বিশেষ প্রতিবেদক : রাজধানী মুগদা এলাকায় ১০ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মানিক মিয়া (৩৫) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে মুগদা থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে গত কাল বুধ বার সকাল অনুমান ৭ টার দিকে। স্থানীয়দের বিষয়টি নজরে আাসলে থানা পুলিশকে খবর দিয়ে আটক করানো হয়। পরে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার উদ্দেশ্যে আসামিকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। তবে গণমাধ্যম কর্মীদের জোড়ালো আপত্তির কারণে রাত অনুমান দেড়টার দিকে পুনরায় আসামিকে গ্রেফতার করে ধর্ষণ মামলায় আদালতে চালান করেন।
জানা গেছে মুগদা এলাকায় মানিক নগর কাজি জাফর স্কুলের সামনে শুভ মিয়া পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। পাশের ভাড়াটিয়া মানিক একই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। প্রায়ই মানিক মিয়া শুভ মিয়ার ১০ বছরের মেয়েকে টাকার দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তার রুমে ডেকে নিতেন। পরিবারের কেউ বিষয়টি বুঝতে পারতেন না।
ঘটনার দিন গতকাল বুধবার সকাল অনুমান ৭ টার দিকে নিহাকে ৬০ টাকা দেবে বলে তার রুমে ডেকে নেয়। পরে নিহা বুঝে ওঠার আগে তাকে বিবস্র করে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। শিশু নিহা ডাক চিৎকার করলে তরকারি কাটা বডি দিয়ে তাকে খুন করার হুমকি দেয়।
নিহা প্রাণের ভঁয়ে চুপ থাকলেও পাশের ভাড়াটিয়া বিষয়টি দেখে ফেলেন এবং ¯স্থানীয়দের বিষয়টি নজরে আনেন। ভিকটিমের বাবাসহ স্থানীয়রা থানা পুলিশকে জানালে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।
ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে প্রথমে নিহার বাবাকে একলাখ টাকার মুচলেকা দিয়ে মিমাংসার কথা বলে থানা থেকে বেরকরে দেয় পুলিশ। তবে গণমাধ্যম কর্মীদের জোড়ালে আপত্তির মুখে রাত আনুমান দেড়টার দিকে ছেড়ে দেওয়া আসামি পুনরায় গ্রেফতার করে ধর্ষণ মামলায় আদালতে চালান করতে বাধ্য হয় পুালিশ।
ভিকটিমের বাবা শুভ মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, আমি থানায় মামলা করতে গেলে আমাকে একমাস পরে একলাখ টাকা দেবে বলে থানা থেকে বেরকরে দেয় পুলিশ।
বিষয়টি ধামাচাপা দিতে আমার বাড়িওয়ালাও জড়িত ছিলেন। আমি বিষয়টি সাংবাদিকদের জানালে তারা আমাকে সহযোগিতা করেন। আমি মামলা দিয়েছি সঠিক বিচাারের দাবি জানাই। মুগদা থানার এস আই আতোয়া রহমার্ন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।