ছাত্র জনতার আন্দোলন সংগ্রামের সময় থানা পোড়ানো সুফিয়াম।
সাগর নোমানী, (রাজশাহী) : পুর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিত ভাবে “সকালের সংযোগ” এর জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি (বিএমএসএস)’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রুহুল আমিন পারভেজ কে তার নিজ ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে এসে প্রকাশ্যে হামলা করেছেন কতিপয় সন্ত্রাসী বাহিনী।
গত শনিবার (১২অক্টোবর) সন্ধা ৭ টার সময় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সাংবাদিক রুহুল আমিন পারভেজ প্রতিদিনের মত তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন, হঠাৎ করে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে কয়েকজন ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা এসে হামলা করেন।
জানা গেছে, জয়পুরহাট সদর উপজেলা পাটার পাড়া গ্রামের মৃত আনছার আলীর ছেলে আবু সুফিয়ান, আবু সুফিয়ান এর ছেলে রাব্বু হোসেন রিফাতসহ বেশ কয়েকজন ভাড়াটে সন্ত্রাসী বাহিনী।
এ বিষয়ে সাংবাদিক রুহুল আমিন পারভেজ বলেন, আমার বাবার ও তার ভাইয়ের মধ্যে অনেক দিন ধরে পারিবারিক জমা-জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। আমার ছোট চাচা আবু সুফিয়ান, মেজ চাচা মোঃ সুলতান আলম কে সেচ্ছায় জমি লিখে দেয়ার জন্য বিভিন্ন চাপ প্রয়োগ করছে।
এই নিয়ে বিগত কয়েকদিন থেকে কথা কাটাকাটি হচ্ছিল। এসব দেখে আমি চুপ থাকতে পারিনি, আমার চাচা আবু সুফিয়ানকে পারিবারিক ভাবে সমস্যা সমাধানের জন্য মাএ ভালো মন্দ কিছু কথা বলেছি, এরই জের ধরে আমার উপর চাচা ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী এলোপাতাড়ি আক্রমণ শুরু করে।
এ সময় সন্ত্রাসী আবু সুফিয়ান ও তার ছেলে বলেন, আমি ছাএ আন্দোলন করে দেশ স্বাধীন করেছি, পুলিশের থানাও পুড়িয়েছি, সেখানে তুই সামান্য একটা সাংবাদিক তোকে আমি পানি খাওয়ার সময় দিবোনা। এই কথা বলার ফাকে সন্ত্রাসী আবু সুফিয়ান প্রথমে আমার দোকানে ঢুকেই চিপসের পলিথিন দিয়ে মাথার উপর ও বুকের নিচ পর্যন্ত এনে শ্বাস রুদ্ধ করে হত্যার চেষ্টা করে। এমন পরিস্থিতিতে সাংবাদিক রুহুল আমিন অনেক শক্তি দিয়ে পলিথিন ছিড়ে নিজেকে মুক্ত করে।
আবু সুফিয়ান এর ভাড়াটে সন্ত্রাসী বাহিনী সাংবাদিক রুহুল কে উদ্দেশ্য করে গরম পানির ফ্লাক্স, কাচের গ্লাস ছুড়ে মারে ও অনেক কিল, ঘুষি, দিলে আশপাশের লোকজন এসে জড়ো হলে সন্ত্রাসী বাহিনী সেখান থেকে পালিয়ে যায়। সেই সাথে রুহুল আমিন পারভেজ কে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করার হুমকি প্রদান করেন।
উক্ত বিষয় নিয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিক রুহুল আমিন পারভেজ রবিবার (১৩ অক্টোবর) জয়পুরহাট সদর থানায় একটা লিখিত সাধারণ ডায়েরী করে যাহার জিডি নং ৬৬৯।
উক্ত ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে, জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহেদ আল মামুন বলেন, থানায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।