অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি : আজ রবিবার (২৪ নভেম্বর) সাম্রাজ্যবাদ সামন্তবাদ আমলা দালালপুঁজি বিরোধী লড়াইয়ে অগ্রণী সৈনিক, জাতীয় গণতান্ত্রিক বিপ্লবী আন্দোলনের নেতা, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের কেন্দ্রীয় সহ-কোষাধক্ষ্য, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট যশোর জেলার সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের অন্যতম নেতা, নওয়াপাড়া শাখার সাবেক কর্মকর্তা ও কার্পেটিং জুটমিল সিবিএ’র সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক শ্রমিকনেতা দিদারুল হক-এর ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী দু’দিন ব্যাপী পালিত হয়েছে।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিকাল ৩টায় নওয়াপাড়া পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে স্মরণ সভা বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি শ্রমিকনেতা বাহারুল ইসলাম (বাহার)-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সভাপতি ও বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শ্রমিকনেতা চৌধুরী আশিকুল আলম। বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষক সংগ্রাম সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি কৃষকনেতা হাফিজুর রহমান, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের সহ-সাধারণ সম্পাদক শ্রমিকনেতা প্রকাশ দত্ত, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সহ-সভাপতি শ্রমিকনেতা নাজিউর রহমান নজরুল, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের যশোর জেলা সভাপতি আশুতোষ বিশ্বাস প্রমুথ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির সহ-সভাপতি খাদিজা বেগম, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন খুলনা বিভাগীয় কমিটির সভাপতি আবু সঞ্জয় কুমার, সহ-সভাপতি ইউসুব মাস্টার, বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার এসোসিয়েশন খুলনা শাখার সভাপতি শ্রমিকনেতা শ্রমিকনেতা হাসান মুন্সি।
আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট নড়াইল জেলা সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট অভয়নগর থানা কমিটির সভাপতি মনিরুল ইসলাম বাবু, বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার এসোসিয়েশন খুলনা শাখার সাধারণ সম্পাদক আকবর আলী, অভয়নগর উপজেলা নওয়াপাড়া পৌর রিক্সা-ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মাসুদ রানা, বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্টে মিষ্টি বেকারী শ্রমিক ইউনিয়নের অভয়নগর থানা কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল মজিদ গাজী, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের নওয়াপাড়া অফিস সহকারী নিয়ামুল হক রিকো, অন্যতম নেতা আজিজ মাস্টার, বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার এসোসিয়েশন খুলনা শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক আহাদ মাস্টার প্রমুখ।
সভাটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ অভয়নগর থানার সাধারণ সম্পাদক শ্রমিকনেতা নাজমুল হুসাইন।
এ সময় বক্তারা বলেন, আজ ইতিহাসের সর্বোচ্চ সমস্যা-সংকটের মধ্যদিয়ে চলছে শ্রমিক-কৃষক মেহনতি মানুষের জীবন, এ সংকট চলমান বিশ্বব্যবস্হার সংকট, পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বব্যবস্হার পরিণতিতে সারা পৃথিবীর অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংকট গভীর থেকে গভীরতর হয়ে চলেছে।
২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু হওয়া অর্থনৈতিক মন্দা ১৬ (ষোল) বছর চলে বিশ্বযুদ্ধের বিপদ এমনকি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিপদ বৃদ্ধি করে চলেছে।
এ সংকটের অধীন বাংলাদেশের জাতীয় পরিস্থিতি হওয়ায় সাম্রাজ্যবাদীদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-সংঘাত বৃদ্ধি ও তাদের প্রতিযোগিতা-প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে এবং সাম্রাজ্যবাদী লুটেরা অর্থনীতির লুটপাটে দেশে বিরাজ করছে গভীর অর্থনৈতিক সংকট।
এমন কঠিন পরিস্থিতিতে এদশের বেশিরভাগ শ্রমিক সেক্টরের মূল সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে শ্রমিক অঙ্গনে সাম্রাজ্যবাদের ও তাঁর এদেশীয় দালালের আশীর্বাদপুষ্ট দালাল সুবিধাবাদী শ্রমিক নেতৃত্ব। এজন্য আমাদের প্রথমে দরকার দালাল ও সুবিধাবাদী শ্রমিক নেতৃত্বের বিপরীতে সৎ, যোগ্য ও শ্রেণী সচেতন নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা। আগামীতে সেই লক্ষ্যে বাস্তবায়নের ধারায় আশু লক্ষ্যে পুরন করে সর্বোচ্চ ও বৃহৎ লক্ষের দিকে অগ্রসর হতে সংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।