সমাজসেবার আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রেতাত্মা ফরিদ আহমেদ বহাল তবিয়তে!

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত জাতীয় ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী

সাবেক আওয়ামীলীগের প্রেতাত্মা ছাত্রলীগ নেতা অতিরিক্ত পরচিালক ফরিদ আহমদে মোল্লা (সামাজিক নিরাপত্তা)।


বিজ্ঞাপন

 

নিজস্ব প্রতিবেদক :  সমাজসেবা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক(সামাজিক নিরাপত্তা) ফরিদ আহমেদ মোল্লার বিরুদ্ধে প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় বাড়ি ও আওয়ামী তকমা থাকায় বিগত আওয়ামী সরকারের শাসনামলে বিশেষ সুবিধাভোগী কর্মকর্তা ছিলেন।


বিজ্ঞাপন

ফরিদ আহমেদ মোল্লা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। তার ভাইরা টুঙ্গিপাড়া আওয়ামী লীগে পদধারী নেতা। দলীয় পরিচয়ে অধিদপ্তরে নিয়োগ,বদলি ও পদোন্নতির বিষয়ে প্রভাব বিস্তার করে প্রচুর টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। সরকার পতনের পরও এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন তিনি।

জানাগেছে, অতিরিক্ত পরচিালক ফরিদ আহমদে মোল্লা (সামাজিক নিরাপত্তা) নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে ”প্রতিবন্ধীতা শনাক্তকরণ কর্মসূচির” দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে এখাতের বরাদ্দের অধিকাংশ আত্মসাৎ করেছেনে। কর্মসূচিতে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে কমপিউটার ক্রয়, গাড়ী ভাড়া (তিনি সিটিএম প্রকল্পরে গাড়ীতে চলেন), আনুষঙ্গিক বিভিন্ন প্রকাশনা ও প্রচার খাত, প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন খাতের টাকা খরচ করেছেন তা দৃশ্যমান নয়। ২০২১-২২ বা তার পূর্বে প্রতিবন্ধী শনাক্তকরন কর্মসূচি সেলের অন্যান্য কর্মকর্তাদের দিয়ে প্রশিক্ষণ পরিচালনা করা হলেও ফরিদ আহমদে মোল্লা দায়িত্ব গ্রহণের পর থেেক কাউকে দিয়েই কোন প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন নি। আদৌ বাস্তবে প্রশিক্ষণ হয়েছে কি না কিংবা কোন খাতে কি খরচ করছেনে বা আত্মসাৎ করেছেন তা তদন্ত করার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট মহল।

অন্যদিকে ফরিদ আহমদে মোল্লা সিটিএম, এটুআই সহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণে তার নিজস্ব কিছু লোক দিয়ে সেশন পরিচালনা ও ভুয়া বিল ভাউচার করিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে সূত্র দাবি করছে।

এদিকে ফরিদ আহমদে মোল্লা উপপরচিালক (কার্যক্রম-২) এ থাকাকালীন সোনালী ব্যাংক, আগারগাঁও শাখায় চলতি হিসাব(নং-৪৪৪০৪০২০০০৫৯৭) খুলেন। উক্ত হিসাবে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তৎকালীন হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো: আব্দুল কাদের এর স্বাক্ষরিত একই ব্যাংক শাখার ৪৪৪০৪৩৩০০০২৬৩ নং হিসাব থেকে ১৯-৭-২০১৮তারিখে ১,৬৭,১৯,৩০৮ টাকা জমা করা হয়েছে। উক্ত হিসাব থেকে দাপ্তরিক কোন প্রকার খরচ না করে ২৬/৭/২০১৮ তারিখে ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা তার ব্যক্তিগত সঞ্চয়ী হিসাব নম্বরে ট্রান্সফার করনে।

উক্ত টাকা অতিরিক্ত পরিচালক হওয়ার সময়ে পুনরায় ৪৪৪০৪০২০০০৫৯৭ নং হিসাবে ফেরত জমা দেয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত ডকুমেন্টস আমাদের হস্তগত হয়েছে। বিষয়টি বিদ্যমান আইন অনুসারে চরম আর্থিক অনয়িম বলে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞগণ মনে করছেন।

এরপরে অতিরিক্ত পরিচালক হওয়ার পরেও বিভিন্ন সময়ে ব্যক্তিগত কাজে সরকারি একাউন্ট থেকে অনেক অর্থ উত্তোলন করেন যা আর কখনো একাউন্টে জমা দেননি বলে জানাগেছে।

বর্তমানে উক্ত হিসাবে প্রায় ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা জমা আছে। হিসাবটি ও সংশ্লষ্টি ফাইল উপপরচিালক  (কার্যক্রম-২) কে এখনো বুঝিয়ে দেয়া হয়নি বলে সূত্র দাবি করেছে।

এবিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত পূর্বক দোষিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারিগণ।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *