নিজস্ব প্রতিবেদক : খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সভায় নেতৃবৃন্দ গভীর উদ্বেগের সাথে বলেন, বাংলাদেশ সহকারি হাইকমিশনে হামলা ও জাতীয় পতাকার অবমাননা পর এখনো ঔদ্বত্যপূর্ণ ও যুদ্ধাংদেহী আচরণ প্রদর্শণ করছে ভারতীয় উগ্রবাদীগোষ্ঠী। ভারত সরকার এদেরকে প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে। ভারতীয় মিডিয়াগুলোতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিরোধী প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এমন তথ্য সন্ত্রাস চালিয়ে ভারত মনে করছে আমাদেরকে দুর্বল করে দিতে পারবে। কিন্তু স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে দল-মত নির্বিশেষে বাংলাদেশ ঐক্যবদ্ধ আছে এবং থাকবে। এখানে হিন্দু সহ সংখ্যালঘু ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী যথাযথ নিরাপত্তার সাথে বসবাস করছে। আবহমানকাল ধরে এই সম্প্রীতি এখানে বিরাজমান রয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দও সম্প্রতি ভারত কর্তৃক বাংলাদেশ বিরোধী এসব ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
নিজ দেশের মুসলিম সহ সংখ্যালঘু ও দলিতশ্রেণীর মানুষদের নিরাপত্তা বাড়াতে আমরা ভারত সরকারকে আবারো আহ্বান জানাচ্ছি। বারবার দাঙ্গা কবলিত ভারতে প্রতিনিয়ত বহু সংখ্যালঘু মুসলিমকে হত্যা, নির্যাতন করা হচ্ছে। মসজিদ সহ ঐতিহাসিক স্থাপনাসমূহ ভেঙে ফেলা হচ্ছে। গত কয়েকদিন আগেও উত্তর প্রদেশের প্রায় দু’শ বছর পুরনো একটি মসজিদে বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে। মুসলিমদেরকে নির্যাতন করে হিন্দুত্ববাদী স্লোগান দিতে বাধ্য করা হচ্ছে।
আমরা ভারতীয় উগ্র হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠী ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের এসব অপতৎপরতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলিয়ে নিজ দেশে মানবাধিকার সুরক্ষায় ভারতকে নজর দেয়া দরকার। তা না হলে মুসলিম বিশ্ব সহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভারতকে কঠোর জবাবদিহীতার মুখোমুখি হতে হবে। মিডিয়ায় গোয়েবলসীয় কায়দায় অপপ্রচার চালিয়ে সভ্য দুনিয়ায় মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করা যাবে না।
আগামী ২৮ ডিসেম্বর, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিতব্য খেলাফত মজলিসের সাধারণ পরিষদের দ্বাদশ অধিবেশন সফলে
আমরা প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সহ সংশ্লিষ্ট সকলের সার্বিক সহযোগীতা কামনা করছি। সকাল সাড়ে ৯টায় অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বাস্তবায়নে নেতাকর্মীদের দোয়া ও কাঙ্ক্ষিত তৎপরতা প্রত্যাশা করছি।
গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাহী বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন আমীরে মজলিস মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ। মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত নির্বাহী বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর মাওলানা আবদুল কাদির সালেহ, অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, যুগ্ম-মহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিজানুর রহমান, প্রশিক্ষণ ও প্রকাশনা সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, অর্থ সম্পাদক আলহাজ¦ আবু সালেহীন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক ডা: রিফাত হোসেন মালিক, প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, যুব বিষয়ক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, মুফতি আবদুল হক আমিনী, জিল্লুর রহমান, এডভোকেট শায়খুল ইসলাম, আলহাজ¦ ফয়জুল ইসলাম, আলহাজ¦ আমিনুর রহমান ফিরোজ, মাওলানা আহমদ বিলাল, আলহাজ¦ নুর হোসেন, মাওলানা সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, হাফেজ নুরুল হক, আবুল হোসেন প্রমুখ।