ক্ষুদে শিক্ষার্থীর সঙ্গে মাদ্রাসাশিক্ষকের এ কেমন বর্বরতা!

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত গ্রাম বাংলার খবর জাতীয় বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ সিলেট

নিজস্ব প্রতিবেদক : সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে বাদাঘাট ক্যাডেট মাদ্রাসায় তৃতীয় শ্রেণির এক ক্ষুদে শিক্ষার্থীকে বেত দিয়ে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম আব্দুল্লাহ আল ফাহিম। তিনি তাহিরপুরে বাদাঘাট ক্যাডেট মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। ওই শিক্ষকের বাড়ি জেলার দিরাই উপজেলার শ্যামারচর গ্রামে।


বিজ্ঞাপন

তৃতীয় শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীর বাড়ি তাহিরপুরের উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের হাওর তীরবর্তী একটি গ্রামে। উপজেলার মোল্লাপাড়া খালুর বাড়িতে থেকে বাদাঘাট ক্যাডেট মাদ্রাসায় দ্বীনি শিক্ষার জন্য ভর্তি হয়েছে ওই ক্ষুদে শিক্ষার্থী।


বিজ্ঞাপন

বুধবার দুপুরে আহত শিক্ষার্থীর পিতা জানান, মাদ্রাসায় নিয়মিত না যাওয়ার অজুহাতে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর ৯ বছর বয়সি আমার শিশুসন্তানকে শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল ফাহিম পুরো শরীরে বেত্রাঘাত করে রক্তাক্ত জখম করেন। আমার শিশুসন্তান মাদ্রাসার অন্যান্য শিক্ষার্থী-শিক্ষকের সামনে ওই শিক্ষকের পা জড়িয়ে ধরে প্রাণভিক্ষা চাইলেও শিক্ষকের মন গলেনি। তিনি মাদ্রাসার কক্ষে শুইয়ে একের পর এক জালি বেত দিয়ে আমার অবুঝ সন্তানকে বেধড়কভাবে পেটাতে থাকে।

ওই অভিভাবক আরও বলেন, দিন কয়েক পূর্বে ওই মাদ্রাসা থেকে আমাকে জানানো হয়েছিল- আমার সন্তান নিয়মিত মাদ্রাসায় যাচ্ছে না। আমি নিজে মাদ্রাসায় গিয়ে ওই শিক্ষককে অনুরোধ করেছিলাম তিনি যেন আমার সন্তানকে নিজ সন্তানের ন্যায় বুঝিয়ে মাদ্রাসামুখী করেন কিন্তু আমি জানতাম না আমার অনুরোধের ফলাফল হিসেবে আমার শিশু সন্তানকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় দেখতে হবে।

অভিযোগ রয়েছে কয়েক মাস পূর্বে ওই মাদ্রাসায় একই কায়দায় অপর এক শিক্ষক এক ক্ষুদে শিক্ষার্থীকে বেধড়কভাবে ছাত্রকে পিটিয়ে আহত করেন। ওই অভিভাবক আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিলে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান এলাকার প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধা প্রদান করেন।

বুধবার অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল ফাহিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি ওই ক্ষুদে শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাতে আহত করার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, মাদ্রাসায় নিয়মিত না আসার কারণে আমি ওই শিক্ষার্থীকে শাসন করতে গিয়ে এমনটি করেছি।

এ বিষয়ে কথা বলতে তাহিরপুরে বাদাঘাট ক্যাডেট মাদ্রাসার প্রধান মাওলানা আব্দুল কাইয়ুমের মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *