নিজস্ব প্রতিনিধি (কুমিল্লা) : কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ধামতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মহিউদ্দিন মিঠু ও তার ছোট ভাই সোহরাব হোসেন শিপু’র বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখল ও প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই ইউনিয়নের দুয়ারিয়া গ্রামে মানববন্ধন শেষে সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে ভূক্তভোগী মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন, আমার ও আমার ছোট ভাই মোকবল হোসেনের খরিদকৃত জমি জোরপূর্বক দলখ করেছে আওয়ামীলীগ নেতা ও ধামতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মহিউদ্দিন মিঠু।
২০২২ সালে মিঠু চেয়ারম্যান তার ঢাকার অফিসে আমাকে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক একটি বায়না পত্রে স্বাক্ষর করান এবং আমার হাতে একটি ৪৩ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন। আমি সেই চেক নিতে রাজি না হওয়ায় চেয়ারম্যান এবং তার ছোট ভাই সোহরাব হোসেন শিপু আমাকে হত্যার করার হুমকী দেয়। ঢাকা থেকে ফিরে এসে আমি সাবেক সাংসদ রাজী মোহাম্মদ ফখরুলসহ থানা পুলিশের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি। কিন্তু কারোর কোন সহযোগিতা পাইনি।
পরে আমার ছোট ভাই মোকবল হোসেন প্রবাস থেকে ফিরে এসে ৪ ফেব্রæয়ারী ২০২৪ সালে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
কিন্তু আদালতে মামলা থাকার পরও ওই চেয়ারম্যান ও তার ছোট ভাই সোহরাব হোসেন শিপু লোকজন দিয়ে ৩১ আগস্ট আমাদের জমি দখল করে সেখানে একটি ঘর তুলেন এবং সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেয়।
এখন তারা আমাদেরকে হুমকী দিয়ে আসছে, আমরা যদি জমি নিয়ে বারাবারি করি তাহলে আমাদের হত্যা করে ফেলবে বলে। তাই আমরা ন্যায় বিচারের পেতে সরকারের সহযোগিতা চাই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মহিউদ্দিন মিঠুর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, হুমায়ুন কবির ঢাকায় আমার ব্যবসায়ীক অফিসে এসে জমি বিক্রি করার বিষয়টি জানালে তিনজন স্বাক্ষীর উপস্থিতিতে ৫২শতক জমির মূল্য হিসেবে ৪৩ লক্ষ টাকা নির্ধারন করা হয় এবং তিনি ঢাকায় ফ্লাট ক্রয় করার অনুরোধে আমার নিকট থেকে পুরো ৪৩লক্ষ টাকার একটি চেক নিয়ে বায়নাপত্র করেন।
পরে তিনি সেই টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলনও করেন। পরে তারা জমি আমার নামে রেজিষ্ট্রি না করে দিয়ে উল্টো দুই বছর পর এসে আমার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানী করছে।