ড্রেনেই কিলবিল করছে কিউলেক্স মশার লার্ভা

এইমাত্র জাতীয় রাজধানী স্বাস্থ্য

বিশেষ প্রতিবেদক : মশা মারতে কম খরচ হয়নি কামানের গোলা। কিন্তু রাজধানীর মশা নিধনে ব্যবহৃত কীটনাশক কোনো কাজেই আসছে না। ল্যাবটেস্টে দেখা গেছে, ৬ ঘণ্টা কিংবা ১২ ঘণ্টা পরেও প্রায় শতভাগ কার্যকর ব্যবহৃত কীটনাশক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অবৈজ্ঞনিক পদ্ধতিতে কীটনাশক দেয়ার কারণে ফলাফল শূন্য। এদিকে মশককর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণের কথা বলেই দায় সারছে সিটি করপোরেশন।
রাজধানীর উত্তর সিটি করপোরেশনের উত্তরার তিন নম্বর সেক্টর। ডিএনসিসির রুটিন মাফিক ছয় দিন বাদে এ এলাকায় মশা নিধনে লার্ভিসাইড দেয়ার পালা। নালা-নর্দমায় প্রথমে ম্যালেরিয়া ওয়েলবি ও লার্ভিসাইড দেয়া চলছে। এই কাজ করছেন ৩৫ জন কর্মী।
কর্মীরা বলছেন, মশা তো মরেই। প্রতিদিন আমাদের ৫ লিটার করে ওষুধ দেয়া হয়। সেটি দিয়ে যা পারি সেটাই করি।
প্রায় ৬ ঘণ্টা পর দেখা গেল সেই ড্রেনেই কিলবিল করছে কিউলেক্সের লার্ভা। উড়ছে মশা।
এলাকাবাসীরা বলেন, মশার যন্ত্রণায় এমন অবস্থা। হাত দিয়ে চাপা দিলেই হাতে পাঁচশ’ মশা মারা যায়।
দিন শেষে আবারো সরব মশককর্মীরা। বলতে গেলে কামান নিয়ে হাজির। অলিগলি থেকে প্রতিটি বাড়িতেই পৌঁছেছে ফগার মেশিনের শব্দ। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা সারাদিনের কর্মযজ্ঞকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে এলাকাজুড়ে কিউলেক্সের রাজত্ব।
পিটিসি কীটতত্ত্ববিদদের দাবি, মশক নিধনের পুরো প্রক্রিয়াই হচ্ছে অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে।
ল্যাব রিপোর্ট বলছে, লার্ভিসের হিসেব ব্যবহৃত টেবিফসের নমুনা তিনটির মধ্যে প্রথমটি কার্যকর ছিল ছয় ঘণ্টা পর ৯৭.৯৭ শতাংশ, দ্বিতীয়টি নমুনাটি কার্যকর ছিল ৯৮.৩৩ শতাংশ এবং তৃতীয়টি কার্যকর ছিল ৯৮.৭৫ শতাংশ। আর ১২ ঘণ্টা পর প্রতিটি কার্যকর ছিল ৯৮.৩৩ শতাংশ। তাহলে প্রশ্ন ওঠে সমস্যাটা আসলে কোথায়।
নানা অজুহাত দিয়ে সিটি করপোরেশেন বলছে, এবারও প্রশিক্ষণের আওতায় আসছে সব মশোক কর্মী।
কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলেন, যে পানিতে যতটুকু দেয়ার কথা যে পরিমাণ দিলেই মশা নিধন হওয়ার কথা। ফগিং উপরের দিকে করার কথা। সেটি উপর থেকে নামতে ২০ মিনিট সময় লাগে। তখন নিচে থাকা মশা মারতে পারবেন।
ডিএনসিসি প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমেনুর রহমান মামুন বলেন, আমাদের স্থায়ী কর্মীরা যতটুকু জানে অন্যদিকে বাহিরের কর্মীরা ততটুকু জানে না। আমরা তাদের প্রশিক্ষণ দেয়ার ব্যবস্থা করছি। অন্যদিকে এরই মধ্যে পর পর দু’দিনের বৃষ্টিতে উঁকি দিচ্ছে এডিস বিস্তারের শঙ্কা।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *