তিন দিন পেরিয়ে গেলেও  ফরিদ জীবিত না মৃত নিশ্চিত হতে পারেননি  বিজিবি  :  ভারতীয়দের গণপিটুনিতে বাংলাদেশি শ্রমিক হত্যাকান্ডের শিকার

Uncategorized আইন ও আদালত গ্রাম বাংলার খবর জাতীয় বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ সিলেট

এ হল জাদুকাটা নদীর জিরো লাইনের ছবি। এ নদীর ওপারে ভারতীয়রা বাংলাদেশি শ্রমিককে গণটিুনিতে হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে।


বিজ্ঞাপন

 

বিশেষ প্রতিবেদক :  সীমাান্ত নদী জাদুকাটার ওপারে ভারতীয়রা সেখ ফরিদ নামে এক বারকি শ্রমিককে গণপিটুনি দিয়ে হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিহত ফরিদ সুনামগঞ্জ ২৮ -বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন বাংলাদেশ(বিজিবি)’র তাহিরপুরের লাউরগড় বিওপি নিয়ন্ত্রিত এলাকা লাউরগড় সীমান্ত গ্রামের মগবুল হোসেনের ছেলে।


বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার রাতে ২৮ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন বাংলাদেশ (বিজিবি)’র তাহিরপুরের লাউরগড় বিওপির বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার কামাল হোসেন বলেন, এমন একটি খবর লোকমুখে শুনেছি, কেউ কেউ বলেছেন ফরিদ আটক আছেন ভারতে, আবার কেউ কেই বলছেন ফরিদ হত্যকান্ডের শিকার হয়েছে, আমরা এখনো ফরিদ জীবিত না মৃত তা নিশ্চিত হতে পারিনি এমনকি বিজিবির নিকট ফরিদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন খবর জানায়নি।

বৃহস্পতিবার রাতে তাহিরপুরের সীমান্তগ্রাম লাউরগড়ের নানা শ্রেণিপেশার মানুষজন যুগান্তরকে জানান, গেল মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) রাতের কোন এক সময়ে লাউরগড় বিওপির বিজিবি টহল দলের দায়িত্বহীনতার সুযোগ নিয়ে জাদুকাটা নদীর জিরো লাইন অতিক্রম করে বারকি নৌকা নিয়ে ভারতীয় সীমানায় মেঘালয় রাজ্যের নলিকাট্যা থানার ঘোমাঘাট বস্তির তীর সংলগ্ন নদীতে পাথর উক্তোলন করতে যায় সেখ ফরিদ সহ আরো একাধিক বারকি শ্রমিক।

ওই রাতে বাংলাদেশি বারকি শ্রমিকদের দেখতে পেয়ে ভারতীয় নাগরিকরা সংঘবদ্ধ হয়ে ধাওয়া করে সেখ ফরিদকে আটক করে বেধরকভাবে গণপিটুনি দিয়ে দা দিয়ে কুপিয়ে কুপিয়ে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে ভারতীয় সীমানার অভ্যন্তরে। ফরিদের সাথে থাকা অন্য শ্রমিকরা নদী সাতড়িয়ে পালিয়ে এসে পরিবারের নিকট হত্যাকান্ডের খবর পৌছে দেন।

বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার লাউরগড় সীমান্ত গ্রামের বাসিন্দা ভারতে হত্যাকান্ডের শিকার ফরিদের স্ত্রী তাছলিমা বেগম জানান, ওই রাতে আমার স্বামীর সাথে থাকা অন্য শ্রমিকরা নদী সাতড়িয়ে পালিয়ে এসে আমাদেরকে হত্যাকান্ডের খবর জানান।

চার শিশু সন্তানের জননী তাছলিমা আরো বলেন, লাউরগড় বিজিবি ক্যাম্পের পাশেই আমাদেও বসতবাড়ি, সব কিছু জেনেও বিজিবি আমার স্বামীর লাশ ফেরত আনতে কোন রকম উদ্যোগ নেয়নি , মঙ্গলবার রাত থেকে আজ বৃহস্পতিবার রাত তিন দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও ভারতেই কি অবস্থায় কোথায় পড়ে আছে আমার স্বামীর লাশ তা আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি।

বৃহস্পতিবার রাতে সুনামগঞ্জ ২৮ -বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন বাংলাদেশ (বিজিবি)’র অধিনায়ক লে. কর্নেল জাকারিয়া কাদিরের সরকারি মোবাইল ফোনে ও হোয়াটসআপে ভারতে শ্রমিক ফরিদ হত্যাকান্ড’র বিষয়ে জানতে কল করা হলে তিনি ফোন কল রিসিভ করেননি।।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *