নিজস্ব প্রতিনিধি : শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে হামলার ঘটনায় করা মামলায় আসামি হওয়ায় মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাসেল আহমেদ ফেইসবুকে পোস্ট করেন “সর্বশেষ নাগরিক সেবা প্রদান” লিখে গত ৩ অক্টোবর বিকেলে সাড়ে ৬ টার দিকে আত্মগোপনে চলে গেছেন ।
কার্যালয় ছাড়ার ১৪ দিন পেরিয়ে গেলেও চেয়ারম্যান এখনো কার্যালয়ে ফেরেননি। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ইউনিয়ন পরিষদের সেবা প্রার্থীরা। চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে শূন্য ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন আওয়ামী লীগের সমর্থিত।
তবে, শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর আত্মগোপনে যাওয়ার আগ পর্যন্ত মাঝেমধ্যে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন মধ্যনগর উপজেলা কৃষকলীগের যুগ্ন আহবায়ক ৭নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য প্যানেল চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেন ।
আওয়ামী লীগের সমর্থক হওয়ায় এ ছাড়া ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা সহ কয়েকজন ইউপি সদস্যও রয়েছেন আত্মগোপনে । সেই সঙ্গে বন্ধ রয়েছে অনেকের মোবাইল ফোন ।
জনপ্রতিনিধিরা পরিষদে না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দেওয়া বিভিন্ন সনদ ও জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনের মতো নাগরিক সেবা কার্যক্রম । সেবা নিতে আসা সাধারণ জনগণ পড়েছেন চরম বিপাকে ।
ইউনিয়ন পরিষদের একাধিক সেবাপ্রার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পরিষদে চেয়ারম্যান না থাকায় তারা দুর্ভোগে পড়েছেন। চেয়ারম্যান উপস্থিত থাকলে বেশিরভাগ সেবা তৎক্ষণাৎ পাওয়া যেত। চেয়্যারম্যান অনুপস্থিত থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করে তিনি যেখানে বলছেন সেখানে যেতে হচ্ছে। এতে ভোগান্তি যেমন বেড়েছে, সেইসঙ্গে খরচ হচ্ছে বাড়তি অর্থ ও সময়।
উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ সুজন মিয়া জানান, জন্মনিবন্ধনের জন্য ইউপি কার্যালয়ে যান তিনি। পরিষদ থেকে অনলাইনে নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করলেও চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর প্রয়োজন। চেয়ারম্যান কার্যালয়ে না থাকায় তার স্বাক্ষর নেওয়া সম্ভব হয়নি। জনদুর্ভোগ নিরসনের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান তিনি।
অনুপস্থিতির বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে কল করে তার মোবাইলের সংযোগ বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
মধ্যনগর উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীনকে একাধিকবার মোবাইল ফোনে কল করলে তিনি মোবাইল রিসিভ না করায় তার কোন প্রকার বক্তব্য প্রকাশিত হলো না।