প্রশাসনিক পদক্ষেপ চেয়ে প্রধান ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে লিখিত আবেদন  : মাদক ব্যবসায়ী ও অস্ত্রধারীদের দাপটে বরগুনার তালতলী উপজেলাবাসী অতিষ্ঠ !

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত গ্রাম বাংলার খবর বরিশাল বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

বরগুনা প্রতিনিধি  : বরগুনা জেলাধীন তালতলী উপজেলার ১নং ইউনিয়নের জামাল মাষ্টারের বাড়ীর সামনে গত ২৫/১১/২০২৪ ইং তাং রোজ সোমবার আনুমানিক ১০.২০ টার সময় নি¤œ বর্ণিত লোক ইয়াবা ও গাজা বিক্রি করতে আসে। এরা সব সময়ই দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়া চলাফেরা করে। ঘটনাস্থল জামাল উদ্দিন মাষ্টার বাড়ীর সামনের (দরজায়) ঐ সময় ওখানে উপস্থিত ছিল জামাল মাষ্টার বাড়ীর মৃত ময়জুদ্দীন হাওলাদারের ছেলে মোঃ জাকির হাওলাদার। ঘটনার দিন জাকির নি¤œ বর্ণিত লোকজনকে গাজা ও ইয়াবা বিক্রিতে বাঁধা দেয় এবং বলে ব্যবসা করলে তোমাদের বাড়ির দিকে গিয়ে কর।


বিজ্ঞাপন

একপর্যায়ে তাদের উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। তখন মাদক ব্যবসায়ীরা জাকির হোসেনকে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে ওখান থেকে চলে যায়। গত ২৬/১১/২০২৪ ইং তারিখে রোজ মঙ্গলবার সকলা ৯.০০ টার সময় এদের তথাকথিত গডফাদার শামীম মৃধা ও জাফর মৃধার নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জন লোক দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র সহ পুনরায় জামাল মাষ্টার বাড়ীর সামনে উপস্থিত হন।


বিজ্ঞাপন

তখন ওখানে উপস্থিত ছিল ময়জুদ্দীন হাওলাদারের ছেলে জাকির হাওলাদার তাকে ওখানে একা পেয়ে জাফর মৃধার নেতৃত্বে সকলে একযোগে অতর্কিত হামলা শুরু করেন। হামলার এক পর্যায়ে জাফর মৃধার হাতে ৯এমএম পিস্তল এবং রিয়াজ মৃধার হাতে কাটা রাইফেল ও সগিরের হাতে একটা ৯এমএম পিস্তল ছিল। এরা সবাই মিলে মেরে ফেলার জন্য জাফর মৃধা, রিয়াজ মৃধা ও সগির জাকিরকে লক্ষ করে এলোফাতারি গুলি করে এবং তাদের সঙ্গী অন্যান্য লোকজন চাইনিজ কুড়াল সহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোফাতাড়ি কুপাতে থাকে।

জাকির হাওলাদার জীবন বাচাঁনোর জন্য সগিরের পিস্তল সহ সগিরকে ধরে ফেলে উভয়ে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে জাফর মৃধার পিস্তল থেকে গুলি বেরিয়ে সগিরের পায়ে লাগে এবং এর ফাঁকে জাকির হাওলাদার নিজের প্রাণ রক্ষার জন্য সরকারি রাস্তা সংলগ্ন ছোট নদীতে ঝাপ দেয়। ঘটনাস্থলে নিরপেক্ষ লোকজন নিকটস্থ থানায় ফোন করেন। যথাসময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উপস্থিত না হলে জাকির হাওলাদারকে সন্ত্রাসী বাহিনী মেরে ফেলত। অত্যন্ত আশ্চর্যের বিষয় হলো ঐ খানে এলাকার বহু লোক উপস্থিত থাকলেও ঐ সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে কেউ মুখ খোলেনি বরং সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতের একটি পিস্তল জাকিরের হাতে ধরিয়ে দিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করেন।

শুধুমাত্র তাই নয় বর্ণিত এই ঘটনার ৮-১০ দিন পূর্বে বড় পাড়ায় এলাকায় পাটোয়ারী বাড়ির পিচ্ছি হাছান ঐ একই বাহিনীকে গাজা, ইয়াবা ও অস্ত্র বিক্রি করতে নিষেধ করে এবং যদি তারা পুনরায় এই ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়, তাহলে তাদের আইনের হাতে সোপর্দ করা হবে। এই মর্মে শাসাতে থাকে। ঠিক এর এক দিন পরেই দিনের বেলা আনুমানিক দুপুর ১২ টার সময় সন্ত্রাসী বাহিনীদের নিজেদের বসতবাড়ীর পাশে পিচ্ছি হাছানের পাঁয়ের রগ কেটে ফেলে যায়।

এমতাবস্থায়, আমরা অত্র এলাকার নিরীহ মানুষ এই সন্ত্রাসী বাহিনীর হাত থেকে বাচঁতে চাই এবং পূর্বের ন্যায় সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে চাই। অভিযুক্ত অস্ত্রধারী মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন: ০১। মোঃ ছগির মোঃ মন্নান ওরফে মন্নাত ০২। জাফর মৃধা সাবেক মেম্বার মৃত আঃ রশিদ মৃধা ০৩। মোঃ কবির মোঃ মন্নাত ওরফে মন্নাত ০৪। মোঃ ইব্রাহীম মৃধা মৃত আঃ রশিদ মৃধা ০৫। মোঃ রিয়াজ মৃধা মৃত আঃ রশিদ মৃধা ০৬। মোঃ শামীম মৃধা মৃত হানিফ মৃধা ০৭। মাহবুব অজ্ঞাত ০৮। আবুল কালাম সেকান্দার ০৯। আবদুস ছোবাহান সেকান্দার ১০। মোতালেব মৃধা ওমর আলী মৃধা ওরফে চোরা উমারিয়া এলাকায় প্রচলিত ১১। মোঃ জুবায়ের মাহাবুব ১২। মোঃ রাজু অজ্ঞাত ১৩।তোতা তালুকদার আবুল কালাম তালুকদার উত্তর পচাঁকোরালিয়া ১৪। মফিজ তালুকদার আলী আযিম তালুকদার উত্তর পচাঁকোরালিয়া ১৫। কালা মনির অজ্ঞাত কলা রং ঘোঝা ১৬। সোহেল শহীদ শিকদার। এদের সকলেরই বিগবস শামীম মৃধা ও জাফর মৃধা।

গত ০৫/০৮/২০২৪ ইং তারিখে আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পরে এরা দিনে দুপুরে পচাঁকোড়ালিয়ার সুলিজ গেইটে আশ্রাফ আলীর দোকান দিনে দুপুরে লুট করে নিয়ে যায়। ওরা ভয়ংকর সন্ত্রাসী বিধায় কেউ ভয়ে মুখ খোলে না।
এদের কবল থেকে মুক্তি পেতে এলাকাবাসী বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইজিপি,ডিআইজি ও স্থানীয় জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। তাদের দাবী- এদের দ্রুত গ্রেফতার করা হোক যাতে অত্র এলাকা মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত হয়। সুষ্ঠ সুন্দর পরিবেশে পূর্বের মতো এলাকাবাসী বসবাস করতে পারে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *