!! এক সময় তেল-নুন কেনারও পয়সা ছিল না তার। বসবাস করতেন টিনসেট ঘরে। ছিলেন আরামনগর বাজার এলাকার রফিক ডিলার এর কর্মচারী৷ তবে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর রাতারাতি পাল্টে যায় তার দিন। শুরু করেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের চাল গম কেনার ব্যবসা৷ সে সময়ে আওয়ামী লীগ বা অঙ্গ সংগঠনের কোথাও কোনো পদ-পদবি না থাকলেও ডা: মুরাদের সাথে শুরু করে যোগাযোগ। সেই থেকেই তার ব্যবসা শুরু৷ ২০১৪ সালে জাতীয় পার্টির আমলে মামুনুর রশিদ জোয়ার্দার এর ভাই এনামুল হকের সাথে শুরু করে বিশেষ ও সাধারন বরাদ্দে হরিলুট । ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরের ১ম থেকে ২য় পর্যায় থেকে চলমান অর্থ বছরের বরাদ্দ গুলো তিনিই নিয়ন্ত্রণ করতেন৷ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা-নির্বাচনী এলাকা-প্রথম পর্যায়) সোলার হোম সিস্টেম খাতে ২৩ হাজার ৬৬০ টাকা মূল্যের ৬০ ডব্লিউপি অনুকূলে ৫৬ লাখ ৬০ হাজার ৪০০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। উপজেলার পোগলদিঘায় ১৮৪টি, কামরাবাদে ১৬টি, আওনায় ১৩টি ও মহাদান ইউনিয়নের নামে ছয়টি সোলার বরাদ্দ দেওয়া হলেও দীর্ঘ আজ পর্যন্ত তারা কেউ সোলারই পায়নি। ২০১৯ ও ২০২০ সালে পিআইও অফিসের বরাদ্দকৃত টিআর, জিআর, কাবিখা প্রকল্পগুলো তার পছন্দ মতো নাম-তালিকা করা হয়েছে। যার ২০ ভাগও বাস্তবায়ন হয়নি। অতিদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ৪০ দিনের কর্মসংস্থান (ইজিপিপি) কর্মসূচির দুই কোটি ৫৯ লাখ টাকার সিংহভাগ হরিলুট করা হয়েছে তারই নেতৃত্বে। করোনা ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণের প্রায় ৭০০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ প্রায় ৫০ লাখ টাকা এবং ভিজিএফ প্রকল্পের ২০২ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয় সরকার। বরাদ্দকৃত সহায়তাগুলো লোক দেখানো কিছু বিতরণ করা হলেও সিংহভাগ চাল গুদাম থেকেই উধাও হয়ে যায়। দীর্ঘ ১৪ বছর তার নেতৃত্বে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও কর্মকর্তাদের সাথে কাগজে কলমে বাস্তবায়ন দেখিয়ে সম্পুর্ন টাকা হরিলুট করা হয়েছে। প্রকল্প কমিটিতে যাদের নাম কমিটিতে থাকতো তারাও কখনো প্রকল্পের টাকার চেক হাতে পায়নি !!
নিজস্ব প্রতিনিধি (জামালপুর) : সরকারি বরাদ্দের হরিলুট, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি করে কোটি কোটি টাকার মালিক সরিষাবাড়ী পৌর আওয়ামীলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক রাজু আহমেদ ৷ সরিষাবাড়ী উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ, পৌরসভাসহ আটটি ইউনিয়নের সর্বময় ক্ষমতার মালিক ছিলেন তিনি। এদিকে তথ্য সংগ্রহকালে সাংবাদিক জয় হোসাইনকে মামলায় ফাসানোর হুমকি দিয়েছেন বলে বুধবার রাত ১০ টায় জানিয়েছেন জয় হোসাইন । এ ঘটনায় জামালপুর জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। অতি দ্রুত রাজুকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন কর্মরত সাংবাদিকরা৷
জানা গেছে, এক সময় তেল-নুন কেনারও পয়সা ছিল না তার। বসবাস করতেন টিনসেট ঘরে। ছিলেন আরামনগর বাজার এলাকার রফিক ডিলার এর কর্মচারী৷ তবে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর রাতারাতি পাল্টে যায় তার দিন। শুরু করেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের চাল গম কেনার ব্যবসা৷ সে সময়ে আওয়ামী লীগ বা অঙ্গ সংগঠনের কোথাও কোনো পদ-পদবি না থাকলেও ডা: মুরাদের সাথে শুরু করে যোগাযোগ। সেই থেকেই তার ব্যবসা শুরু৷ ২০১৪ সালে জাতীয় পার্টির আমলে মামুনুর রশিদ জোয়ার্দার এর ভাই এনামুল হকের সাথে শুরু করে বিশেষ ও সাধারন বরাদ্দে হরিলুট । ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরের ১ম থেকে ২য় পর্যায় থেকে চলমান অর্থ বছরের বরাদ্দ গুলো তিনিই নিয়ন্ত্রণ করতেন৷ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা-নির্বাচনী এলাকা-প্রথম পর্যায়) সোলার হোম সিস্টেম খাতে ২৩ হাজার ৬৬০ টাকা মূল্যের ৬০ ডব্লিউপি অনুকূলে ৫৬ লাখ ৬০ হাজার ৪০০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। উপজেলার পোগলদিঘায় ১৮৪টি, কামরাবাদে ১৬টি, আওনায় ১৩টি ও মহাদান ইউনিয়নের নামে ছয়টি সোলার বরাদ্দ দেওয়া হলেও দীর্ঘ আজ পর্যন্ত তারা কেউ সোলারই পায়নি। ২০১৯ ও ২০২০ সালে পিআইও অফিসের বরাদ্দকৃত টিআর, জিআর, কাবিখা প্রকল্পগুলো তার পছন্দ মতো নাম-তালিকা করা হয়েছে। যার ২০ ভাগও বাস্তবায়ন হয়নি। অতিদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ৪০ দিনের কর্মসংস্থান (ইজিপিপি) কর্মসূচির দুই কোটি ৫৯ লাখ টাকার সিংহভাগ হরিলুট করা হয়েছে তারই নেতৃত্বে। করোনা ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণের প্রায় ৭০০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ প্রায় ৫০ লাখ টাকা এবং ভিজিএফ প্রকল্পের ২০২ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয় সরকার। বরাদ্দকৃত সহায়তাগুলো লোক দেখানো কিছু বিতরণ করা হলেও সিংহভাগ চাল গুদাম থেকেই উধাও হয়ে যায়। দীর্ঘ ১৪ বছর তার নেতৃত্বে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও কর্মকর্তাদের সাথে কাগজে কলমে বাস্তবায়ন দেখিয়ে সম্পুর্ন টাকা হরিলুট করা হয়েছে। প্রকল্প কমিটিতে যাদের নাম কমিটিতে থাকতো তারাও কখনো প্রকল্পের টাকার চেক হাতে পায়নি।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর তিনি সরিষাবাড়ী উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে তাল মিলিয়ে চলে আবারো পুনরায় আগের রুপে চেষ্টা করছে। সরিষাবাড়ী উপজেলায় ১৭ বছরে প্রায় ৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের । কাগজ কলমে বাস্তবায়ন দেখিয়ে চেক গুলো উত্তোলন করে সমস্ত টাকা ভাগ ভাটোয়ারা করতেন রাজু ডিলার ৷
খোজ নিয়ে দেখা গেছে, রাজু ডিলার সরিষাবাড়ী পৌর এলাকার সাতপোয়া পশ্চিম পাড়ায় জমি ক্রয় করে বিল্ডিং নির্মাণ , সাতপোয়া ইউনিয়নের চর শিশুয়া গ্রামে জমি ক্রয়, ফয়েজের মোড় এলাকায় নিজস্ব ইট ভাটা সহ বিভিন্ন জায়গায় অসংখ্য জমি ক্রয় করেছেন বলে তিনি জানান ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন জানান, অতীতে রাজু ভাই সরিষাবাড়ীর প্রায় দপ্তর গুলো নিয়ন্ত্রণ করতেন৷ যেখানে যা বরাদ্দ আসত তিনি নিজেই রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় ভাগ ভাটোয়ারা করত৷ ১৭ বছরের উন্নয়নের বরাদ্দের তালিকা বের খোজ খবর নিলে রাজুর নেতৃত্বে দুর্নীতি হওয়া প্রায় ১০০ থেকে ২০০ কোটি টাকার দুর্নীতির সকল কিছু উদ্ধার হবে৷ কে কে জড়িত তাও জানা যাবে । আমরা তদন্তের দাবী জানাই। তাকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে অনেক তথ্য বের হয়ে আসবে৷
এদিকে সাংবাদিক জয় হোসাইন জানান, রাজু সাহেবের বিভিন্ন দুর্নীতির তথ্য সংগ্রহ করে তার বক্তব্য নেওয়ার জন্য কল দিয়েছিলাম । তিনি আমাকে মামলায় ফাসানোর হুমকি দিয়েছে ৷
তবে কথা হলে সরিষাবাড়ী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শওকত জামিল জানান,আমি এখানে নতুন যোগদান করেছি। রাজু সাহেবের নাম শুনেছি। আমার সাথে কখনো কথা হয়নি৷ আগস্টের ৫ তারিখের পর তিনি উপজেলায় আসেনি। আমি যতদিন আছি ততদিন কোন অন্যায় বা অনিয়ম পশ্রয় দেওয়া হবে না।