরমুজের ছেলে এ্যাংরাজুল, তার ছেলে পলক সাবুল বাবুকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
এদিকে কয়লা চোরাচালানে জড়িতদের গ্রেফতারকালে জড়িত উপজেলার লালঘাট সীমান্ত গ্রামের জফুর আলীর ছেলে সাবুল মিয়া, সীমান্ত গ্রাম বড়ছড়া জাহের আলীর ছেলে শুক্কুর আলী সহ আরো ৪ থেকে ৫ কয়লা চোরাকারবারি হাওরের পানিতে ঝাঁপ দিয়ে সাতড়িয়ে কৌশলে পালিয়ে যায়।
মঙ্গলবার বিকেলে থানা পুলিশ ও হাওরতীরের সীমান্তঘেষা কামালপুর গ্রামের একাধিক ব্যাক্তি জানান, গত কয়েকদিন ধরেই পুলিশ-বিজিবি’র তৎপরতা কিছুটা শিথিল থাকায় উপজেলার বিজিবির চারাগাঁঁও -বালিয়াঘাট-টেকেরঘাট বিওপির নিয়ন্ত্রিত সীমান্তের ওপার থেকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ছোট ছোট নৌকায় করে ভারতীয় চোরাচালানের কয়লা চোরাকারবারিরা সংঘবদ্ধ হয়ে প্রায়শই গভীর রাতে মজুদ করতে থাকে কামালপুরের আলী নূরের বসতবাড়ি সহ হাওর তীরের আরো কয়েকটি গ্রামে।
সোমবার মধ্যরাতের পর ২৫ থেকে ৩০ জন শ্রমিক নিয়োজিত করে বসতবাড়িতে থাকা চোরাচালানের মজুদকৃত কয়লা অন্যত্র বিক্রির জন্য ইঞ্জিন চালিত ট্রলারে দ্রুত বোঝাই করতে থাকে।
এরপর গ্রামবাসী খবর দিলে মঙ্গলবার সকালে থানার টেকেরঘাট অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের একটি টিম পৌছলে ডাম্পিং অনুমোদন, এলসির বৈধ কাগজপত্র, মিনিপাস, কোন ধরণের চালানপত্র দেখাতে না পারায় তাৎক্ষণিকভাবে ট্রলারসহ ওই ট্রলারে থাকা প্রায় ২৮ মেট্রিকটন কয়লা জব্দ করে।
তাহিরপুর থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন জানান, গ্রেফতার তিন কয়লা চোরাকারবারি ও পলাতক দুই চোরাকারবারির নামোল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাত নামা ৪ থেকে ৫ জনকে অভিযুক্ত করে চোরাকারবারি চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে সংশ্লিস্ট ধারায় থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।