শোয়েব হোসেন : রাজধানীর জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ২৫ ও ২৬ শে অক্টোবর রোজ শুক্রবার ও শনিবার দুইদিন ব্যাপী সমগীত সংস্কৃতি প্রাঙ্গণ’র আয়োজনে “সমগীত সাংগঠনিক কর্মশালা” অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
বিস্তারিত তথ্যে জানা যায়, “সমগীত সংস্কৃতি প্রাঙ্গণ” দেশব্যাপী সংস্কৃতানুরীদের মাঝে আলোড়ন সৃষ্টিকারী একটি স্বনামধন্য সাংস্কৃতিক সংগঠন যার পথচলা শুরু হয় ২০০২ সাল থেকে । সংগঠনটি প্রতিবছর বিভিন্ন নতুন গানের দল, একক শিল্পী, আদিবাসী ও লোকনৃত্যের দল, বাউল গান, পাপেট শো, পারফরম্যান্স আর্ট,শিশু চিত্র প্রদর্শনী,লিটলম্যাগ প্রদর্শনী/পরিবেশনা সহ ” প্রকৃতি মঙ্গলযাত্রা” শিরোনামে র্যালি ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত করে থাকে। তাছাড়াও বিভিন্ন মেয়াদে এই প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন বছরে সংগীত অনুশীলন কর্মশালার আয়োজন করে আসছে।সেই অনুশীলন কর্মশালার আকর্ষণীয় ও গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে দুই দিনের এই সাংগঠনিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়ে গেল রাজধানীর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিকী অনুষদ ভবনে!
জানা যায়, উক্ত দুই দিনের কর্মশালার মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিলো দেশীয় শিল্প ও সংস্কৃতি চর্চার গুরুত্ব,প্রয়োজনীয়তা ও বিশালতা নিয়ে আলোচনা। তাছাড়া দেশীয় সংস্কৃতির রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং দেশীয় সংস্কৃতির ওপর বিদেশি সংস্কৃতির প্রভাব-প্রবাহমান ধারা সহ অতীত,বর্তমান ও ভবিষ্যতের সমস্যা,সমাধান ও সম্ভাবনা ইত্যাদি নিয়েও আলোচনা হয় ।এর পাশাপাশি এই কর্মশালার আরো আকর্ষণীয় দিক হচ্ছে নাচে-গানে,আনন্দ-উল্লাসে সময়টিকে উপভোগ্য ও স্মরণীয় করে তোলা ।
কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন অমল আকাশ (একটিভিষ্ট,শিল্পী, শিক্ষক ও সমগীতের প্রতিষ্ঠাতা),বিথী ঘোষ(বাংলা প্রভাষক, বোরহান উদ্দিন কলেজ ও সাধারন সম্পাদক-সমগীত), ধীমান সরকার ( সহকারী অধ্যাপক, চারুকলা বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়)। সঞ্চালক হিসেবে ছিলেন তোফাজ্জল হোসেন (প্রধান শিক্ষক, আমাদের পাঠশালা),সভা প্রধান হিসেবে ছিলেন দিনা তাজরীন, (শিক্ষক ও সমগীত সংগঠক)।শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্ক সুমন (মিউজিশিয়ান), কৃষ্ণকলি (শিল্পী)।তাছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন কিশোর সংগঠন গঙ্গা ফড়িংয়ের সদস্যবৃন্দ।সার্বিক যোগাযোগ ও আপ্যায়নে ছিলেন শরিফুল ইসলাম, মুজাহিদ জিহাদ ,সুজিত, ইমন মেহেদী ও সজল প্রমুখ।
উক্ত কর্মশালা শুক্রবার আনুমানিক সকাল দশটার দিকে শুরু হয়ে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলে। বিভিন্ন বিরতিতে আপ্যায়ন ও নাচ গানের মাধ্যমে দর্শনীয় ও উৎসবমুখর হয়ে ওঠে ।শনিবারে আবারও সকাল ১০:০০ টা থেকে শুরু হয়ে মধ্যাহ্ন পর্যন্ত স্থায়ী হয়।মধ্যাহ্ন ভোজের পর ফটোসেশন শেষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ ও বিদায় জানিয়ে জাবি এর প্রাতিষ্ঠানিক গাড়িতে করে সমগীতের দল নিজ নিজ গন্তব্যে যাত্রা করেন।