নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা ওয়াসার রাজস্ব জোন-১ এর বিলিং সহকারী ছাত্রলীগের সাবেক নেতা কে.এম. নাহিদের বিরুদ্ধে অফিস আদেশ লংঘন করে বহিরাগত দিয়ে রাজস্ব সাইট পরিচালনা,আন্ডার বিলিং করে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি প্রদান,অনিয়ম-দুর্নীতি করে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অজর্জন ও আউটসোর্সিং কর্মচারীদের অযৌক্তিক দাবি আদায়ে নামে বিশৃংখলা সৃষ্টি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে, আওয়ামী লীগের নেতাদের রাজনৈতিক সুপারিশে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা কে.এম. নাহিদ ২০১৯ সালে বিলিং সহকারী পদে চাকরি নেয়। তার বাড়ি বাগেরহাট জেলায়। তার পিতা মোহন খান স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা। নাহিদের বাড়ি বাগেরহাট হলেও;গোপালগঞ্জে তথা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এলাকায় তার বাড়ি বলে প্রচার করতেন।
”সাবেক ছাত্রলীগের নেতা ও শেখ হাসিনার এলাকায় তার বাড়ি”-এই পরিচয়ে ঢাকায় ওয়াসায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন। তার পছন্দমত রাজস্ব সাইট দিতে কর্মকর্তাদের বাধ্য করতেন। এমনকি একাধিক রাজস্ব সাইট পরিচালনা করতেন। নিয়োগ বদলীর তদবিরও করতেন। এখন আবার রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর নিজেকে বিএনপি’র লোক দাবি করছেন দুরন্ধর নাহিদ।
অন্যদিকে নাহিদ তার ব্যক্তিগতভাবে নিয়োগকৃত একাধিক বহিরাগত ডুপলি কে দিয়ে ডিউটি করান। বহিরাগত দিয়ে কাজ করানো সম্পূর্ণ বেআইনী । ৫ জুলাই ২০১৮ ইং তারিখে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ এক আদেশের মাধ্যমে বহিরাগত নিয়োগ নিষিদ্ধ করে। যার স্মারক নং রা/৮২০২ প্র:রা:ক:-৫/৭/২০১৮ইং।
ডুপলি নিয়োগের প্রমান পাওয়ায় একাধিক বিলিং সহকারীকে ইতিপূর্বে চাকরিচ্যুত করেছে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে ঢাকা ওয়াসার রাজস্ব জোন-১ এর ঢালকা নগর এলাকার প্রায় চারশ’ হোল্ডিং সম্বলিত রাজস্ব সাইট বহিরাগতদের দেড় লাখ টাকায় ইজারা দিয়ে পরিচালনা করছেন। তিনি কখনো সাইট পরিচালনা করতেন না। মুজিবকোট গায়ে দিয়ে নেতা বেশে ঘুরে বেড়াতেন। দলীয় পরিচয়ের কারনে রাজস্ব কর্মকর্তারাও নাহিদের ভয়ে তটস্থ থাকতেন। তার কথা না শুনলে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারসহ নানা ষড়যন্ত্র করতেন।
এদিকে স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের পতনের পরও থেমে যাননি ছাত্রলীগের সাবেক নেতা কে.এম. নাহিদ চক্র । ঢাকা ওয়াসায় আউটসোর্সিং ব্যবস্থায় চাকরি পাওয়া পাঁচ শতাধিক কর্মচারীকে তারা রাস্তায় নামিয়েছেন চাকরি স্থায়ীকরনের দাবিতে।
আউটসোর্সিং কর্মচারীদের অযৌক্তিক দাবি আদায়ে ওয়াসা ভবনে সমাবেশে আয়োজন এবং ঢাকা ওয়াসার আউটসোর্সিং কর্মচারী কর্তৃক প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ঘেরাও কর্মসূচির নামে বিশৃংখলা সৃষ্টিতে নাহিদ মূখ্য ভূমিকা পালন করেছেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানাগেছে। আউটসোর্সিং কর্মচারীদের আন্দোলনে অর্থায়নকারিও তিনি।
উল্লেখ্য,ঢাকা ওয়াসার সংখ্যাগরিষ্ঠ আউটসোর্সিং কর্মচারী ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী। আউটসোর্সিং কর্মচারীদের আড়ালে ছাত্রলীগের কর্মীদের মাধ্যমে অযৌক্তিক দাবি আদায়ে রাষ্ট্রে বিশৃংখলা সৃষ্টির আওয়ামী ফর্মুলা বাস্তবায়নের ভয়ংকর মিশনের দায়িত্ব নিয়েছেন নাহিদ গং।
এবিষয়ে নাহিদের বক্তব্য নেয়ার জন্যে তার মোবাইল ফোনে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।