মানুষ নামের পশুর পশুত্বের শিকার অবলা প্রাণীটি।

মো:রফিকুল ইসলাম,(নড়াইল) : কৃষক ইসমাইল ফকির (৬৫) ও তার স্ত্রী শেফালী বেগম চুরির ভয়ে প্রতিদিন রাতে পালাক্রমে পাহারা দিতেন খামারের ৫টি গরু। এর মধ্যে ২টি গর্ভবতী। গোখাদ্যের ভীষণ অভাবের মধ্যেও ধার-দেনা করে প্রাণীগুলোকে লালন-পালন করছেন।

অসহায় পরিবারের স্বপ্ন ছিল ২টি গরুর দুধ বিক্রি করে পরিবারের বাড়তি আয় হবে। কিন্তু রাতের আঁধারে গোয়াল ঘরে আগুন দেওয়ায় ৪টি গরু ও গোয়াল ঘর পুড়ে যাওয়ায় তাদের সে আশা শেষ হয়ে যায়। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) গভীর রাতে কালিয়া উপজেলার পুরুলিয়া ইউনিয়নের নওয়াগগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ইসমাইল ফকির বলেন,প্রতিদিনের মতো আমি ও আমার স্ত্রী গোয়াল ঘর পালাক্রমে পাহারা দিচ্ছিলাম। গত মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) রাত আড়াই টার দিকে দেখি গোয়াল ঘরের কোনায় আগুন,দেখতে পাই তখন প্রতিবেশী নেয়ামত ফকির ও তার ছেলে আমানুল্লাহ্ ফকির ও মানিক শেখ এবং আবদুল্লাহ্ শেখকে দৌঁড়ে পালিয়ে যেতে দেখি।
এ সময় চিৎকার দিলে ও পাশ্ববর্তী মসজিদের মাইকে গ্রামবাসীকে এক করে আগুন নেভানো চেষ্টা করি। কেরোশি তেল দিয়ে আগুন দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তিনি আরও বলেন,আমার এ ঘটনায় প্রায় ৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। অনেক কষ্ট ও ধার-দেনা করে গরু গুলোকে বড় করার চেষ্টা করছিলাম। এখন সব শেষ হয়ে গেল। দুটি গরুর অবস্থা আশংকাজনক।
বাকিগুলোর চিকিৎসা চলছে। গোয়াল ঘরটিও পুড়ে গেছে।এ বিষয়ে গ্রামের বাসিন্দা লাবলু মোল্যাসহ আরো অনেকে বলেন,ইসমাইল ফকির ও নেয়ামত ফকির একই বংশের,তারা একে অপরের নিকটাত্নীয়। দীর্ঘ দিন ধরে তাদের মধ্যে জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত নেয়ামত ফকিরসহ তার ছেলেদের বাড়িতে গিয়েও পাওয়া যায়নি। কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো:রাসেদুল ইসলাম বলেন,আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। উপজেলা পশু চিকিৎসক গরুগুলোকে চিকিৎসা দিচ্ছে। এর মধ্যে দুটির অবস্থা আশংকাজনক। এখনো অভিযোগ পাইনি অভিযোগ পেলে,আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।