হ্যান্ডকাপ নিয়ে গ্রেফতার ওসির সোর্স দাবিদার আসামি খোদ পুলিশের হাত থেকেই পালিয়ে গেল বীরদর্পে

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত গ্রাম বাংলার খবর জাতীয় প্রশাসনিক সংবাদ বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ সিলেট

বিশেষ প্রতিবেদক  :  হ্যান্ডকাপ নিয়ে ওসির সোর্স দাবিদার ও উপজেলা যুবলীগ নেতা সাইকুল ইসলাম নামে এক গ্রেফতার আসামি খোদ পুলিশের হাত থেকেই পালিয়ে গেল বীরদর্পে ।সাইকুল সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সীমান্তগ্রাম শিলডুয়ারের বাসিন্দা সদ্য অব্যাহতি প্রাপ্ত উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা তাজ্জত আলীর গুণধর পুত্র। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে বিশ্বম্ভরপুর থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতারের পরপরই হ্যান্ডকাপ পড়া অবস্থায় বীরদর্পে সে পালিয়ে যায়।


বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার রাতে সাইকুলের পালিয়ে যাওয়া এবং সে একটি জি/আর মামলার পলাতক আসামি ছিল বলে নিশ্চিত করেন পুলিশ হেডকোয়াটার্সের এক দায়িত্বশীল অফিসার।


বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার চান্দের বাজারের ব্যবসায়িগণ, শিলডুয়ার এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা ও থানা পুলিশ জানায়, একটি জি/আর মামলার পলাতক আসামি হিসাবে থানার এসআই নবী হোসেন সঙ্গীয় পুলিশী টহল দল নিয়ে রাত ৯টার দিকে সীমান্তের চান্দের বাজার থেকে উপজেলা যুবলীগ নেতা সাইকুলকে গ্রেফতার করে হাতে হ্যান্ডকাপ পড়ান।

এরপর থানায় তাকে নিয়ে যেতে চাইলে পারিবারিক প্রভাবে পরিবারের লোকজন, স্বজন ও ব্যাক্তিগত ভাবে লালিত সীমান্তের চোরাকারবারিদের সহায়তায় হ্যান্ডকাপ পড়া অবস্থায় পুলিশের হাত থেকেই বীরদর্পে পালিয়ে যায় সাইকুল।

অভিযোগ রয়েছে , সম্প্রতি বিশ্বম্ভরপুর থানায় নবাগত ওসি হিসাবে কাওছার আলম যোগদানের পর থেকে চিনাকান্দি সীমান্ত চোরাচালানের ঘাট নিয়ন্ত্রনে নিয়েছে বলে সাইকুল থানার ওসির সোর্স পরিচয়ে থানা পুলিশ, পুলিশের উধ্বর্তন অফিসার, বিজিবি’র অফিসার ও আইনশৃস্খলা বাহিনীর নাম ভাঙ্গিয়ে চিনি, কসমেটিকস, মসলা,বিদেশি মাদক, ইয়াবা কারবারি, আমদানি নিষিদ্ধ ভারতীয় সেখ নাসির বিড়ি, কাঁচা-শুকনা মাছ, ফলমুল ,খাদ্য সামগ্রী, গবাধিপশু , রসুন চোরাকারবারিদের নিকট থেকে চাঁদা আদায় করতে থাকে।

সাইকুলের সীমান্ত চোরাচালান, চাঁদবাজির ব্যাপারে ওসি কাওছার আলমকে এলাকার লোকজন বারবার অভিযোগ করলেও তিনি অদৃশ্য কারনে মামলার পলাতক আসামি সাইকুলকে গ্রেফতার ও তার বিরুদ্ধে অভিযোগের মাঠ পর্যায়ে তদন্ত এমনকি মাদকসহ সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধে কোন দৃশ্যমান আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করেননি।

অভিযোগ রয়েছে, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত ) পদে থাকা অবস্থায় সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থানা থেকে তাকে পুলিশ হেডকোয়াটার্স ও সিলেট রেঞ্জ ডিআইজির আদেশ বলে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার শহর পুলিশ ফাঁড়িতে বদলি করা হয় কাওছারকে। তাহিরপুর থানা থেকে ছাড়পত্র না নিয়ে ছুটি কাটানোর নামে শহর পুলিশ ফাঁড়িতে যোগদান করা থেকে বিরত থাকেন কাওছার। এক পর্যায়ে তদবীর বাণিজ্যের মাধ্যমে কৌশলে কাওছার আলম শহর পুলিশ ফাঁড়ির বদলির আদেশ প্রত্যাহার করিয়ে সীমান্ত চোরাচালান বাণিজ্য ও অপরাধ প্রবণ থানা খ্যাত সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসাবে যোগদান করেন।

বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্বম্ভরপুর থানার এসআই নবী হোসেন জানান, সাইকুলকে গ্রেফতারের পর হ্যান্ডকাপ পড়াই, তারপর গাড়িতে তুলে থানায় নিয়ে আসতে চাইলে তার পরিবারের লোকজন, স্বজন ও সীমান্তের চোরাকারবারিা সংঘবদ্ধ হয়ে জড়ো হলে সে হ্যান্ডকাপ পরিহিত অবস্থাতেই পালিয়ে যায়। আমি সহ ৪ থেকে ৫ জন পুলিশ সদস্য ছিলাম, তাই এত লোকের সামনে আমাদেরকে নাজেহাল অবস্থায় ফিরতে হয়েছে থানায়।

বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্বম্ভরপুর থানার ওসি কাওছার আলমের নিকট সাইকুলের পালিয়ে যাওয়া ও তার বিরুদ্ধে নানামুখী অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে তার সরকারি মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি ফোন কল রিসিভ করেননি।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *