নিজস্ব প্রতিবেদক : আজ রবিার, ১৫ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবসের গৌরবোজ্জল দিনে দেশবাসীকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ভালোবাসা জানাচ্ছি। একই সাথে প্রবাসে অবস্থানরত সকল বাংলাদেশীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
মহান বিজয় দিবস বাংলাদেশীদের জীবনে এক শ্রেষ্ঠ অর্জন। মহান মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জাতীয় জীবনে এক গৌরবময় অধ্যায়। তাই, মহান বিজয় দিবস আমাদের সামনে অত্যান্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ৫২- এর ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রামের যে বীজ বপন হয়েছিলো, তা একাত্তরে শোষণ, বঞ্চনা আর নির্যাতনের বিরুদ্ধে মহান স্বাধীনতার লক্ষ্যে সশস্ত্র লড়াই-সংগ্রামে রুপ নেয়। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ আর দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত মহান বিজয় দিবস আমাদের অহংকার। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের বীরোচিত লড়াই আজীবন বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষদের পথ দেখাবে। মহান বিজয় দিবস সত্যের পথে লড়াই সংগ্রামে আমাদের অফুরান অনুপ্রেরণা। শোষণ, জুলুম ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে চোখে চোখ রেখে লড়ায়ের শিক্ষা দেয় আমাদের বিজয় দিবস।
এমন মাহেন্দ্রক্ষণে পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি, বাংলাদেশের উন্নয়নের রুপকার, সফল রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান যিনি মুক্তিযোদ্ধাদের জাতির সর্বকালের শ্রেষ্ঠ সন্তান বলে অভিহিত করেছেন সেই পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ-কে। এছাড়া মহান মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের আত্মার মাগফিরাত ও মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে যারা বেঁচে আছেন তাদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, বিদেশী বন্ধু, শহীদ পরিবার এবং যারা জাতির মহান বিজয় অর্জনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অবদান রেখেছেন সবার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপণ করছি।
সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে – সকল মত-পথ ও ভেদাভেদ ভুলে মহান বিজয় দিবসের চেতনায় বৈষম্যহীন সুখি, সমৃদ্ধশালী পল্লীবন্ধুর স্বপ্নের “নতুন বাংলাদেশ” গড়ার প্রচেষ্টায় সবার প্রতি উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি।