হাবিবুর রহমান : রাজধানীর বনানী থানাধীন টিএন্ডটি মাঠ ঘেঁষে যাওয়া রাস্তার এক পাশে বেদে বস্তি আরেক পাশে গোডাউন বস্তি। একসময় দু’টি বস্তিতে রাস্তার পাশে হাতে গোনা কয়েকটি ঘর ছিল। কিন্তু এখন সরকারি ঝিলে মাটি ভরাট করে দখল করতে করতে ঘর গিয়ে ঠেকেছে হাজারের উপরে। অসহায়, দারিদ্র্যতার মুখোশে দখলবাজরা শুধু নিজে থাকার জন্য ঘর তুলেনি সাথে একেকজন দশ-বিশটা করে ঘর ও দোকানপাট তুলে ভাড়া দিয়ে বনে গেছে বাড়িওয়ালা। ঝিল দখল ঠেকাতে যেন কেউ নেই!
টিএন্ডটি মাঠের পশ্চিম পাশে বস্তিতে একটি পাকা দোকান দেখে চোখ আটকে যায়। যার নাম মেসার্স রহিমা এন্টারপ্রাইজ। এর মালিক মোঃ গোলাম রববানী নামক এক ব্যক্তি। এখন প্রশ্ন উঠেছে সরকারি ঝিল ভরাট করে এমন ইট পাথর দিয়ে স্থায়ী ঘর তিনি নির্মাণ করলেন কিভাবে? এছাড়া এই দোকানের পিছনেই দখল করে নিজে থাকার ঘরসহ কয়েকটি ঘর তুলে ভাড়া দিয়েছেন রববানী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এই দালানে ইট, বালু, পুরাতন রড, সিমেন্টের ব্যবসা করেন রববানী। কিভাবে তিনি এখানে পাকা ঘর করলেন জানতে চাইলে এ বিষয়ে তিনি প্রতিবেদকের সঙ্গে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। শুধু বলেন, সবাইকে ম্যানেজ করেই নাকি তিনি সব করেছেন। কিছু বলার থাকলে জায়গা মতো অভিযোগ করতেও বলেন।
স্থানীয়দের দেওয়া তথ্য সূত্রে জানা যায়, গোলাম রববানী এক সময় বনানী ২ নাম্বার রোডে রাস্তার পাশে ইট ভেঙে খোয়া বানিয়ে বিক্রি করতেন। থাকতেন বস্তির ভাড়া ঘরে। পরে গোডাউন বস্তিতে থাকার জন্য একটি ঘর তুলেন। পরবর্তীতে একে একে কৌশলে দখল করেন ঝিলের বিশাল অংশ। প্রথমে ঝুপড়ি ঘর তুললেও এখন বানিয়ে নিয়েছেন পাকা ঘর। হটাৎ বনে গেছেন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ! মানবিক বিবেচনায় প্রথমে স্থানীয় অনেকেই রববনীর থাকার জন্য ঘর তোলায় বাঁধা দেয়নি। তখন কারো ভাবনায় ছিলো না সে একসময় হয়ে উঠবে ভূমি দস্যু।
এছাড়া অভিযোগ পাওয়া যায়, গোলাম রববানী এখানে ইট, বালু, সিমেন্টের ব্যবসার আড়ালে গাঁজার ব্যবসা করে। চোরাই মালামাল কেনাবেচাও করে। তার ঘরে স্থানীয় কয়েকজন নেতাকে নিয়মিত গাঁজা সেবন করতে আসা যাওয়া করতে দেখেন অনেকেই। বর্তমানে রববানী গোডাউন বস্তির একজন প্রভাবশালী ব্যাক্তি। সুযোগ পেলেই ঝিল ভরাট করে বাড়িয়ে নিচ্ছেন ঘর। এরকম আরো কয়েকজন রববানী এখানে ঝিল ভরাট করে ঘর বাড়ি নির্মাণ করেছেন।
Post Views: 19