বিশেষ প্রতিবেদক : বাংলাদেশের নাগরীক অধিকার নিশ্চিত করতে বৃটিশ আর ইন্ডিয়ান আগ্রসন থেকে পূর্ব বাংলাকে দিল্লীর চক্রান্ত থেকে মুক্তির লড়াইয়ের সম্মুখ লাইনে ছিলেন! তিনি অনেক মুসলিম নেতাদের সাথে রাজপথে ছিলেন।
১৯৪৬ এ করম চাঁদ গান্ধী অত্যান্ত কৌশলে বিহার সহ বিভিন্ন স্হানে মুসলিম গণহত্যা করায়?সৈয়দ আবুল মকসুদ ভাসানী কাহিনীতে”১১৫ পৃষ্টায় শিরোনাম” ‘আপনি তো ৫০ সালেই বলেছিলেন’ শিরোনামের লেখাটা একটু উদ্ধৃতি দিতে চাই। ১৯৭০ সালের ৩০ মে আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল যাচ্ছিলেন এক জনসভায় ভাষণ দিতে।
তাঁর সফরসঙ্গী সাংবাদিক ছিলেন এপিপি সংবাদ সংস্হার বিশেষ সংবাদদাতা সৈয়দ মোজাম্মেল হক। পথে মধ্যে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী আর শেখ মুজিব এর গাড়ী ক্রস করার সময় দেখে গাড়ী থামিয়ে নেমে আসলেন।
মুজিব তখন বললেন ১৯৫০ থেকেই তো আপনি স্বাধীনতার কথা বলছেন।তারপর মজলুৃম জননেতা মওলানা ভাসানী দক্ষিণ অন্চলের প্রাকৃতিক দূর্যোগ এলাকা পরিদর্শন শেষে ঢাকায় ফীরে শ্লোগান দিলেন “ভোটের বাক্সে লাথী মারো বাংলা স্বাধীন করো।
এ আহবানে গোটা জাতি নির্বাচন বয়কট করলো আর জ্বাল ভোটের প্রক্রিয়া শুরু হলো। তারপর পাকিস্তানি জানতা আর ভোটারের বয়কট ভোটে দখলদার আ’লীগ প্রধানের সাথে আলোচনায় বসলো হোটেল ইন্ট্রারকন্টেনেন্টালে ।
৯ মার্চ মজলুৃম জননেতা মওলানা ভাসানী স্পষ্ট করে বলে দিলেন গোপান আতাত বা আলোচনায় লাভ নাই! দেশ এখন স্বাধীনতার জন্যে প্রস্তু। তার আগে ১৯৬৯ যখন মজলুৃম জননেতা মওলানা ভাসানী নটরডাম কলেজের ওখান থেকে একটা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন? পথে মধ্যে ন্যাপ অধ্যাপক মোজ্জাফর সাহেব কয়েকজন সাথে যোগদেন। দৈনিক বাংলা মোড় এর আগে জামায়াত যোগ দিলে অধ্যাপক মোজ্জাফর সাহেবের গায়ে আগুন ধরে ওঠে?
তিনি বিক্ষোভ এর মধ্যে হুজুরকে গিয়ে বলেন হুজুর পিছনে জামায়াত? হুজুর এই কথা শুনে বললেন ওনারা তো মানুষ আজকের এই বিক্ষোভে যদি কুকুর শিয়াল বেড়াল থাকলেও ওরা স্বাধীনতার পক্ষের? এই কথা শুনা অধ্যাপক মোজ্জাফর খুশী হলেন না? মিছিল থেকে অধ্যাপক মোজ্জাফর তার কয়জন সহকর্মী নিয়ে চলে গেলো।
তারপর মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ মিছিল শেষ করলেন? এই বিষয়ে ১৯৭৩ সালে ঢাকার শাহাজাহানপুর মজলুৃম জননেতা মওলানা ভাসানীর কাছে জামায়াতের স্বাধীনতার সময় ভুমিকার কথা জানতে চাইলে হুজুর উত্তর দিলেন”যে কারণে ইন্ডিয়া আমাকে অন্তরিন রেখে ছিলো একই একারণেই ওরাও আজ প্রতিপক্ষ।
হুজুর বললেন ওরা ওদের মিথ্যা অভিযোগে হত্যা করতে চায়! আমার প্রতিবাদে মুজবিব দালাল আইন করে দুই কুল রক্ষা করলো? সেই মুজিব আবার স্বাধীন বাংলার স্বপ্নদ্রোষ্ট্রা, রুপকার, স্হপতি মজলুৃম জননেতা মওলানা ভাসানীকে শাহজাহানপুর থেকে সন্তোষ নিয়ে অন্তরিন করে রাখেন।
বাকশাল গঠনের পর এই মজলুৃম জননেতা বলেন বিদায় ঘন্টা বেঁজে উঠেছে। ১৫ আগষ্টের পর হুজুর ৭২’মার্চে ৪ তারিখে পল্টনে বলেছেন দিল্লী এ জাতীর একমাত্র শত্রু। সেই কথায় পুর্ণ উল্লেখ করে বললেন আগষ্ট বিপ্লবের অর্জন নিশ্চিত করতে হলে দিল্লীর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকলে লক্ষে পৌছাতে পারবে।
ইতিমধ্যে ৩ননভেম্বর ১৯৭৫ বিভক্তিতে সফল হলে নতুন করে কাউন্টার ক্যু করে দিল্লীর আশ্রিত আটক করে স্বাধীনতার ঘোষক সেনাবাহিনীর উপ-প্রধান মেজর জেনারেল জিয়া উর রহমানকে গৃহবন্দী করে।
তারপর ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লব আর সংহতি দিবসে আবার ফীরে এলেন দেশপ্রেমিক। ১৯৭৬ সালে মজলুৃম জননেতা মওলানা ভাসানী পিজি হাসপাতাল কেবিনে ভর্তী হন।তখন পিজির পরিচালক অধ্যাপক নুরুল ইসলাম।
একদিন পরিচালক সাহেব হুজুরের কেবিনে এসে বললেন হুজুর জেনারেল জিয়া আপনাকে দেখতে আসতে চায়! হুজুর শুয়ে ছিলেন ওঠে বসলেন বললেন নুরুল ইসলাম সাহেব কোন দেশপ্রেমিক আমাকে দেখতে আসলে অনুমিত কেন লাগবে কেন? আসলেন স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া উর রহমান সালাম দিলেন হুজুর সালামের উত্তর দিলেন।
তারপর হাত আগিয়ে দিয়ে হাত মিলাতে গেলে হুজুর বললেন এই দেশের দায়িত্ব নিতে হবে। কথাটা শুনে হুজুরকে বললেন আমি তো রাজনীতি কোন দিন করি নাই! হুজুর বললেন আপনি দায়িত্ব নেবেন আমি রাজনৈতিক সমর্থন দেবো।
তারপর কুশলাদী বিনিময় শেষে জেনারেল জিয়া উর রহমান চলে গেলেন। পরবর্বতিতে দায়িত্ব পরলো মগবাজারের অগ্নিকন্যা আমেনা বেগমের বাসায় ভাড়া থাকা ন্যাপ ভাসানীর মহাসচিব মরহুম মশিউর রহমান যাদু মিয়াকে পিজি হাসপাতালে নিয়ে আসে।
তারপর যাদু ভাই এর সাথে কিছুক্ষন আলাপ করে বেড়িয়ে এসে বললেন হুজুর হাসপাতাল থেকে ছুটি নিয়েবের হওয়ার পর হুজুর ন্যাপ থেকে পদত্যাগ করেন।মশিউর রহমান যাদু মিয়া, ন্যাপের সভাপতি হলেন। এর পর ফ্রন্ট তার বিএনপি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হলো।শুরু থেকে ২/১ জন বাঙালী জাতীয়তাবাদী দর্শন রেখে বাকী ইসলামী মুল্যেবোধ আর দিল্লীর চক্রান্ত সম্পূর্কে অবহিত এমন রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের সম্মনয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গঠন হয়।
মজলুৃম জননেতা ৪৮ বছর আগে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল দুনিয়া থেকে বিদায় নিলেন মহান মালিক এর দরবারে হাজিরা দিতে। এই খবর শুনে হাসপাতালে ছুটে আসেন স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া উর রহমান,ব্রীগেডিয়ার জে,ড,খান সহ অনেকেই? আজকে ৪৮ তম মৃত্যু দিবসে গোটা শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের কাছে আহবান।
সন্তোষের মওলানা ভাসানী বিশ্বাবিদ্যালয় তার স্বপ্ন অণুযায়ী “ইসলামী বিশ্বাবিদ্যালয় ঘোষনা করা। ইসলামী বিশ্বাবিদ্যালয়ের মওলানা ভাসানীর তৈরী পাঠ্যসুচি কার্য়কর করা। দিল্লী আগ্রসন বিরোধী রাজনৈতিক অবস্হান সুদৃঢ় করা।
জনগনের ভোটের, মৌলিক,নাগরীক অধিকার,আইনের শাসন নিশ্চিত করে প্রত্যক্ষ ভোটের পরিবেশ নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। মজলুৃম জননেতা মৃত্যু দিবস জাতিয় দোয়া দিবস ঘোষনার আহবান জানানোর মধ্যে দিয়ে আজকের মত শেষ করলাম।
লেখক : প্রতিষ্টাতা চেয়ারম্যান বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক এ্যাসোসিয়েশন (বিআরজেএ). সিনিয়র সাংবাদিক, সম্পাদক দৈনিক শিকল।