বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।
জসিমউদ্দিন ইতি, (ঠাকুরগাঁও) : বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিস্ফোরক, দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার ও শিক্ষার্থীদের হত্যার উদ্দেশ্যে মারধরের অভিযোগে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সহসভাপতি সানোয়ার পারভেজ পলক, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অরুনাংশ দত্ত টিটো, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রিপন, জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ আপেল, সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ দত্ত সমীর, দেশ টেলিভিশন ও দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি শাকিল আহম্মেদ সহ ১২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
গত সোমবার (৭ অক্টোবর) রাতে শামীম ইসলাম (সিফান) ঠাকুরগাঁও সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। শামীম ইসলাম সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের লক্ষিপুর এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে।সে ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র।
মামলার এজাহারে ১২১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪০০জনকে ১৪৩/১৪৭/১৪৮/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩২৬/৩০৭/১১৪/১১৪/৩৪ ধারায় তাদের আসামি করে মামলাটি করা হয় বলে নিশ্চিত করেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম।তবে মামলার বাদীর ভাষ্য অনেকের নাম ভুল করে করে মামলায় দেয়া হয়েছে। তা সংশোধন করা হবে বলে জানান তিনি।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আজহারুল ইসলাম, সহসভাপতি আখতারণজ্জামান অনিক, সাধারণ সম্পাদক হিমুন সরকার, রয়েল বড়ুয়া, ওসমান গনি, জি. এম সুফি নিয়াজী, সাংগঠনিক সম্পাদক মার্জিনা আক্তার ঋতু, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এলিট, সাবেক কাউন্সিলর জমিরুল ইসলাম, ন্যাংড়া সোহেল, জুম্মান, কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ আহম্মেদ চৌধুরী রিংকু ও যুবলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক শাওন চৌধুরী প্রমুখ।
এবিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, সোমবার (৭ অক্টোবর) রাতে শামীম ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী ১২১ জঞ্জের নাম উল্লেখ্য করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।