পদ্মায় নৌকাডুবির ঘটনায় ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার

জাতীয় জীবন-যাপন রাজশাহী সারাদেশ

রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহীর পদ্মা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দুর্ঘটনাস্থলের অদূরে তাদের মরদেহ পাওয়া যায়।


বিজ্ঞাপন

উদ্ধার মরদেহগুলো হলো: বাবা শামীম (৪০), মেয়ে রশ্মি খাতুনের (১০) , শামীমের স্ত্রী মনি বেগম (৩৫), কনের খালাতো ভাই এখলাস, কনের দুলাভাই রতন আলীর (২৮) ও রতন আলীর শিশুকন্যা মরিয়ম খাতুনের (৮)।


বিজ্ঞাপন

এদিকে এখনো কনে পূর্ণিমা, খালা আঁখি ও ফুফাতো বোনের মেয়ে রুবাইয়ার সন্ধান পাওয়া যায়নি। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।

শুক্রবার বরের বাড়ি থেকে বর-কনেকে নিয়ে আসছিল কনেপক্ষ। সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজশাহী নগরীর শ্রীরামপুর ডিসির বাংলো এলাকায় পদ্মা নদীতে ডুবে যায় নৌকাগুলো। সে সময় নৌকায় থাকা ৩৫ যাত্রীর মধ্যে ৯জন শুধু তাৎক্ষণাত ডাঙ্গায় পৌঁছতে পারে। বাকিদের কয়েক দাপে উদ্ধার করা হয়। সর্বশেষ নিখোঁজ হওয়ার ছয়জনের মরদের উদ্ধার করা হলো। এখনো কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে।

শনিবার সকাল থেকে নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস, নৌপুলিশ ও বিজিবির যৌথ দল। দুপুরে অভিযানে অংশ নেয় বিআইডব্লিউটিএর ডুবুরি দল। তাদের সঙ্গে স্থানীয় জেলেরাও উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন।

মর্মান্তিক এ নৌকাডুবিতে যাদের জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে তাদের মধ্যে আছে বর আসাদুজ্জামান ওরফে রুমন আলী (২৬), কনের বড়বোন বৃষ্টি খাতুন (২২), নৌকার মাঝি খাদিমুল ইসলাম (২৮), সুমন আলী (২৮) ও তার স্ত্রী নাসরিন বেগম (২২) এবং মেয়ে সুমনা আক্তার (৬)।

উদ্ধারকাজ তদারকি করছেন রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলাম।

তিনি বলেন, ডুবে যাওয়া নৌকা দুটি ছিল ডিঙি নৌকা। ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই ছিল। হঠাৎ একটি নৌকার ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। ওই সময় দমকা হাওয়ায় ডুবে যায় নৌকা দুটি।

অনুসন্ধান ও উদ্ধার সমন্বয় কেন্দ্রের ফোকাল পয়েন্ট সালাহউদ্দিন আল ওয়াদুদ বলেন, সকাল থেকে যৌথ উদ্ধার অভিযান চলছে। দুপুরে দুর্ঘটনাকবলিত নৌকা দুটির অবস্থান নিশ্চিত হওয়া গেছে। উজান ও ভাটিতেও উদ্ধার তৎপরতা চলছে। নৌকা দুটিতে ৪১ জন আরোহী ছিলেন। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৩২ জনকে। মরদেহ উদ্ধার হয়েছে ছয়জনের। এখনও নিখোঁজ কনেসহ তিনজন। নিখোঁজের স্বজনরা তাদের নাম-পরিচয় জমা দিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার পদ্মার ওপারের পবা উপজেলার চরখিদিরপুর এলাকার ইনসার আলীর ছেলে আসাদুজ্জামান রুমনের সঙ্গে একই উপজেলার ডাঙেরহাট এলাকার শাহীন আলীর মেয়ে সুইটি খাতুন পূর্ণিমার বিয়ে হয়। এরপর শুক্রবার ঘটে এ দুর্ঘটনা।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *