নিজস্ব প্রতিবেদক : শীত মৌসুমেও সরগরম ইলিশের বাজার। গত কয়েক বছরের মধ্যে তিনগুণ বলে দাবি জেলে ও ব্যবসায়ীদের। বিশ্বে ইলিশের মোট উৎপাদনের ৮০ ভাগ বাংলাদেশের আহরণ করাকে ইতিবাচক বলছেন সবাই।
মৎস্য বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিভিন্ন সময় অভয়াশ্রমে নিষেধাজ্ঞাসহ নানা পদক্ষেপে পুরোপুরি প্রজননে অংশ নিতে পেরেছে মা ইলিশ। ভবিষ্যতে বছরজুড়ে ইলিশ পাওয়ার আশা গবেষকদের। মৎস্য অধিদপ্তর বলছে, উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৬ লাখ মেট্রিক টন ছাড়ালেই রফতানির বিষয়টি ভেবে দেখবে সরকার। এবার শীত মৌসুম জুড়ে ইলিশে সয়লাব ছিল দেশের পাইকারি ও খুচরা বাজার। সাগরে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে ইলিশ। তাই মৎস্যবন্দরগুলোতে প্রতিদিন ট্রলারভর্তি মাছ নিয়ে ফিরেছেন জেলেরা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত কয়েক বছরের মধ্যে শীত মৌসুমে ইলিশের সরবরাহ ছিল প্রায় তিনগুণ বেশি।
বিশ্বের মোট ইলিশ আহরণের ৮০ শতাংশই হয় বাংলাদেশে। গত কয়েক বছরে ক্রমেই বাড়ছে উৎপাদন। মৎস্যবিজ্ঞানীরা বলছেন, সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণেই শীতের সময়েও নদী-সাগরে মিলছে ইলিশ।
ইলিশ গবেষক ড. আনিছুর রহমান বলেন, সারা বছর তারা ডিম ছাড়লে সব সময়ই ইলিশ পাওয়া যাবে এবং পাওয়া যাচ্ছে। এ অবস্থায় দেশের চাহিদা পূরণ করে ইলিশ রফতানির চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে জানান মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস আফরোজ। তিনি বলেন, সর্বোচ্চ উৎপাদন কতটুকু হয় তা আমরা আগে দেখব এবং তা স্থায়ী হলেই আমরা রফতানি শুরু করব।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে দেশে ইলিশ উৎপাদন হয়েছে ৫ লাখ ১৭ হাজার মেট্রিক টন। ১০ বছর আগে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, চাঁদপুর, ভোলা, বরিশাল ও বরগুনা জেলার নদনদীতে ইলিশ পাওয়া গেলেও এখন ১২৫টি উপজেলার নদ-নদীতে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে।