মাসুদুর রহমান,(জামালপুর) : জামালপুরের সদর উপজেলার জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় ১০ জন আহত হয়েছে । শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলার ইটাইল ইউনিয়নের শৈলের কান্দা ব্রক্ষোত্তর এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে ।
গুরুত্বর আহতরা হলেন শৈলের কান্দা ব্রক্ষোত্তর এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে হাবিবুর রহমান (৪৫), মোফাজ্জল হোসেন (৩৫), উজ্জ্বল মিয়ার স্ত্রী শিল্পী (৪০) ও ছেলে শিমুল (১৮), আব্দুল হালিমের স্ত্রী বানেছা (৬০),। তারা জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ।
আহতদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তারা কিছুক্ষণ পর পরই বমি করছেন এমন অবস্থা দেখে সার্জারী বিভাগের মেডিকেল অফিসার মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও নাক কান গলার ডা: তায়বা গিয়ে রোগীদের খোজ খবর নিয়ে চিকিৎসা নিশ্চিত করেন।
পরে ৭ ডিসেম্বর তাদের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে কর্তব্যরত চিকিৎসক।
জানা যায় , শনিবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে এলাকার কিছু অসাধু ব্যক্তিদের ইন্ধনে প্রতিবেশী ময়ছের আলীর ছেলে মো: লাল মাহমুদ(৩০), নুরে আলম (২৫), আব্দুল খালেকের ছেলে ইউনুস (৬০), আ: বাক্কার (৫০), ইউনুস আলীর ছেলে আরিফ (২৫), খালেকের ছেলে মোখলেস (৪৫), মোখলেছের ছেলে শরীফ (২৫), পচা শেখের ছেলে মিরাজ (৩০) এর নেতৃত্বে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জন লোক লাঠিসোটা, দা-বটি দিয়ে ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলার ঘটনা ঘটায় ।
এ বিষয়ে ফুরকান আলী জানান, ইতিপূর্বে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছিল তারা । আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। আমাদের বাপ দাদার সম্পত্তি জোর করে দখল করেছে এরা । আমরা বাড়ীতে থাকি না । এই সুযোগে আমাদের জমি জমা তারা দখল করতেছে । বাড়ীর মানুষদেরকে মারধর করেছে । মহিলা যারা ছিল তাদের কাপড় চোপড় ছিড়েছে। আমরা জামালপুর সদর থানায় মামলা করব। আমরা এই ঘটনার বিচার চাই ।
এদিকে আরিফদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে নাম্বারটি বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
নরুন্দি পুলিশ ফাড়ির আইসি লুৎফর রহমান জানান, দু পক্ষের মধ্যে মারামারির সংবাদ পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল ।
এদিকে জামালপুর সদর থানার ওসি(তদন্ত) আনিসুর আশেকীন মুঠোফোনে জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
Post Views: 24