চুক্তি নবায়নের মাধ্যমে এআই ইমেজিং প্রযুক্তির উন্নয়নে গবেষণা কেন্দ্র চালু করেছে অপো ও হংকং পলিটেকনিক ইউনিভার্সিটি

Uncategorized অর্থনীতি জাতীয় ঢাকা বানিজ্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী

নিজস্ব প্রতিবেদক  :  গুয়াংডং অপো মোবাইল টেলিকমিউনিকেশনস কর্পোরেশন লিমিটেড (অপো) ও দ্যা হংকং পলিটেকনিক ইউনিভার্সিটি (পলিইউ) ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠান দুইটির চুক্তি অনুযায়ী পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য একটি চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এই উদ্যোগ ওয়াংডং-হংকং-ম্যাকাও গ্রেটার বে এরিয়ার (জিবিএ) সমন্বয়ে ভূমিকা রাখবে। চুক্তি নবায়ন অনুযায়ী, পলিইউ-অপো জয়েন্ট ইনোভেশন রিসার্চ সেন্টারগ আরও উন্নত করার মাধ্যমে অপো আর্থিক ও প্রযুক্তিগত বিনিয়োগ বাড়াতে পলিইউ-এর সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করবে, যা এআই ইমেজিং প্রযুক্তিতে তাদের অংশীদারিত্বের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।


বিজ্ঞাপন

পলিইউ-এর সঙ্গে অপো’র সহযোগিতামূলক ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি স্বাক্ষর :  হংকং পলিটেকনিক ইউনিভার্সিটির (পলিইউ) ক্যাম্পাসে গত ০১ নভেম্বর একটি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এতে উপস্থিত ছিলেন পলিহড- এর প্রেসিডেন্ট প্রফেসর জিন-গুয়াং টেং এবং অপো রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট জেসন লিয়াও। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন পলিইউ-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট (গবেষণা ও উদ্ভাবন) প্রফেসর ক্রিস্টোফার চাও এবং অপো’র ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া অ্যাফেয়ার্স হেড ঝেং কিন। এই চুক্তির আওতায় “পলিইউ-অপো জয়েন্ট ইনোভেশন রিসার্চ সেন্টার”-কে উন্নত করার মাধ্যমে “জয়েন্ট ইনোভেশন রিসার্চ সেন্টার”-এ পরিণত করা হবে। এছাড়াও, অপো আগামী পাঁচ বছরে ন্যূনতম ৩০ মিলিয়ন ইউয়ান বিনিয়োগ করবে, যা পিএইচডি ও পোস্টডক্টরাল গবেষকদের প্রশিক্ষণ বাড়ানো এবং ইমেজিং অ্যালগরিদমের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও গবেষণায় ভূমিকা রাখবে। এই উদ্যোগ এআই ইমেজিং প্রযুক্তিতে অপো ও পলিইউ-এর মধ্যকার অংশীদারিত্বকে আরও মজবুত করবে।


বিজ্ঞাপন

অপো রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট জেসন লিয়াও বলেন, “পলিইউ-এর সঙ্গে গত তিন বছরের সহযোগিতায় আমরা প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং প্রতিভা বিকাশে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছি। ‘টেকনোলজি ফর ম্যানকাইন্ড, কাইন্ডনেস ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’ লক্ষ্যকে সামনে রেখে, বিশ্বব্যাপী ব্যবহারকারীদের আরও উদ্ভাবনী ও বুদ্ধিমান ইমেজিং অভিজ্ঞতা দিতে এআই এর মাধ্যমে অপো একাডেমিয়া-ইন্ডাস্ট্রির এই সহযোগিতাকে আরও এগিয়ে নিতে কাজ করছে?”

পলিইউ-এর প্রেসিডেন্ট প্রফেসর জিন-গুয়াং টেং বলেন, “এআই যুগের সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পলিইউ ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে আনুষ্ঠানিকভাবে কম্পিউটার অ্যান্ড ম্যাথমেটিকাল সায়েন্সেস ফ্যাকাল্টি প্রতিষ্ঠা করবে। ক্রমবর্ধমান প্রযুক্তিগত চাহিদা পূরণ এবং প্রতিভা বিকাশে সহায়তা করার জন্য এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবন কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। যৌথ উদ্ভাবনী গবেষণা কেন্দ্রে পরিচালনা করা কম্পিউটিং বিভাগ নতুন ফ্যাকাল্টির অন্তর্ভুক্ত হবে। এই নতুন কাঠামো গবেষণা দলগুলোর মধ্যে বিশদ তথ্য আদান-প্রদান এবং সহযোগিতা বাড়িয়ে আরও কার্যকর ফলাফল তৈরি করবে। আমরা বিশ্বাস করি, অপো-এর সঙ্গে এই সহযোগিতা প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং জ্ঞান বিনিময়কে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।”

গুয়াংডং-হংকং-ম্যাকাও গ্রেটার যে এরিয়ায় (জিবিএ) সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অপো ও পলিইউ ২০২২ সালে “পলিইউ-অপো যৌথ উদ্ভাবনী ল্যাব। প্রতিষ্ঠার চুক্তি স্বাক্ষর করে। মাত্র তিন বছরের মধ্যেই বিভিন্ন উন্নত ইমেজিং অ্যালগরিদম সফলভাবে তৈরি ও প্রয়োগ করে এই যৌথ ল্যাব একাধিক উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। এর মধ্যে এআই সুপার রেজোল্যুশন প্রযুক্তি অপোর বিভিন্ন পণ্যে টেলিফটো ফটোগ্রাফির মান উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করতে ব্যবহৃত হয়েছে। পাশাপাশি, ফটোগ্রাফির অভিজ্ঞতাকে বাড়িয়ে তুলতে আলোর বিভিন্ন পরিস্থিতিতে উচ্চমানের হবি তুলতে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে। এইচডিআর ইমেজিং অ্যালগরিদম।

একইসঙ্গে, এই যৌথ ল্যাব জেনারেটিভ মডেলের ভিত্তিতে ইমেজ রিস্টোরেশন এবং ডিটেইল এনহ্যান্সমেন্ট প্রযুক্তির পাশাপাশি ইন্টারেকটিভ ইমেজ ও ভিডিও এডিটিং প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। এই গবেষণাগুলো ছবি তৈরির গুণমান এবং স্থিতিশীলতা বাড়িয়েছে এবং ছবি ও ভিডিও পোস্ট প্রসেসিংয়ের জন্য নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে। এছাড়াও, অপোর এআই ইমেজিং প্রযুক্তিতে কাজ করে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন চালিয়ে যাওয়া পিএইচডি ও পোস্টডক্টরাল গবেষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে যোথ ল্যাব প্রতিভা বিকাশে বড় ভূমিকা রেখেছে।

জিবিএ-তে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং প্রতিভা বিকাশে নতুন গতি আনতে অপো ও পলিইউ-এর ক্রমবর্ধমান এই সহযোগিতামূলক উদ্যোগ এআই ইমেজিং প্রযুক্তির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ভবিষ্যতে, উভয় পক্ষ একাডেমিয়া-ইন্ডাস্ট্রির সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করবে এবং এআই ইমেজিং প্রযুক্তির উদ্ভাবনী ব্যবহারগুলোকে ত্বরান্বিত করবে।

অপো সম্পর্কে : শীর্ষস্থানীয় গ্লোবাল স্মার্ট ডিভাইস ব‍্যান্ড ‘অপো’, ২০০৮ সালে। স্মাইলি ফেস’ মোবাইল ফোন এর মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে এবং সে থেকে কোম্পানিটি নান্দনিক উৎকর্ষতা ও অভিনব প্রযুক্তির সমন্বয়ে সেরা পণ্যটি গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিতে নিরুলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে অপো ‘দ্য ফাইন্ড’ ও ‘রেনো’ সিরিজে জনপ্রিয় ডিভাইসগুলো সহ বৈচিত্র্যময় বিভিন্ন স্মার্টফোন সরবরাহ করছে। মোবাইল ফোন ছাড়াও অপো ব্যবহারকারীদের ‘কালারস অপারেটিং সিস্টেম’ এবং ইন্টারনেট সার্ভিসেস যেমন- অপো ক্লাউড এবং অলো। সেবা সরবরাহ করছে। বিশ্বের ৬০টির বেশি দেশ ও অঞ্চলে অপোর ‘ফুটস্ক্রিট রয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানটির ৪০ হাজারের বেশি কর্মী বিশ্বজুড়ে ভোক্তাদের জন্য সুন্দর আগামী বিনির্মাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *