ওসির বিরুদ্ধে নিউজ করায় সাংবাদিককে রাজনৈতিক মামলায় ফাঁসিয়ে জেলে পাঠানোয় এসপি ও ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগ।

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত গ্রাম বাংলার খবর জাতীয় বিশেষ প্রতিবেদন রংপুর সারাদেশ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :  ওসির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার করায় ডিবি দিয়ে সাংবাদিককে তুলে নিয়ে রাজনৈতিক মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়ে জেল হাজতে পাঠানোয় পুলিশ সুপার কুড়িগ্রাম, ইন্সপেক্টর ডিবি কুড়িগ্রাম, ওসি কুড়িগ্রাম থানা ও ভূরুঙ্গামারী থানার ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক মোঃ আনোয়ার হোসেন আরিফ।


বিজ্ঞাপন

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ১৬ ডিসেম্বর “জিডির কপিতে বাদীকে লিখতে বাধ্য করে আপাতত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন নেই” এই শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করেন, দৈনিক গনকন্ঠ পত্রিকার ভূরুঙ্গামারী উপজেলা প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ প্রেসক্লাব, ভূরুঙ্গামারী উপজেলা শাখার সভাপতি- সাংবাদিক মোঃ আনোয়ার হোসেন।


বিজ্ঞাপন

একই সংবাদ টি একাধিক জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। সংবাদ টি-প্রকাশের পর ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন জন দিয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিককে হুমকি দিয়ে থানায় ডাকে। ভুক্তভোগী থানায় না আসায় ঐ দিন রাত ১১ টার  সময় ভূরুঙ্গামারী বাস ষ্ট্যান্ডের ৩০০ গজ পূর্ব পাশে আল্পনা টেলিকমের ভিতরে ভুক্তভোগীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের ব্যাটারী পরিবর্তন করতে থাকলে সিভিল পোশাকে ইন্সপেক্টর ডিবি কুড়িগ্রাম, সাব ইন্সপেক্টর (ডিবি) মুতাসছির বিল্লাহ সহ আরো অজ্ঞাত ৭/৮ জন ডিবির সদস্য গিয়ে তাকে বলে এসপি স্যারের নির্দেশ আপনাকে আমাদের সাথে যেতে হবে। পরে ভুক্তভোগীর নামে কোন মামলা বা ওয়ারেন্টে থাকা না শর্তেও তাকে ডিবির ভ্যানে তুলে নিয়ে ভূরুঙ্গামারী থানার সামন দিয়ে ঘুরিয়ে নিয়ে কুড়িগ্রাম সদর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

সারারাত ও পরের দিন বিকেল ২.০০ টায় কুড়িগ্রাম থানায় তাকে আটকিয়ে রাখা হয়। থানায় নিয়ে যাওয়ার পর ডিবি পুলিশের কিছু সদস্য মিলে তাকে বলে তুই পুলিশের বিরুদ্ধে নিউজ করিস তুই এই সাহস কোথায় পাইলি। এরপর ডিবির কয়েক জন সদস্য তার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের পাসওয়ার্ড চাইতে থাকে। ভুক্তভোগী পাসওয়ার্ড না বলায় তারা তাকে মানসিক ভাবে চর্চার করতে থাকে। পরে কর্তব্যরত ডিবির সদস্যরা তাকে বলে তুই ভূরুঙ্গামারী উপজেলা মৎস্যজীবী লীগ করিস, তুই স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের দোসর।

তোকে কুড়িগ্রাম জেলায় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়ের করা প্রত্যেকটি মামলায় অজ্ঞাত আসামি করে মামলায় ঢুকিয়ে দিবো। এরপর ভুক্তভোগী বলে আমি একজন গণমাধ্যম কর্মী ও বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব,ভূরুঙ্গামারী উপজেলা শাখার সভাপতি এবং আমি দীর্ঘ দিন থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র রাজনীতি করি। আমি গত ২০১৮ সালের কমিটিতে সহ-সভাপতি চর ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়ন ছাত্রদলের। এবং কয়েক দিন আগে জিয়া সাইবার ফোর্স ভূরুঙ্গামারী উপজেলা কমিটির সভাপতি পদে আমার জীবন বৃত্তান্ত জমা দিয়েছি।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক ও রাজনৈতিক পরিচয় দেওয়ার পরেও পুলিশ সুপার কুড়িগ্রাম,ওসি কুড়িগ্রাম সদর থানা, ইন্সপেক্টর ডিবি কুড়িগ্রাম ও ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি মনিরুল ইসলামের যোগসাজশে ভূরুঙ্গামারীতে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন কারীদের উপর হামলার ঘটনায় গত ৪ আগষ্টে দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে কুড়িগ্রাম সদর থানা হতে পরে দিন ১৭ ডিসেম্বর বিকেল ২.০০ টায় জেল হাজতে পাঠানো হয়।

এবং ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম গত ৪ আগষ্টে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন কারীদের উপরে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলা নং ১৭, জি আর ২০৫/২৪ ইং মামলায় অজ্ঞাত আসামী দেখিয়ে ১৭ ডিসেম্বর রাজনৈতিক মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে আনুমানিক বিকেল ৩.৩০ ঘটিকার সময় কোর্টে মামলার নথি প্রেরণ করেন। ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি লোক মারফতে বলে বেড়াচ্ছে ভুক্তভোগীকে একাধিক মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দিবে।

ভুক্তভোগী আরো লিখেন পুলিশ সুপার কুড়িগ্রাম, ইন্সপেক্টর ডিবি কুড়িগ্রাম ও ভূরুঙ্গামারী থানার ওসির ভয়ে জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে ও তার পরিবারের লোকজনের নিরাপত্তা নিয়ে ভয়ে ও দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে। এমন কি এই ঘটনার সাথে জরিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরা কিছু স্থানীয় দালাল দিয়ে তার সহকর্মী ও প্রেসক্লাবের অন্যান্য সাংবাদিকদের ভয় দেখিয়ে দূরে কোথাও গিয়ে আত্মগোপনে থাকতে বলে।

এ ঘটনায় সরাসরি পুলিশ সুপার কুড়িগ্রাম, ইন্সপেক্টর ডিবি কুড়িগ্রাম, ওসি কুড়িগ্রাম সদর থানা ও ওসি ভূরুঙ্গামারী থানা জরিত থাকায় জেলায় ন্যায় বিচার পাবেন না বলে ন্যায় বিচারের আশায় মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, মাননীয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, ডিএন্ডপিএস ও ডিআইজি রেন্স রংপুর সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *