নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেট সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওড় কেন্দ্রিক পর্যটকবাহী বোটে বিয়ারসহ বিদেশি মদ ক্রয়-বিক্রয় করার অভিযোগে আব্দুল কাদির জিলানী নামের এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রোববার ভোররাতে থানার টেকেরঘাট অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের একটি টিম অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
তবে পালিয়ে গেছে জিলানীর অপর দুই সহযোগী। এ সময় বিয়ারসহ বিভিন্ন বিদেশি ব্রান্ডের ৬০ বোতল মদ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরে সোমবার (৭ অক্টোবর) সীমান্তের পেশাদার তিন মাদক কারবারির নামে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। তাহিরপুর থানা পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করে।
মামলার আসামিরা হলেন- তাহিরপুরের উওর শ্রীপুর ইউনিয়নের সীমান্ত গ্রাম লাকমার পল্লী চিকিৎসক ইদ্রিস মিয়ার ছেলে আব্দুল কাদির জিলানী, একই গ্রামের গোলাম হোসেনের ছেলে আউয়াল মিয়া ও সামসুদ্দিনের ছেলে মনু মিয়া।
সোমবার রাতে তাহিরপুর থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন বলেন, টাঙ্গুয়ার হাওড় কেন্দ্রীক পর্যটকবাহী হাউস বোটে টেকেরঘাটের নিলাদ্রীতে আসা কিছু সংখ্যক নেশাগ্রস্ত পর্যটকদের কাছে বিদেশি মদ (বিয়ার) বিক্রয় করে আসছিল আব্দুল কাদির জিলানী, আউয়াল, মনু নামের ওই তিন পেশাদার মাদক কারবারি। তারা পারিবারিকভাবেই গত কয়েক বছর ধরে সব ধরণের বিদেশি মাদক কারবার করে আসছিল।
ওসি দেলোয়ার আরও বলেন, উপজেলার লাকমা গ্রামে নিজ বাড়িতে পল্লী চিকিৎসক ইদ্রিসের ছেলে আব্দুল কাদির জিলানী তার অপর দুই সহযোগীকে নিয়ে মাদক ক্রয়-বিক্রয় করছে- এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকেরঘাট অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের একটি টিম রোববার ভোররাতে অভিযান চালায়।
অভিযানে আব্দুল কাদির জিলানীর শয়নকক্ষ থেকে বিয়ারসহ বিভিন্ন বিদেশি ব্রান্ডের ৬০ বোতল মদ জব্দ করে পুলিশ। এ সময় পেশাদার মাদক কারবারি আব্দুল কাদির জিলানীকে গ্রেফতার করলেও পুলিশের নজর এড়িয়ে কৌশলে অপর দুই মাদক কারবারি আউয়াল ও মনু দ্রুত পালিয়ে যায়।
সোমবার তাহিরপুর থানায় আউয়াল ও মনুকে পলাতক এবং আব্দুল কাদির জিলানীকে গ্রেফতার দেখিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। ।