নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্গত গেন্ডারিয়া থানাধিন নারিন্দা এলাকার মৃত আব্দুল কাদিরের পুত্র নারিন্দা ৩০ নং শাহ সাহেব লেনের বাসিন্দা, সাবেক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন রাজনৈতিক ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে, ফেসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরের স্বাশন আমলে, ক্ষমতায় অপব্যবহার করে গেন্ডারিয়ার নারিন্দা এলাকায় টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, অবৈধ পথে পণ্য আমদানি, লুবিক্যান্ট ভেজাল, আবাসিক হোটেল বানিজ্য, বিদেশী ডলার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে শত কোটি টাকা মূল্যর সম্পদের পাহাড় তৈরি করেছেন আওয়ামীলীগের দোষর মহিউদ্দিন।
তার এই অবৈধ পথে উপার্জিত সম্পদের আংশিক বিবরন সহ ০২/০১/২৫ ইংরেজি তারিখে দুনীতি দমন কমিশন (দুদক)পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সাপ্তাহিক তদন্ত চিত্র পত্রিকার এক সাংবাদিক।
অনুসন্ধান থেকে জানা গেছে , নারিন্দা বাসি এক সময়ে মহিউদ্দিনকে চিনতো ট্রাক ড্রাইভার হিসেবে। অতি নিম্নবৃত্ত পরিবারের মহিউদ্দিন আওয়ামী রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার পরে তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। তিনি বিভিন্ন জায়গাতে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে, আওয়ামী ক্ষমতার অপব্যবহার করে টেন্ডার বাজি, চাঁদাবাজি, সিন্ডিকেট বানিজ্য, ডলার সিন্ডিকেট, আদম দালালী, সরকারি শুল্ক ফাঁকি দিয়ে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে পণ্য আমদানী থেকে শুরু করে সকল প্রকারের অপকর্মের মহিউদ্দিন সরাসরি জরিত ছিলেন বলে বিশেষ একটি সুত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
তিনি এতো সব অপকর্ম করে গরেছেন শত শত কোটি টাকার অর্থ সম্পদ। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসা তার সম্পদের আংশিক বিবরনী তুলে ধরা হলো, গেন্ডারিয়ার নারিন্দার ৩০ নং শাহ সাহেব লেনে সাময়িক নীড়ে ক্রয় করেছেন ৫ টি ফ্লাট এই ফ্লাট গুলোর বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ২০ কোটি টাকা। নারিন্দা পুলিশ ফাঁড়ির পাশে ৬ শতাংশ জমি ক্রয় করে তৈরি করেছেন বিলাশ বহুল বাড়ি, যার বর্তমান বাজার মূল্য ২৫ কোটি টাকা।
৪/৪ সায়েদাবাদে জমি ক্রয় করে তৈরি করেছেন বিলাশ বহুল আলিশান বাড়ি, যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ২০ কোটি টাকা।
২৪৯/৫ দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী ঢাকাতে রয়েছে বিলাশ বহুল বাড়ি সহ দোকান, যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১৫ কোটি টাকা।
১ কোটি টাকা মূল্যার দামি গাড়িতে রাজকীয় হালে চলাচল করেন মহিউদ্দিন, যার গাড়ি নং ঢাকা মেট্রো- গ ৩৩-৭৪৮৫, গাড়িটি তার ছেলের বউয়ের নামে ক্রয় করেছেন বলে জানা গেছে।
তার এবং স্ত্রী সহ ২ সন্তানের নামে বিভিন্ন জায়গাতে জমি সহ গা্ড়ি বাড়ি রয়েছে।
মহিউদ্দিন সুরমা ট্রেডিং এজেন্সির মাধ্যমে লুবিক্যান্ট আমদানি করে নিজস্ব গোডাউনে নিয়ে তা ভেজাল প্রকৃয়ার মাধ্যমে আমদানি কৃত পণ্যর ৩ গুন নিজ প্রতিষ্ঠানে তৈরি করে তা দেশের বিভিন্ন জায়গাতে নামে বে নামে ভাউচার তৈরি করে সরবরাহ করে চলেছেন, এতে করে সরকার বছরে কোটি টাকার উপরে রাজস্ব হারাচ্ছে,। ট্যাভলস এজেন্সি নামিও প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মানুষকে প্রবাসে পাঠানোর নাম করে বিভিন্ন প্রকারের প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নিতেন অর্থ।
দির্ঘদিন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার কারনে, আওয়ামী লীগের ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে সরকারি ভ্যাট টেক্স অফিসারকে ম্যানেজ করে নাম মাত্র টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে দায় সাড়া ভাবে চলাচল করেই চলেছেন মহিউদ্দিন। তার বিভিন্ন ব্যাংকে নামে বে নামে শত কোটি টাকা রেখেছেন বলে তার নিকট একটি সূত্র থেকে নিশ্চত হওয়া গেছে।
সুরমা ট্রেভেলস এজেন্সির মাধ্যমে মানুষকে বিদেশে পাঠানো সহ অবৈধ ডলার সিন্ডিকেটের সাথে তিনি এবং তার ২ ছেলে সক্রিয় ভাবে জড়িত বলে তার নিকটস্থ সুত্র থেকে জানা গেছে।
চায়না, দুবাই, ইন্ডিয়া, সিঙ্গাপুর সহ বিভিন্য দেশ থেকে নাম মাত্র পন্য ক্রয় – বিক্রয় করে সিন্ডিকেট তৈরি করে অবৈধ পথে পণ্য আমদানী রপ্তানি সহ সকল প্রকারের অপকর্ম এখনো দেদার্সে চালিয়ে যাচ্ছেন। মেসার্স মমতাজ ব্যাটারী এন্ড টায়ার হাউস সহ বর্তমানে বিভিন্য নিত্য নতুন প্রতিষ্ঠান খুলে অবৈধ পথে অর্জিত শত কোটি টাকার অর্থ সম্পদ বৈধ বানানোর চেষ্টা করছেন।
তার এ বিষয়ে নিয়ে অনুসন্ধানী টিম তার ব্যবহৃত ফোন নাম্বারে ফোন দিলে ফোনটি রিসিভ করেন নি। পরবর্তীতে তার পরিচিত এক সাংবাদিককে দিয়ে ফোন করালে ফোনে বলেন, সাংবাদিকেরা আমার বিষয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে আমি সবার নামে মামলা দিবো, গেন্ডারিয়া থানার নতুন ওসি সাহেবের সাথে আমি কথা বলেছি তিনি নিজে আমাকে বলেছেন সাংবাদিকদের নামে মামলা করতে, তার পরে বাকিটা ওসি সাহেব দেখবেন।
এ বিষয়ে গেন্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে জানতে প্রতিবেদক ফোন দিলে তিনি মোবাইল রিসিভ না করায় তার কোন প্রকার বক্তব্য প্রকাশিত হলো না।