ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে এক প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে বিজয়নগর থানার এএসআই আব্দুল করিমের পরকীয়া প্রেমের অভিযোগ উঠেছে। পরকিয়া প্রেমের বাঁধা দেওয়ার সাংবাদিক এস এম গোলাম কিবরিয়া কে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে জেলে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের প্রবাসী গোলাম মোস্তাফা বাবুলের স্ত্রী রোমা আক্তারের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ বিজয়নগর থানার এএসআই আব্দুল করিমের অবৈধ পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। হঠাৎ তাদের এই পরকীয়া প্রেমের অশালীন হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ও কল হিস্টোরি সাংবাদিক গোলাম কিবরিয়ার হাতে চলে আসে।
হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে দেখা যায়, রোমা আক্তারঃ কি? এএসআই করিমঃ কল দাও, রোমাঃ কেন? করিমঃ দেখব, রোমাঃ এত দেখো মন ভরে না? করিম:- না, রোমাঃ- এখন সমস্যা, করিমঃ- কি সমস্যা, কি হলো” এগুলো একদিন রাত ১ টা ৪০ মিনিটের কথোপকথন। তাছাড়া বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন আপত্তিকর মেসেজ রয়েছে।
ফাঁস হওয়া কল লিস্টে দেখা যায়, একদিন রাত ১২ টা ৪৩ থেকে ২ টা ৭ মিনিট পর্যন্ত ৪ বারে ভিডিও কলে ৯১ মিনিট। আরেকদিন রাত ১১ টা ৪১ থেকে ২ টা ৩৯ মিনিট পর্যন্ত ৫ বারে ভিডিও কলে ৮৭ মিনিট। আরেকদিন রাত ১২ টা ৪৩ থেকে ১১ টা ১৯ মিনিট পর্যন্ত ৩ বারে ভিডিও কলে ৭১ মিনিট কথা বলেন।
তাছাড়া দুই জনের মধ্যে বিভিন্ন সময় অডিও ভিডিও কল সহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত ছবি আদান প্রদানের তথ্য দেখা যায়।
জানা গেছে , রোমা আক্তার দুইটি সন্তানের জননী। তার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে থাকে। এই সুযোগে বিজয়নগর থানার এএসআই আব্দুল করিম তার সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। এক পর্যায়ে তাদের এই পরকীয়া সম্পর্ক জানাজানি হয়ে গেলে রোমা আক্তারের দেবর সাংবাদিক গোলাম কিবরিয়া দুজনকেই বারণ করে। সাংবাদিক গোলাম কিবরিয়া তাদের অবৈধ সম্পর্কের পথের কাটাঁ হওয়ায় ঘটে তুলকালাম কান্ড। এএসআই আব্দুল করিম রোমা আক্তারকে দিয়ে একটি মিথ্যা ও বানোয়াট নারী নির্যাতনের মামলা করায়। গত ৫ অক্টোবর রাতে এ এস আই আব্দুল করিম, এস আই ইউনূস কে নিয়ে সাংবাদিক গোলাম কিবরিয়া কে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে প্রবাসীর স্ত্রী রোমা আক্তার গণমাধ্যম কে জানান, আমি আমার সন্তানকে শাসন করার পর আমার শাশুড়ি ও কিবরিয়া আমাকে নির্যাতন করে। এ বিষয়টি আমার স্বামীকে জানালে তিনি থানায় অভিযোগ করতে বলেন। আমি থানার অভিযোগ করার পর করিম স্যার তদন্ত করতে যায়। তখন থেকে স্যারের সাথে মাঝেমধ্যে কথা হতো। এর বাহিরে আমাদের মধ্যে কিছু নেই।
এএসআই আব্দুল করিমের সাথে সারারাত ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভিডিও কলে কথা বলার ব্যাপারে তিনি বলেন, রাতে আমাকে মারার জন্য আমার শাশুড়ি ও কিবরিয়া দরজায় ধাক্কাধাক্কি করলে আমি করিম স্যারকে ভিডিও কলে দেখিয়েছি। করিম স্যারের সাথে পরকীয়ার কথা মিথ্যা।
অভিযুক্ত এএসআই আব্দুল করিম গণমাধ্যম কে বলেন, একটা অভিযোগের ব্যাপারে তাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। রোমা আক্তারের সাথে একদিন কথা হয়েছিল। তবে রোমা আক্তারের সাথে পরকীয়া প্রেমের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।