মাসুদুর রহমান : শেরপুর জেলা কারাগার থেকে পলাতক দস্যুতা মামলার হাজতীতে সুমন মিয়া (৪০) কে গ্রেফতার করেছে জামালপুর র্যাব ১৪। রবিবার(২০ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে তিনটায় শেরপুর সদর থানার নবীনগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়৷ তিনি নবীনগর গ্রামের মরহুম ফটিক ড্রাইভারের ছেলে৷ রবিবার সন্ধ্যা ৭ টায় বিষয়টি নিশ্চিত করে জামালপুর র্যাবের অধিনায়কের পক্ষে মিডিয়া অফিসার ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো: নাজমুল হাসান সাংবাদিকদের জানান, শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষিতে গত ০৫ আগস্ট বিকাল অনুমান ৪টায় শেরপুর জেলা কারাগারে কয়েক হাজার দুস্কৃতিকারী আক্রমন করে বিভিন্ন স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি সাধন করে বিভিন্ন মেয়াদের সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন বিভিন্ন মামলার প্রায় ৫১৮ জন হাজতী ও কয়েদীদেরকে পলায়ন করতে সহায়তা করে।
পলাতক হাজতী ও কয়েদীদের তালিকা সংগ্রহ করে হাজতী ও কয়েদীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান শুরু করা হয় । হাজতী নং-১৩২১/২৪ সুমন মিয়াকে আইনের আওতায় আনার জন্য তথ্য প্রযুক্তি ও স্থানীয় সোর্সের সহায়তায় বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে জামালপুর র্যাব জানতে পারে যে, তিনি শেরপুর জেলার শেরপুর সদর থানাধীন নবীনগর এলাকায় অবস্থান করিতেছে। রবিবার দুপুরে জামালপুর কোম্পানির কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এর নেতৃত্বে র্যাবের একটি অভিযানিক দল শেরপুর জেলার সদর থানার নবীনগর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পলাতক দস্যুতা মামলার বিচারাধীন হাজতি সুমন মিয়া (৪০) কে আটক করতে সক্ষম হয়।</
গ্রেফতারকৃত হাজাতী ঢাকা জেলার ( ডিএমপি) তেজগাঁও থানার মামলা নং ৪২, তাং-২৮/০৭/২২, ধারা – ৩৯৩ পেনাল কোড , জিআর নং- ৩৩১/২২, হাজতী নং-১৩২১/২৪ মামলার পলাতক হাজতী ছিলেন।
তিনি আরো বলেন, গ্রেফতারকৃত হাজতিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও অনুসন্ধানে জানা যায় যে, ঘটনার দিন তিনি অন্যান্য কয়েদীদের সাথে কৌশলে শেরপুর জেলা কারাগার থেকে পালিয়ে যান এবং শেরপুর জেলাসহ আশেপাশের বিভিন্ন জেলায় আত্মগোপনে থাকেন।
তাকে গ্রেফতার করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য শেরপুর জেলার শেরপুর সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। জেল পলাতক এসব হাজতী ও কয়েদীদের বিরুদ্ধে র্যাবের জোড় অভিযান অব্যাহত থাকবে।