মোঃ সাইফুর রশিদ চৌধুরী : গোপালগঞ্জ শহরের মধ্যে জেলা বিএনপির তিনটি কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। এথেকে গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির ত্রিমুখী কোন্দলের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। জেলা বিএনপি’র তিনটি কার্যালয়ের মধ্যে একটির নেতৃত্বে রয়েছেন সাবেক জেলা বিএনপির সভাপতি ও সংসদ সদস্য এবং বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এম এইচ খান মঞ্জু ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেজর অবসর অহিদুল হক মোল্লা সহ সাবেক ও বর্তমান জেলা বিএনপির কিছু নেতৃবৃন্দ।
জেলা বিএনপির অন্য একটি কার্যালয়ের নেতৃত্বে রয়েছেন সাবেক জেলা বিএনপির সভাপতি ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির পদত্যাগকারী সদস্য সিরাজুল ইসলাম সিরাজ।
জেলা বিএনপি’র আর একটি কার্যালয়ে নেতৃত্বে রয়েছেন বর্তমান আহবায়ক কমিটির আহবায়ক শরীফ রফিকুজ্জামান সহ বিএনপির সহযোগী অঙ্গ সংগঠন সমূহের নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে এম এইচ খান মঞ্জু সাংবাদিকদের জানান , দীর্ঘ ১৬ বছর আওয়ামী সরকারের দুঃ,শ্বাসনের কারণে দলের কোন কার্যক্রম ঠিকমতো করতে পারিনি, তবে হাল ছেড়ে দেইনি। তাই ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর শহরের লঞ্চঘাট বঙ্গবন্ধু সড়কে আমার নিজস্ব ভবনে আগে যেহেতু জেলা বিএনপির কার্যালয় ছিলো- সেই সুবাদে ওখানে আমি জেলা বিএনপির কার্যালয়ের নতুন সাইন বোর্ড লাগিয়ে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করছি।
এখন যেহেতু আওয়ামী সরকার পতনের প্রায় পাঁচ মাস পরে এসে জেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটি ও সহযোগি অঙ্গ সংগঠনের নেতৃত্বে একটি জেলা বিএনপির কার্যালয় করা হয়েছে। আমি ওই জেলা কার্যালয়কে সমর্থন করলাম। আমি বর্তমান আহবায়ক কমিটির রানিং সদস্য এবং সাবেক জেলা বিএনপির সভাপতি তাই আমার ওই ভবনকে আমি দলীয় কার্যক্রম করার জন্য ব্যক্তিগত কার্যালয় ঘোষণা করলাম। এছাড়া আমি এবার দল থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী, তারপরও দল যাকে মনোনয়ন দেবে আমি তার হয়েই কাজ করবো। এবং জেলা বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের আমার কার্যালয়ে আসার আহ্বান করছি।
জেলা বিএনপির ” সাবেক সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বলেন, আওয়ামী সরকারের পতনের পর গোপালগঞ্জে যে কয়টা বিএনপি কার্যালয় হয়েছে, আমি মনে করি সবই বিএনপি’র দলীয় কার্যালয়। আর যারা বেশি ফালাফালি করছে তাদের পরিবারের মধ্য এক ভাই আওয়ামী লীগ আরেক ভাই বিএনপি, আমার বেলায় তা কিন্তু নয়। দল যাকে গোপালগঞ্জ জেলার সভাপতি- সেক্রেটারি নির্বাচিত করবে এবং মনোনয়ন দিবেন আমি তার হয়ে কাজ করব দলকে আরো বেগবান করার লক্ষ্যে।
জেলা বিএনপি’র আহবায়ক শরিফ রফিকুজ্জামান বলেন, আমাদের বিএনপি’র নিজস্ব কোন ভবন না থাকায় আমার নিজের বাসায় এতদিন জেলা বিএনপির রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করতাম। এখন শহরের বড়বাজারের দ্বিতীয় তলায় ঘর ভাড়া নিয়ে জেলা বিএনপি’র কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন করছি। এখন থেকে জেলা বিএনপি সহ সকল অঙ্গ সংগঠনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা ওখানেই হবে। আর যেহেতু জেলা বিএনপি’র নতুন কার্যালয়কে এম এইচ খান মঞ্জু সমর্থন করছে। আমরাও তাকে ধন্যবাদ জানাই।
২০১৯ সালে জেলা বিএনপি’র কমিটি বিলুপ্ত করে আহবায়ক কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় কমিটি। এরপর থেকে আহবায়ক কমিটি দিয়েই চলছে গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির রাজনৈতিক কর্মকান্ড।