নিজস্ব প্রতিবেদক : ডিবিসি টেলিভিশন থেকে চার সাংবাদিকের চাকরিচ্যুতির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে তাদের স্ব-স্ব পদে পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ। অন্যথায় আগামী বুধবার (৬ নভেম্বর) ডিবিসি কার্যালয় ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারী দিয়েছেন তারা।
গত রবিবার (২ নভেম্বর) বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন ও মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)’র সভাপতি মো: শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, নারী সংবাদকর্মীদের যৌন হয়রানি, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা এবং ওই আন্দোলন দমাতে তৎকালীন সরকারকে উস্কানি দেয়াসহ নানাবিধ অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় কোন ধরনের নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে সম্পূর্ণ স্বৈরাচারি কায়দায় চারজন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করা হয়।
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আরও কয়েকটি চিহ্নিত গণমাধ্যমের ন্যায় পতিত স্বৈরাচারী সরকারের সবধরনের অপকর্মের অন্যতম সহযোগী ছিল এই টেলিভিশন চ্যানেলটি। তাদের সহযোগীতা আর উস্কানিতেই বিগত সাড়ে ১৫ বছর নির্বিচার গণহত্যা, গুম, লুটপাট, ধর্ষণ, চাঁদাবজিসহ নানাবিধ নৃশংস অপকর্ম চালিয়েছিল ফ্যাসিস্ট সরকার।
তারা বলেন, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে নস্যাৎ করার ফ্যাসিবাদি চক্রান্তের অংশ হিসেবে আন্দোলনকারীদের সন্ত্রাসী, জঙ্গী ও দুস্কৃতিকারি আখ্যা দিয়ে তাদের ওপর গণহত্যা চালানোর প্রকাশ্য উস্কানি দিয়েছিল এই ডিবিসিসহ বেশ কয়েকটি জনধিকৃত গণমাধ্যম। অথচ ফ্যাসিবাদের চিহ্নিত দোসররা এসব গণমাধ্যমে এখনও বহাল-তবিয়তেই তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। তারা আগের চেয়ে আরও বেশি শক্তি সঞ্চয় করে ছাত্র- জনতার আন্দোলনের পক্ষে থাকা সাংবাদিকদের একের এক কোনঠাসা ও চাকরিচ্যুত করে যাচ্ছে, যা অদূর ভবিষ্যতে আরও গভীর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
নেতৃবৃন্দ হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ডিবিসি থেকে চাকরিচ্যুত চার সাংবাদিককে তাদের পূর্বের দায়িত্বে পুনর্বহাল করতে হবে। একই সঙ্গে স্বৈরাচারের দোসরদের সরিয়ে দিয়ে প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। অন্যথায় আগামী বুধবার ডিবিসি কার্যালয় ঘেরাওসহ পরবর্তীতে যেকোন অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে।